ঢাকা ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

চিত্রনায়ক উজ্জ্বলের হাতে তুলে দেওয়া হলো বীরাঙ্গনা সখিনা অ্যাওয়ার্ড

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ এএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ এএম
চিত্রনায়ক উজ্জ্বলের হাতে তুলে দেওয়া হলো বীরাঙ্গনা সখিনা অ্যাওয়ার্ড
চিত্রনায়ক উজ্জ্বলের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড

প্রশংসনীয় ও গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের হাতে পদক ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার ( ১৪ সেপ্টেম্বর ) বিকালে রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসভবনে বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকারের হাত থেকে এই অ্যাওয়ার্ড ও সনদ গ্রহণ করেন তিনি।

এ সময় কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান, লেখক ও পেন অ্যাওয়ার্ড অ্যাফেয়ার্স ম্যাগাজিনের সম্পাদক প্রফেসর ড. আবু রায়হান (রায়হান শরীফ), গৌরীপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হুদা লিটন এবং এসিক ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ শাহ  উপস্থিত ছিলেন। 

বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম মেগাস্টার বলা হয় উজ্জ্বলকে। তার পুরো নাম আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল বলেন, আমার বাড়িতে এসে আমার হাতে সম্মাননা তুলে দিলেন এ জন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ। চলচ্চিত্র শিল্পের সুখকর সময় ছিল অতীতে। 

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন বীরাঙ্গনা সখিনা সিনেমার নায়ক ও একটা অংশের মালিক ছিলেন তিনি। বর্তমানে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এই সিনেমার একটি কপিও নেই। সব ধ্বংস হয়ে গেছে। 

গত ৩০ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের শহিদ সাহাব উদ্দিন মিলনায়তনে দেশের ১৮ জন গুণীব্যক্তিকে বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তার ব্যাক্তিগত কারণে যোগ দিতে পারেননি অভিনেতা উজ্জ্বল। 

বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ও গৌরবোজ্জ্বল অবদানের জন্য এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। 

নায়ক  উজ্জ্বল শিল্পকলা, শিক্ষা, ভাষা ও সাহিত্য ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও প্রশংসনীয় অবদান রাখায় বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০২০ এর জন্য মনোনীত করেছে দ্য ইলেক্টোরাল কমিটি ফর বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড।

অমিয়/

শরৎ উৎসবে সম্প্রীতির জয়গান

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৪ এএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৭ এএম
শরৎ উৎসবে সম্প্রীতির জয়গান
শরৎ উৎসবে নৃত্য পরিবেশনায় স্পন্দনের শিল্পীরা ছবি : জয়ন্ত সাহা, খবরের কাগজ

ঋতুচক্রের আবর্তনে এ বঙ্গে এসেছে শরৎ। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর প্রান্তরজুড়ে কাশের গুচ্ছ হৃদয়ে জাগায় প্রাণের স্পন্দন। কথা, কবিতা ও গানে সত্য ও সুন্দরের এ ঋতুর বন্দনা করলেন রাজধানীর শিল্পীরা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশজুড়ে এখনো যে সহিংসতা বিরাজমান, তার বিপরীতে শিল্পীরা গাইলেন সম্প্রীতির গান। প্রীতি-বন্ধনে মিলনের বার্তা ছড়িয়ে দিলেন নৃত্যশিল্পীরা। 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শরৎ উৎসব। 

এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় যন্ত্রসংগীতশিল্পী মো. ইউসুফ খানের সরোদ বাদনে শুরু হয় এ উৎসব। ততক্ষণে বকুলতলায় এসে হাজির হয়েছে একদল শিশু-কিশোর। পরনে নীলাভ শুভ্র বসন, কিশোরীরা কানে গুঁজেছেন কাঁঠালচাপা। শরতের আকাশে কালো মেঘের আনাগোনায় খুদে শিল্পীদের মুখাবয়বে তখন রাজ্যের আঁধার- এই বুঝি এল বৃষ্টি! একপশলা দমকা বাতাস বয়ে গেলেও বৃষ্টি হয়নি। প্রাঙ্গণজুড়ে আসে স্বস্তি।

এ সময় সুরবিহারের শিল্পীরা শোনান ‘ওগো শেফালি বনে মনের কামনা’৷  সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা পরিবেশন করেন রবীন্দ্রসংগীত ‘দেখো দেখো শুকতারা আঁখি মেলে চায়’ এবং নজরুল সংগীত ‘এ কী অপরূপ রূপে মা তোমায়’ গান দুটি। সীমান্ত খেলাঘর আসরের শিশুরা পরিবেশন করে রবীন্দ্রনাথের ‘আজি ধানের ক্ষেতে রৌদ্র ছায়ায়’ গানটি। শিল্পবৃত্তের শিশুরা পরিবেশন করে দলীয় আবৃত্তি প্রযোজনা ‘শরৎ রাণী’। দলীয় সংগীত পরিবেশনায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী পরিবেশন করে ‘আমার রাত পোহালো শারদ প্রাতে’৷ নির্ঝরণী সংগীত একাডেমি পরিবেশন করে ‘এসো হে সজল শ্যামল ঘন দেয়া’৷ সমস্বরের শিল্পীরা শোনায় ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’।

শরৎ উৎসবে নৃত্য পরিবেশনায় ধৃতি নর্তনালয়ের শিল্পীরা। ছবি : জয়ন্ত সাহা, খবরের কাগজ

এদিন একক সংগীত পরিবেশন করেন জ্যেষ্ঠ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রিয়াংকা গোপ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান অনিমা রায়, শিল্পী তানভীর আলম সজীব, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, স্নিগ্ধা অধিকারী, নবনীতা জাইদ চৌধুরী অনন্যা, ফেরদৌসী কাকলী ও রোমানা আক্তার। 

দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন স্পন্দন, ধৃতি নর্তনালয়, বাংলাদেশি একাডেমি অব ফাইন আর্টস, নৃত্যাক্ষ, কথক নৃত্য সম্প্রদায়ের শিল্পীরা।

বাচিকশিল্পী রফিকুল ইসলাম আবৃত্তি করেন কবি জীবনানন্দ দাশের ‘এখানে আকাশ নীল’ কবিতাটি।

শরৎ উৎসবের শরৎ কথনপর্বে অংশ নেন চারুশিল্পী অধ্যাপক সুশান্ত অধিকারী, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সহসভাপতি অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরী। শরৎ উৎসবের ঘোষণা পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী।

দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তিনি বলেন, ‘চিরন্তন শারদীয় উৎসবে এবার মিশে আছে বেদনার সুর। আমরা সশ্রদ্ধভাবে স্মরণ করি নবপ্রভাতের স্বপ্নবহ ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে আত্মাহুতি-দানকারী শহিদদের, ব্যথিত চিত্তে লক্ষ্য করি ঘৃণা, অসহিষ্ণুতা ও হিংসার বিস্তারে দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু। বৈষম্যহীন মুক্ত স্বাধীন সম্প্রীতির সমাজের স্বপ্নবহ আন্দোলন জীবনে নানাভাবে পল্লবিত হোক, সেই প্রত্যাশাও মিশে থাকে শরৎ-আবাহনে।’

সম্প্রীতির আহ্বান জানিয়ে মানজার চৌধুরী বলেন, ‘শারদোৎসব মেলবন্ধন রচনা করে মানবের সঙ্গে প্রকৃতির, জীবনের সঙ্গে মহাজীবনের, সমকালের সঙ্গে চিরকালের। বাংলার মাটির ও প্রকৃতির এমন উৎসব তাই নব-আনন্দে জেগে-ওঠার বাণীমন্ত্র যেমন শোনায়, তেমনি আমাদের দায়িত্ববান করে তোলে প্রকৃতি-সংহারী পদক্ষেপ প্রতিরোধে, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে, সেই সঙ্গে মানবসমাজ ও জীবনের চালচিত্রে বিভিন্নতার রঙ-রূপ-রস রক্ষা করে সম্প্রীতির জয়গান গাইতে। শরৎ উদযাপন হোক মানবিক মিলনোৎসবে মুখরিত, আন্দোলিত, জীবনের জয়গান ধ্বনিত।’

জয়ন্ত সাহা/সালমান/ 

বগুড়ায় তিন কবির কবিতাসন্ধ্যা

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
বগুড়ায় তিন কবির কবিতাসন্ধ্যা
কবিতাসন্ধ্যায় কবি কামরুল হাসান, কবি এমরান কবির ও কবি তিথি আফরোজ

বগুড়া লেখক চক্রের আয়োজনে তিন কবির কবিতাসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কবিরা হলেন কবি কামরুল হাসান, কবি এমরান কবির ও কবি তিথি আফরোজ। 

গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত কবিতাসন্ধ্যায় ১০টি করে কবিতা পাঠ করেন কবিরা। 

কবিতা পাঠের আগে সংগঠনের পক্ষ থেকে কবিদের ফুল ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন প্রধান অতিথি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেনসহ অতিথিরা। 

কবিতাসন্ধ্যায় প্রধান অতিথি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেনের সঙ্গে কবি কামরুল হাসান, কবি এমরান কবির ও কবি তিথি আফরোজসহ অন্য কবিরা

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘বগুড়া লেখক চক্রের আয়োজনে এই কবিতাসন্ধ্যায় থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি একজন ডাক্তার। ডাক্তাররা মানুষের শরীরের অসুখের চিকিৎসা করেন, আর কবিরা মনের রোগের ডাক্তার। সুস্থ শরীরের জন্য শুধু শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেই হবে না, মানসিকভাবে সুস্থ থাকা জরুরি। কবিরা সেই কাজটি গুরুত্ব সহকারে করে যাচ্ছেন।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া লেখক চক্রের উপদেষ্টা কবি-প্রাবন্ধিক খৈয়াম কাদের, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি কবি ইসলাম রফিক। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম রহমান সাগর। 

কবিতাসন্ধ্যায় কবি এমরান কবিরের গল্পগ্রন্থ ‘বৃষ্টি ও নাকফুলের গল্প’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইটি বগুড়ায় পড়ুয়াসহ দেশের স্বনামধন্য লাইব্রেরি ও অনলাইন মার্কেটপ্লেসে পাওয়া যাচ্ছে।

কবিতাসন্ধ্যায় কবি এমরান কবিরের গল্পগ্রন্থ ‘বৃষ্টি ও নাকফুলের গল্প’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়

বাচিকশিল্পী অলোক পাল ও কবি সিকতা কাজলের সঞ্চালনায় কবিতাসন্ধ্যায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা কবি-প্রাবন্ধিক শোয়েব শাহরিয়ার, অ্যাড. পলাশ খন্দকার, গোলাম সাকলায়েন বিটুল, ইয়ুথ কেয়ারের সভাপতি আতিকুর রহমান মিঠু, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ড. আহমেদ আব্দুল্লাহ। 

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মাজেদুর রহমান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বকুল, সংস্কৃতজন মির্জা আহসানুল হক দুলাল প্রমুখ। 

সালমান/ 

আবু খালেদ পাঠান সাহিত্য পুরস্কার পেলেন কফিল আহমেদ, আফরোজা সোমা

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম
আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
আবু খালেদ পাঠান সাহিত্য পুরস্কার পেলেন কফিল আহমেদ, আফরোজা সোমা
আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ‘আবু খালেদ পাঠান ফাউন্ডেশন’ প্রবর্তিত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান

শিক্ষাবিদ, লেখক ও গ্রগতিশীল চিন্তক আবু খালেদ পাঠানের স্মরণে প্রবর্তিত আবু খালেদ পাঠান সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ পেলেন কবি কফিল আহমেদ ও আফরোজা সোমা।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ‘আবু খালেদ পাঠান ফাউন্ডেশন’ প্রবর্তিত এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ২৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও প্রশংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও চিন্তক আবুল কাসেম ফজলুল হক। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ফারুক মাহমুদ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) ও কবি এম সানাউল হক, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক কাজল রশীদ শাহীন, শিক্ষক বীরেন্দ্র কিশোর রায় (বি কে রায়)। 

আবু খালেদ পাঠান ফাউন্ডেশনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন নায়লা ইয়াসমিন।

এতে সভাপতিত্ব করেন পুরস্কার প্রদান কমিটির আহ্বায়ক ও লেখক, সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, অবসরপ্রাপ্ত জজ মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক আহমেদ উল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবুল কাশেম, কবি আবুল এহসান অপু, কবি সৈয়দ এনাম উল আজিম ও কবি সদরুল উলা।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আব্দুর রশীদ ও কফিল আহমেদ।

কবি ও সংগীতশিল্পী কফিল আহমেদের জন্ম কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায়। তিনি মূলত লিটল ম্যাগাজিনকেন্দ্রিক সাহিত্যচর্চায় মনোযোগী ছিলেন। আর আফরোজা সোমার জন্ম কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। সোমা সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি পেশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

অমিয়/

ঐক্য কালচারাল কার্নিভাল অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২০ পিএম
ঐক্য কালচারাল কার্নিভাল অনুষ্ঠিত
খিলগাঁও সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ঐক্য কেজিএইচএস’ আয়োজন করেছে ঐক্য কালচারাল কার্নিভাল ২০২৪

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রভাব কাটিয়ে শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরতে শুরু করেছে। দীর্ঘ মানসিক চাপের প্রভাব কাটিয়ে তাদের আবার সুস্থ ও সৃজনশীল পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে খিলগাঁও সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ঐক্য কেজিএইচএস’ আয়োজন করেছে ঐক্য কালচারাল কার্নিভাল ২০২৪।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত এই কার্নিভালের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রশান্তি ফিরিয়ে আনা এবং বিদ্যালয়ে সুস্থ ধারার সংস্কৃতি চর্চার পুনরুদ্ধার করা।

ঐক্য কালচারাল কার্নিভালের প্রধান আকর্ষণ ছিল বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সৃজনশীল প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছিল। প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে ছিল সংগীত, চারুকলা, ঐতিহ্যবাহী শিল্প, ফটোগ্রাফি প্রভৃতি। ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী এই কার্নিভালে অংশ নেয়।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিখ্যাত সংগীতশিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রিয়াঙ্কা গোপ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. অনিমা রায়। তাদের উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ জোগায় এবং সাংস্কৃতিক চর্চার গুরুত্ব সম্পর্কে গভীর অনুপ্রেরণা দেয়।

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেরুন্নেসা।

শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলে, ‘এই ধরনের আয়োজন আমাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করেছে। তা ছাড়া সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে নতুনভাবে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা এতে অংশ নিয়ে খুশি।’ 

পরে মনোমুগ্ধকর ব্যান্ড সংগীত পরিবেশন করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সিফাত। ঐক্য কালচারাল কার্নিভালের এই আয়োজন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করে।

অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিল দৈনিক খবরের কাগজ।

বৃষ্টি-সন্ধ্যায় রবীন্দ্রসংগীতে মুখর ছায়ানট

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ পিএম
বৃষ্টি-সন্ধ্যায় রবীন্দ্রসংগীতে মুখর ছায়ানট
ছবি: খবরের কাগজ

আশ্বিনের বিকেলে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। অফিস শেষে ঘরমুখো যাত্রায় ভিজে চুপসে গেছেন নগরবাসী। বর্ষণমুখর বিকেলে নগরে ভিজেছে গগনশিরীষ, ছাতিম, শেফালি-শিউলি। এমন বৃষ্টিমুখর দিনে নগরীর সংগীতপিপাসুদের হৃদয় আর্ত হলো রবীন্দ্রসংগীতের সুরে।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৩তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় সংগীত-সন্ধ্যার। বৃষ্টি উপেক্ষা করে রবীন্দ্রপ্রেমীদের আনাগোনায় এদিন বিকেল হতেই মুখর হয়ে ওঠে ছায়ানট মিলনায়তন।

শিল্পীদের একক ও দলীয় পরিবেশনায় সাজানো হয়েছিল ছায়ানটের সংগীতসন্ধ্যা। এই আসরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেম-প্রকৃতি-স্বদেশ-পূজা পর্যায়ের গানে শ্রোতাদের বিমোহিত করেন শিল্পীরা। রাগ-বেহাগে, তাল-দাদরায় ‘শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে’ গানে পরিবেশনায় শুরু হয় ছায়ানটের এই সংগীতসন্ধ্যা। শিল্পীরা সম্মেলক কণ্ঠে প্রণতি জানান বিশ্বকবির প্রতি। পরে পূজা পর্যায়ে ‘ভয় হতে তব অভয় মাঝে’ গানটি পরিবেশন করেন মাকসুরা আখতার অন্তরা। পরে স্বদেশ পর্যায়ের ‘আপনি অবশ হলি’ গানটি গেয়ে শোনান এ টি এম জাহাঙ্গীর। পূজা পর্যায়ের ‘বাঁধন ছেঁড়ার সাধন হবে’ ও ‘আমি মারের সাগর পাড়ি দেব’ গান দুটি গেয়ে শোনান সত্যম কুমার দেবনাথ ও তানিয়া মান্নান। স্বদেশ পর্যায়ের ‘নিশি-দিন ভরসা রাখিস’ গানটি গেয়ে শোনান অভিজিৎ দাস। 

১৯২১ সালে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটি সম্পূর্ণভাবে বিদেশি বস্ত্র বর্জনের ডাক দিলেন। মহাত্মা গান্ধী বিদেশি বস্ত্র অগ্নিদগ্ধ করার কর্মসূচি গ্রহণ করলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কর্মসূচির বিরোধিতা করে লিখেছিলেন তার প্রবন্ধ ‘সত্যের আহ্বান’। সেই প্রবন্ধের অংশবিশেষ পাঠ করেন সুমনা বিশ্বাস। রাবীন্দ্রিক-সন্ধ্যায় বিশ্বকবির গীতিনাট্য ‘শিশুতীর্থ’ থেকে আবৃত্তি করে শোনান ছায়ানটের সহ-সম্পাদক জয়ন্ত রায়। 

এদিন সন্ধ্যায় স্বদেশ পর্যায়ের গান ‘তবু, পারি নে সঁপিতে প্রাণ’ শোনান অসীম দত্ত, একই পর্যায়ের গান ‘তোর আপন জনে ছাড়বে তোরে’ শোনান আইরিন পারভীন। এদিন সন্ধ্যায় আরও সংগীত পরিবেশন করেন মোস্তাফিজুর রহমান তূর্য, অমী দেবনাথ, তাহমিদ ওয়াসীফ ঋভু, আজিজুর রহমান তুহিন। অনুষ্ঠানের শেষভাগে ‘বুক বেঁধে তুই দাঁড়া দেখি’ ও ‘ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে’ গান দুটি সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করেন ছায়ানটের শিল্পীরা। রীতি অনুযায়ী অনুষ্ঠান শেষ হয় জাতীয়সংগীত পরিবেশনায়। 

এই অনুষ্ঠানে শিল্পীদের সঙ্গে তবলায় সংগত করেন সুবীর ঘোষ ও মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার, সেতারে ছিলেন ফিরোজ খান, কিবোর্ডে রবিন্স চৌধুরী, মন্দিরায় ছিলেন প্রদীপ কুমার রায়।

জয়ন্ত সাহা/এমএ/