ঢাকা ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

১৭ শিক্ষার্থীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিল ঢাবি প্রশাসন

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৪, ১০:৪২ পিএম
আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪, ১০:৪২ পিএম
১৭ শিক্ষার্থীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিল ঢাবি প্রশাসন
ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হলে জানানো সাপেক্ষে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিল, গেল দুইদিন আগে। এবার সেই আশ্বাসের বাস্তবায়ন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সহযোগিতায় ১৭ জন শিক্ষার্থীকে থানা থেকে থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানী ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১৭ জন শিক্ষার্থীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকা ৫ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছেন তারা।

থানা থেকে থেকে ছাড়িয়ে আনা ১৭ শিক্ষার্থীরা হলেন- দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মুক্তার আহমেদ, রুকু খাতুন; শিল্পকলা বিভাগের ইমরান সাদমান, ইশরাক তৈমুর, ইমরান মিয়া; বাংলা বিভাগের মোসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ; কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের আবিদ হাসান, আরবি বিভাগের আবিদ হাসান রাফি; ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের নাজমুল হাসান শান্ত, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজের মাসুম বিল্লাহ, ব্যাংকিং বিভাগের খাইরুল আজিম, ব্যবসায় প্রশাসন ইনিস্টিউটের (আইবিএ) রুবায়েত ফেরদৌস রনিন, ওএসএল বিভাগের রাশেদ খান আবিদ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সাদমান আব্দুল্লাহ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মোস্তাক তাহমিদ, মার্কেটিং বিভাগের আরমান খান এবং ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী এম এ তামিম।

এদিকে একদিনের মাথায় শিক্ষার্থীরা যেন হয়রানির শিকার হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহকারী প্রক্টরের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঢাবির কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হলে সহকারী প্রক্টর ড. মো. হাসান ফারুক (মোবাইল নম্বর: ০১৭৬৮৮৮৪৪২৮) এবং ছাত্রীদের সহকারী প্রক্টর ড. ফারজানা আহমেদের (মোবাইল নম্বর: ০১৭১১৫৭৬৩৮৯) সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। বলা হচ্ছে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে সহযোগিতার চেষ্টা করছি। চেষ্টার কোন অংশে কমতি রাখিনি। উপাচার্য নিজেও বিভিন্ন থানায় এবং পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছেন। হাসপাতালে গিয়েছেন, আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া আহত ৮০-এর অধিক শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা কোর্টে চলে গেছে তাদের আইনি সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ১৭ জনকে ছাড়িয়ে আনার পাশাপাশি আটকে থাকা এবং হয়রানির শিকার হওয়াদের নিরাপদ করার চেষ্টা করছি।’

এর আগে গত সোমবার (২৯ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নানা সংবাদ গণমাধ্যমে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যাতে হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আহ্বান জানায়। সেই সঙ্গে কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হলে তাকে প্রক্টর অফিসকে অবহিত সাপেক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্ভাব্য সব সহযোগিতা প্রদান করার বিষয়টি আশ্বস্ত করা হয়।

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

ঢাবিতে রাজনীতি নিষিদ্ধ ও ডাকসু নির্বাচনের দাবি

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম
ঢাবিতে রাজনীতি নিষিদ্ধ ও ডাকসু নির্বাচনের দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ ও অবিলম্বে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল সাধারণ শিক্ষার্থী। এ নিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের দাবি অত্যন্ত সুস্পষ্ট, আমরা রাজনীতিমুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চাই। ক্যাম্পাসে ডাকসু ব্যতীত কোনো ধরনের দলীয়, লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি চলবে না। রবিবার (আজ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা রয়েছে, আমাদের দাবি- সেখানে যেন সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদানকালে তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন এ ব্যাপারে তিনি সিন্ডিকেট সভায় আলোচনা করবেন।’

৯০ দিনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম ইমন বলেন, ‘আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে। ডাকসুর মাধ্যমে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন করা হলে তারা কোনো দলকে খুশি করার জন্য দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে না এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে জবাবদিহিমূলক রাজনীতি চালু হয়ে আসবে।’

আরেক শিক্ষার্থী হৃদয় আহমেদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এক দফা ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা। কিন্তু সেই কথাটি অনেকেই এখন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বলার চেষ্টা করছেন। দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেই দখলদারত্ব, লেজুড়বৃত্তি রাজনীতির রাস্তা এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।’

এর আগে দুই দফা দাবিসংবলিত একটি স্মারকলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে হস্তান্তর করেন শিক্ষার্থীরা। দাবি দুটি হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব ধরনের দলীয় ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন আয়োজন।

রাবিতে প্রক্টর ও চার হলে প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম
রাবিতে প্রক্টর ও চার হলে প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবনিযুক্ত প্রক্টর ড. মো. মাহবুবর রহমান। ছবি : খবরের কাগজ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবনিযুক্ত প্রক্টর ড. মো. মাহবুবর রহমান দায়িত্বে যোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া চারটি হলে নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব তাদের নিয়োগ দেন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

নবনিযুক্ত প্রাধ্যক্ষরা হলেন- মতিহার হলে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছামিউল ইসলাম সরকার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জামিরুল ইসলাম, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. লাভলী নাহার ও শহিদ হবিবুর রহমান হলে ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক বায়তুল মোকাদ্দেছুর রহমান।

নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান রাবির রসায়ন বিভাগ থেকে ১৯৯৯ সালে স্নাতক (সম্মান) ও ২০০০ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১১ সালে তিনি ফ্রান্সের লিওঁ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি বেলজিয়াম থেকে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণাও সম্পন্ন করেন। এর আগে তিনি ২০০৪ সালে রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন ও ২০১৭ সালে প্রফেসর পদে উন্নীত হন। এ ছাড়া কর্মজীবনে তিনি জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর এবং যুক্তরাষ্ট্রে ফুলব্রাইট স্কলার ও ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন। বিভিন্ন জার্নালে ও অন্যান্য প্রকাশনায় তার প্রায় ৯০টি প্রবন্ধ ও সম্পাদিত গ্রন্থের অধ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।

এসআই সুমন/সালমান/

কুবিতে ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে কাওয়ালি সন্ধ্যা

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
কুবিতে ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে কাওয়ালি সন্ধ্যা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) জুলাই ও আগস্ট মাসের ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে কাওয়ালি সন্ধ্যার আয়োজন করতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী সাংস্কৃতিক মঞ্চ।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এই কাওয়ালি সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন সমন্বয়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন।

কাওয়ালি সন্ধ্যা কুবির সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবর্তন ও থিয়েটারের শিল্পীদের উদ্যোগে পরিচালিত হবে। 

এই বিষয়ে কুবি সমন্বয়ক সাকিব বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহিদদের স্মরণে গণ-আত্মার কবিতা, দ্রোহের গান হবে। এতে এই প্রজন্ম শহিদের স্মৃতি ধরে রাখার প্রচেষ্টা বলে আমার বিশ্বাস।’

আতিকুর তনয়/জোবাইদা/অমিয়/

ঢাবির ভবন থেকে ইট পড়ে আহত বুয়েট শিক্ষার্থী আইসিইউতে

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ এএম
ঢাবির ভবন থেকে ইট পড়ে আহত বুয়েট শিক্ষার্থী আইসিইউতে
তাওসিফ মাহির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়ে আহত হওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তাওসিফ মাহির ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলক্ষেত এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। 

এদিকে মাহির আহতের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে ঢাবি কর্তৃপক্ষের কাছে তিন দফা দাবি জানান।

তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন ঢাবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ। মাহির বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। 

দাবিগুলো হলো-  ১. বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ও কন্ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে কনস্ট্রাকশন সেফটি মেইনটেইন্যান্স ও কন্সট্রাকশন সেফটি হ্যাজার্ড লঙ্ঘন করার অপরাধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া। ২. তাওসিফ মাহিরের চিকিৎসা ব্যয় সম্পূর্ণভাবে ওই কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে বহন করতে হবে। ৩. এই ঘটনার ফলে তাওসিফ মাহিরের জীবন সংকটাপন্ন ও একাডেমিক জীবনও বাধাগ্রস্ত হলো। তাই পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে সুনিশ্চিত করতে হবে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ‘ডাক্তারের ভাষ্যমতে, মাহিরের মাথার খুলির হাড় ভেঙে মগজে ঢুকে গেছে। এই মুহূর্তে তিনি মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছেন। তাই দাবি না মানা পর্যন্ত ওই ভবনের যাবতীয় কাজ বন্ধ থাকবে।’

প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে, ঢাবি উপাচার্য তাতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ওই ভবনের কাজ বন্ধসহ শিক্ষার্থীদের সব দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া এ ঘটনার পেছনে কারও যদি গাফিলতি থাকে, তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. ফারুক বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে নীলক্ষেত থেকে পলাশীর দিকে রিকশায় করে যাচ্ছিলেন শিক্ষার্থী মাহির। সে সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ কোয়ার্টারের নির্মাণাধীন ২০ তলা ভবন থেকে কয়েকটি ইটের টুকরো তার মাথায় পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বুয়েটের গেটে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তার সহপাঠীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তার মৃত্যু খবর নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে খবরও প্রচার হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে মাহির ঢামেকের আইসিইউতে রয়েছেন। 

মেট্রোরেলের গার্ডারে ছাত্রলীগের স্লোগান মুছে বিদ্রোহী কবিতার পঙ্‌ক্তি

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ পিএম
আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১২ পিএম
মেট্রোরেলের গার্ডারে ছাত্রলীগের স্লোগান মুছে বিদ্রোহী কবিতার পঙ্‌ক্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মেট্রোরেল স্টেশনের গার্ডারে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘চির উন্নত মম শির’ লিখে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মেট্রোরেল স্টেশনের গার্ডারে ছাত্রলীগের লেখা ‘জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো’ মুছে দিয়ে সেখানে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘চির উন্নত মম শির’ লিখে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। 

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পেছনে মেট্রোরেলের গার্ডারে ওই পরিবর্তন দেখা যায়। যেখানে ‘জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো’ লিখা সবুজ আস্তরণে ঢেকে দিয়ে তার ওপরে লাল রঙে লেখা ‘চির উন্নত মম শির।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছয় শিক্ষার্থী এই কাজটি করেছেন। এ কাজে নেতৃত্ব দেওয়া একজন এস এম এহসান উল্লাহ।

তিনি বলেন, “রাজু ভাস্কর্যের পেছনে মেট্রোরেলে ফ্যাসিবাদের দলীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ লেখা ছিল। এসব লেখাগুলো দ্বারা স্বৈরাচার তার অস্তিত্ব বিভিন্নভাবে মানুষের মনস্তত্ত্বে ঢুকিয়ে দিতে চায়। স্বৈরাচার যেন কোনোভাবেই পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য আমরা ‘জয় বাংলা’ লেখাটি মুছে দিয়ে সেখানে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার অমর পঙ্‌ক্তি ‘চির উন্নত মম শির’ লিখে দিয়েছি। এই লেখার মাধ্যমে সকলের কাছে আমরা বার্তা দিতে চাই যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই স্বৈরাচারের কাছে মাথা নত করে না।”