ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

ভারতের প্রথম সৌরচালিত গাড়ি বাজারে

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:২০ এএম
ভারতের প্রথম সৌরচালিত গাড়ি বাজারে
ভারত নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম সৌরশক্তি চালিত গাড়ি ‘ইভা’। ছবি: সংগৃহীত

ভারত নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম সৌরশক্তি চালিত গাড়ি বাজারে নিয়ে এসেছে। গাড়িটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইভা’। গত শনিবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘ভারত মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপো-২০২৫’-এ উন্মোচন করা হয়েছে গাড়িটি। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ভাইভ মোবিলিটি গাড়িটি প্রস্তুত করেছে।

গাড়ির দাম ও মডেল
ভারতীয় মুদ্রায় ইভার দাম পড়বে ৩ লাখ ২৫ হাজার রুপি থেকে ৬ লাখ রুপি পর্যন্ত, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা থেকে ৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। তিনটি মডেলে পাওয়া যাবে গাড়িটি। এগুলো মধ্যে রয়েছে নোভা (৯ কিলোওয়াট আওয়ার), স্টেলা (১২ দশমিক ৬ কিলোওয়াট আওয়ার) ও ভেগা (১৮ কিলোওয়াট আওয়ার)।

চার্জিং সুবিধা ও ব্যাটারি সক্ষমতা
এই গাড়ি সম্পূর্ণ সৌরশক্তিতে চলে। এর ব্যাটারি পুরোপুরি চার্জ হলে সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ পাড়ি দিতে পারে। এসি চালু থাকলেও একই দূরত্ব অতিক্রম করা সম্ভব। মূল ব্যাটারির চার্জ শেষ হলে ব্যাকআপ ব্যাটারি সক্রিয় হবে। এর সাহায্যে আরও ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত যাওয়া যাবে। সূর্যের আলো কম থাকলে গ্রাহকরা চার্জারের সাহায্যেও গাড়িটি চার্জ করতে পারবেন।

ওয়ারেন্টি ও প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য
ভাইভ মোবিলিটি গ্রাহকদের জন্য ইভার প্রতিটি মডেলের ক্ষেত্রে তিন বছরের ওয়ারেন্টি ও ব্যাটারির জন্য পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টি দেবে।

মেলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভাইভ মোবিলিটির প্রধান নির্বাহী নীলেশ বাজাজ বলেন, ‘ইভা শুধু একটি গাড়ি নয়, বরং ভারতের অটোমোবাইল শিল্পের জন্য এটি একটি বিপ্লব। ভাইভ মোবিলিটি ও ভারতের অটোমোবাইল সব সময়ই আবিষ্কার, স্থায়িত্ব এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানোর পক্ষে। ইভা ভারতকে সেই ধারণাই তুলে ধরছে। টেকসই যানবাহনের পথে এটি আমাদের বড় একটি পদক্ষেপ।’

ভাইভ মোবিলিটির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সৌরভ মেহতা জানান, ‘সৌর প্যানেলের সঙ্গে বৈদ্যুতিক মোটরের সংযোগ করা বেশ জটিল একটি বিষয়। এই প্রযুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণার পর আমরা সফল হয়েছি। ইভার প্রতিটি মডেলের হার্ডওয়্যার মজবুত ও সফটওয়্যার যথেষ্ট উন্নত।’

গতি ও ব্যবহারযোগ্যতা
গাড়িটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে সক্ষম। শহুরে চলাচলের জন্য এটি আদর্শ পরিবহন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ওয়েমোর চালকবিহীন রোবোট্যাক্সি

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:০৫ এএম
ওয়েমোর চালকবিহীন রোবোট্যাক্সি
ওয়েমো তাদের রোবোট্যাক্সি পরিষেবা আরও বিস্তৃত করার ঘোষণা দিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

স্বচালিত গাড়ির পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েমো তাদের রোবোট্যাক্সি পরিষেবা ‘ওয়েমো ওয়ান’ আরও বিস্তৃত করার ঘোষণা দিয়েছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার নতুন কিছু অঞ্চলে এই পরিষেবা চালু হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে মাউন্টেন ভিউ, লস আল্টোস, পালো আল্টো ও সানিভেলের কিছু অংশ। প্রতিষ্ঠানটির সিলিকন ভ্যালি সদর দপ্তরের আশপাশে এই রোবোট্যাক্সি পরিষেবা সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

প্রতিষ্ঠানটি কয়েক বছর ধরে মাউন্টেন ভিউ এলাকায় তাদের স্বচালিত গাড়িগুলো পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালনা করে আসছে, যেখানে তাদের সদর দপ্তর অবস্থিত। টেকক্রাঞ্চের তথ্যমতে, ওয়েমো ওয়ান বর্তমানে সিলিকন ভ্যালির ২৭ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে পরিষেবা দেবে। এর পাশাপাশি সান ফ্রান্সিসকোসহ বে এরিয়ার অন্যান্য অংশে ৫৫ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে এই পরিষেবা ইতোমধ্যে চালু রয়েছে।

ওয়েমো সম্প্রতি তাদের রোবোট্যাক্সি পরিষেবা বিস্তারের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। এর আগে লস অ্যাঞ্জেলেস ও ফিনিক্সে এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে। গত সপ্তাহে সাউথ বাই সাউথওয়েস্ট ইভেন্টের ঠিক আগে টেক্সাসের অস্টিনে রোবোট্যাক্সি পরিষেবা চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া মায়ামি ও আটলান্টাতেও এই পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওয়েমো জানিয়েছে, তারা এই বছর আরও ১০টি নতুন শহরে তাদের স্বচালিত গাড়ি পরীক্ষামূলক পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস ও সান ডিয়েগো রয়েছে।

ওয়েমোর এই বিস্তৃত পরিকল্পনা ভবিষ্যতে স্বচালিত প্রযুক্তির উন্নত করতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশের বাজারে দুটি ইলেকট্রিক বাইক আনল রিভো

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৪:১১ পিএম
দেশের বাজারে দুটি ইলেকট্রিক বাইক আনল রিভো
দেশের বাজারে রিভো নতুন দুটি ইলেকট্রিক বাইক এনেছে। ছবি: খবরের কাগজ

দেশের ইলেকট্রিক বাইকের বাজারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড রিভো। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি দেশের বাজারে এনেছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দুটি ইলেকট্রিক বাইক। ‘এ১০’ ও ‘এ১২’ মডেলগুলো দৈনন্দিন যাতায়াতের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের জন্য আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী সমাধান হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আশা করছে রিভো।

রিভো জানিয়েছে, নতুন এই বাইকগুলো দেখতে যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনি টেকসই ও ব্যাটারি পারফরম্যান্সেও অসাধারণ। রিভোর এ১০ মডেলের দাম শুরু হয়েছে ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা থেকে এবং এ১২ মডেলটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা। একবার সম্পূর্ণ চার্জে এই বাইকগুলো ৬৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে সক্ষম।

সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক শোরুমে নতুন এই বাইক দুটি উন্মোচন করেন রিভো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ভেন নেইল। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ রূপান্তরের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চাই মানুষ আরও টেকসই ও সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক যানবাহনের মাধ্যমে তাদের দৈনন্দিন যাতায়াত সহজতর করুক।’

রিভো এ১০
এই মডেল বিশেষভাবে তরুণদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আধুনিক ডিজাইন, সম্পূর্ণ গ্রাফিন ব্যাটারি এবং একবার চার্জে ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার চলতে সক্ষম এটি। বাইকটির সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটার। নিরাপদ ও আরামদায়ক যাতায়াতের জন্য এটি আদর্শ। মাটি থেকে বাইকটির উচ্চতা ১২০ মিলিমিটার। বাইকটিতে এলইডি মিটারের পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য হাইড্রোলিক ব্রেকও রয়েছে।

রিভো এ১২
‘এ০১’ মডেলের উন্নত সংস্করণ এই মডেল মূলত পেশাদার ও করপোরেট ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এতে রয়েছে ৬০ ভোল্টের ২৬ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের গ্রাফিন ব্যাটারি এবং ১০০০ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মোটর। বাইকটির সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় ৪৭ কিলোমিটার এবং একবার চার্জে এটি ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। আসনের নিচে সুপরিসর জায়গা থাকায় হেলমেটসহ অন্যান্য বস্তু সহজে রাখা যায়। মাটি থেকে বাইকটির উচ্চতা ১৫৫ মিলিমিটার। বাইকটিতে আকারে বড় ডিজিটাল স্পিডোমিটার থাকায় সহজে বাইকের যাবতীয় তথ্য জানার সুযোগ মেলে।

রিভো তার গ্রাহকদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে ক্রমাগত প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধন করছে। ব্যবহারকারীদের আরও ভালো মাইলেজ, গতি ও পারফরম্যান্স দেওয়ার লক্ষ্যে তারা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। কোম্পানিটি সারা দেশে ছয় মাসের ডোরস্টেপ সার্ভিস এবং ২৪ মাস পর্যন্ত ওয়ারেন্টি দিচ্ছে।

/আবরার জাহিন

বাংলাদেশের বাজারে ডিপালের বৈদ্যুতিক গাড়ি

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৫, ১২:১০ পিএম
বাংলাদেশের বাজারে ডিপালের বৈদ্যুতিক গাড়ি
বাংলাদেশের বাজারে ডিপালের বৈদ্যুতিক গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে নতুন দুটি মডেলের বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) এনেছে চাঙ্গান অটোমোবাইলসের পরিবেশক ডিএইচএস অটোস লিমিটেড। ডিপাল ব্র্যান্ডের ‘এস০৭’ ও ‘এল০৭’ মডেলের গাড়ি দুটি গত সোমবার রাজধানীর পূর্বাচলের শালবন স্পোর্টস গ্রাউন্ডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উন্মোচন করা হয়েছে। ডিএইচএস অটোসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান জামান খান, মহাব্যবস্থাপক আরমান রশিদসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

ডিএইচএস অটোস জানিয়েছে, বাংলাদেশে সংযোজিত ‘ডিপাল এস০৭’ ও ‘ডিপাল এল০৭’ মডেলের গাড়িগুলোতে স্মার্ট ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, স্মার্ট কেবিন কন্ট্রোল এবং আরামদায়ক আসনসহ আধুনিক সব সুবিধা রয়েছে। গাড়িগুলো ঢাকার গুলশানে ডিএইচএস অটোসের শোরুমে পাওয়া যাবে।

ইমরান জামান খান জানান, ডিপাল এস০৭ মাঝারি আকারের সেডান গাড়ি। শক্তিশালী মোটরযুক্ত বিলাসবহুল এই গাড়ির নকশা আকর্ষণীয়। ক্রেতাদের সুবিধার্থে সহজলভ্য সার্ভিসিং ও যন্ত্রাংশে আট বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা দেবে ডিএইচএস অটোস।

আরমান রশিদ বলেন, বাংলাদেশের ইভি বাজারে ডিএইচএস অটোস অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ভবিষ্যতে ডিপালের আরও আকর্ষণীয় মডেল বাংলাদেশে উন্মোচন করা হবে। দেশের চার্জিং অবকাঠামো উন্নয়নেও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

/আবরার জাহিন

রয়্যাল এনফিল্ড কেন বন্ধ করল একটি সংস্করণের উৎপাদন

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৫, ১০:০৫ এএম
আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম
রয়্যাল এনফিল্ড কেন বন্ধ করল একটি সংস্করণের উৎপাদন
বুলেট ৩৫০ মিলিটারি সিলভার। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রয়্যাল এনফিল্ড তাদের একটি জনপ্রিয় মডেলের উৎপাদন সম্প্রতি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। মূলত বাজারের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে বুলেট ৩৫০ মিলিটারি সিলভার সংস্করণ আর তৈরি করবে না প্রতিষ্ঠানটি। 

কেন বন্ধ হচ্ছে এই মডেল? 
রয়্যাল এনফিল্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ইতোমধ্যে বুলেট ৩৫০-এর মিলিটারি সিলভার শেড ভ্যারিয়েন্ট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রয়্যাল এনফিল্ড জানিয়েছে, বাজারে এই বিশেষ ভ্যারিয়েন্টের চাহিদা কম থাকায় এটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যারা বুলেট ৩৫০ মডেল পছন্দ করেন, তাদের জন্য রয়েছে বিকল্প রঙের অপশন। মিলিটারি সিলভার ব্ল্যাক ও মিলিটারি সিলভার রেড নামের দুটি নতুন রঙের সংস্করণ বাজারে এনেছে রয়্যাল এনফিল্ড। 

বুলেট ৩৫০-এর জনপ্রিয়তা 
রয়্যাল এনফিল্ডের বাইকগুলো বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। ক্লাসিক ৩৫০, বুলেট ৩৫০, হিমালয়ান ৪১১ এবং হান্টার ৩৫০ মডেলগুলো রয়্যাল এনফিল্ডের অন্যতম সেরা বিক্রীত বাইকের তালিকায় রয়েছে। মিলিটারি সিলভার শেডের বুলেট ৩৫০ মডেলটি ২০২৩ সালে লঞ্চ করা হয়েছিল, যার দাম ছিল ভারতীয় বাজারে প্রায় ১ লাখ ৭৯ হাজার রুপি। যদিও এটি সাধারণ বুলেট ৩৫০-এর তুলনায় দামি ছিল, তবে উৎপাদন বন্ধের পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে কম বিক্রির হারকেই দায়ী করছে তারা। 

বুলেট ৩৫০-এর ইঞ্জিন ও পারফরম্যান্স 
এই মডেলটিতে রয়েছে ৩৪৯ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার, এয়ার-কুলড জে-সিরিজ ইঞ্জিন। এটি ৬১০০ আরপিএম-এ ২০.২ বিএইচপি শক্তি এবং ৪০০০ আরপিএম-এ ২৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। 

নতুন কী আসছে? 
রয়্যাল এনফিল্ড ইতোমধ্যে নতুন বছর উপলক্ষে তিনটি নতুন মডেল আনার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে বন্ধ হওয়া মডেলটির পরিবর্তে নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাইকারদের কাছে বুলেট সিরিজের চাহিদা এখনো তুঙ্গে, তাই ভবিষ্যতে নতুন চমক নিয়ে আসতে পারে রয়্যাল এনফিল্ড।

সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কিনতে যা মনে রাখবেন

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ১০:০৫ এএম
সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কিনতে যা মনে রাখবেন
ছবি: সংগৃহীত

বাজেটের মধ্যে ভালো মানের বাইক পেতে অনেকে সেকেন্ড হ্যান্ড বা পুরোনো মোটরসাইকেলের দিকে ঝুঁকছেন? তবে পুরোনো বাইক কেনার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি, নাহলে ভবিষ্যতে ভোগান্তি ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে পারেন। তাই বাইক কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।

কাগজপত্র যাচাই
বাইকের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেন, বিমা কাগজপত্র ও ফিটনেস সার্টিফিকেট ভালোভাবে পরীক্ষা করুন। মালিকানা সঠিক কি না, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। যদি কাগজপত্রে কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে আইনগত জটিলতায় পড়ার শঙ্কা থাকবে। রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের সঙ্গে বাইকের নাম, ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর মিলিয়ে দেখুন। মালিকানা হস্তান্তরের নথি আছে কি না, তা নিশ্চিত হোন। 

ইঞ্জিনের অবস্থা পরীক্ষা
বাইকের হার্ট বা প্রাণ হলো ইঞ্জিন। ইঞ্জিন ভালো না হলে বাইক কেনার পর ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে। তাই বাইক স্টার্ট দেওয়ার পর অস্বাভাবিক শব্দ হয় কি না, তেল লিকেজ আছে কি না এবং ইঞ্জিন দ্রুত গরম হয় কি না- এসব বিষয় ভালোভাবে খেয়াল করুন। সম্ভব হলে কোনো দক্ষ মেকানিককে সঙ্গে নিয়ে ইঞ্জিন পরীক্ষা করুন।

বাইকের সামগ্রিক অবস্থা মূল্যায়ন 
বাইকের বাহ্যিক কাঠামো ও অন্যান্য অংশও গুরুত্বপূর্ণ। বডি ও পেইন্ট খেয়াল করুন। বাইকে থাকা মরিচা, ডেন্ট বা রঙের অসামঞ্জস্যতা থেকে বাইকের যত্নের ধরন এবং দুর্ঘটনায় পড়ার ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। ব্রেক চাপলে প্রতিক্রিয়া কী? টায়ারের গ্রিপ ক্ষয়ে গেছে কি না দেখুন। হেডলাইট, টেললাইট, ইন্ডিকেটর, হর্ন এবং অন্যান্য ইলেকট্রিক্যাল পার্টস ঠিকঠাক কাজ করছে কি না যাচাই করুন।

মাইলেজ যাচাই 
ওডোমিটার দেখে বাইক কত কিলোমিটার চলেছে তা বুঝতে পারবেন। বেশি চালানো বাইকের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তবে তা একমাত্র মাপকাঠি নয়। ওডোমিটারে দেখানো মাইলেজের সঙ্গে বাইকের বাহ্যিক অবস্থার মিল আছে কি না খেয়াল করুন। রাইড দিয়ে ব্রেক, ক্লাচ ও গিয়ার শিফটিং ঠিকঠাক কাজ করছে কি না, তা যাচাই করুন। সাধারণত বাইক যত বেশি চলে, তত বেশি মেরামতের প্রয়োজন হতে পারে। তবে কম দূরত্ব চালানো বাইক মানেই সব সময় ভালো, এমনো নয়।

দামের তুলনামূলক বিশ্লেষণ 
বাজারে একই মডেলের বাইকের গড় দাম কত, তা অনলাইন বা স্থানীয় শোরুমে জেনে নিন। এতে আপনি বুঝতে পারবেন প্রস্তাবিত মূল্যটি যৌক্তিক কি না। দাম বেশি হলে বিক্রেতার সঙ্গে দর কষাকষি করুন।

বিশেষজ্ঞের মতামত নিন
যদি বাইকের প্রযুক্তিগত বিষয় সম্পর্কে বিশেষ ধারণা না থাকে, তাহলে কোনো বিশেষজ্ঞ বা মেকানিকের সাহায্য নিন। তিনি ইঞ্জিন, গিয়ারবক্স, ক্লাচ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরীক্ষা করে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন। কাগজপত্রে বিক্রেতার স্বাক্ষর ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংযুক্ত করুন। ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি লিখিতভাবে নথিবদ্ধ করে রাখুন ভবিষ্যতের জটিলতা এড়াতে।

সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কেনার সময় শুধু কম দাম দেখলে হবে না, বরং বাইকের কার্যক্ষমতা, কাগজপত্র ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো যাচাই করা জরুরি। সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে কিনলে বাইক আপনার জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা দিতে পারবে।

/আবরার জাহিন