শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের মধ্যেই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পিএসসহ তিন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) রেজিস্ট্রার দপ্তরে প্রত্যেকে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করেছেন- কম্পিউটার ও তথ্যকেন্দ্র এবং আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক মো. মাসুম, উপাচার্যের পিএস মো. কবির উদ্দিন এবং এপিএস মো. সাইদুর রহমান ভুইয়া।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত)-সহ ৬ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন।
গতকাল সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যারা এখনো পদত্যাগ করেননি তাদের পদত্যাগের দবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক টিম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গত ৭ আগস্ট আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষণা দিয়েছিলাম যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাবিপ্রবির ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, শিক্ষক সমিতি নেতারাসহ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও শিক্ষার্থীদের মৃত্যুঝুঁকিতে ফেলার দায় স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা এবং নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, ইতোমধ্যে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, মেডিকেল প্রশাসক, পরিবহণ প্রশাসক, গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক, প্রক্টরিয়াল টিম ও ৬টি আবাসিক হলের হল প্রভোস্ট বডির সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন। তবে নির্লজ্জ প্রশাসনের অনেকেই এখনো পদত্যাগ করেননি। যার মধ্যে রয়েছেন রেজিস্ট্রার ফজলুর রহমান, ভিসির পিএস কবির হোসেন ও এপিএস সাঈদুর রহমান মিঠু, প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক একেএম ফেরদৌস, চিফ ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ হাবিবুর রহমান, মহাবিদ্যালয় পরিদর্শক তাজিম উদ্দিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুজিবুর রহমান, আইআইসিটির পরিচালক অধ্যাপক ড. এম জহিরুল ইসলাম, কম্পিউটার ও তথ্য কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মাসুম, আইএমএলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আলমগীর তৈমুর, লাইব্রেরি প্রশাসক অধ্যাপক ড. আজিজুল বাতেন।
যেসব শিক্ষকেরা ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন আমরা তাদের স্বাগত জানাচ্ছি। তবে যারা এখনো পদত্যাগ করেননি তাদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করবে। এমনকি আমাদের দাবি মেনে পদত্যাগ না করে তারা জনরোষের শিকার হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দায়ী থাকবে না।”
ইসফাক আলী/সালমান/