ঢাকা ২৭ ভাদ্র ১৪৩১, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিক্ষার্থীদের হলে ওঠা শেষ হলে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু: ঢাবি উপ-উপাচার্য

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
শিক্ষার্থীদের হলে ওঠা শেষ হলে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু: ঢাবি উপ-উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

গত ৬ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) খুললেও শুরু হয়নি একাডেমিক কার্যক্রম। একাডেমিক কার্যক্রম চালু হতে এখনো প্রয়োজনীয় কাজ চলমান রয়েছে। জানা গেছে, হলগুলোতে বৈধ শিক্ষার্থী ওঠানো শেষ হলে তবেই একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরবে ঢাবি।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) খবরের কাগজকে এমনটিই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তো খোলা রয়েছে। এখন একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার বিষয়ে কাজ চলছে। হলগুলোতে যদি সব শিক্ষার্থী না ফেরে, তাহলে অনেকেই ক্লাস-পরীক্ষা মিস করে ফেলবে। তা ছাড়া হলগুলোতে এখন সিট বরাদ্দের কার্যক্রম চলছে। এ কাজটি শেষ হয়ে গেলেই আমরা একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন যদি আগেই পরীক্ষা শুরু করে দিই, তাহলে অনেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। তাই আমরা আগে ক্লাস শুরু করার বিষয়ে ভাবছি। এ ছাড়া অনেক শিক্ষার্থীর পড়াশোনা শেষ হয়েছে, তারা হল ছেড়ে চলে যাবে। সেখানেও একটি প্রক্রিয়া রয়েছে এবং ফাঁকা হওয়া আসনগুলো আবার মেধার ভিত্তিতে বরাদ্দ দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গাছ কাটা বন্ধ রাখতে শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ এএম
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ এএম
গাছ কাটা বন্ধ রাখতে শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের নামে নির্বিচারে গাছের ডালপালা কাটার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ৯০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মোতাছিম বিল্লাহ রিফাত, লোকপ্রশাসন বিভাগের রুবেল চন্দ্র দাস, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মীর মো. ইকবাল হোসেন এই স্মারকলিপি জমা দেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা জানান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যময় ও সৌন্দর্যে ঘেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সাল নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার অভিমুখের রাস্তাটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও তীব্র রোদ থেকে বাঁচার জন্য কৃষ্ণচূড়া, জারুল এবং সোনালুগাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো, কিছুদিন পরপর বৈদ্যুতিক তারের দোহাই দিয়ে নির্বিচারে গাছগুলোর ডালপালা কাটা হয়। এর ফলে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ও ছায়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ব্যক্তি বঞ্চিত হচ্ছেন এবং প্রকৃতি ধ্বংসের মুখে ধাবিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ সেপ্টেম্বর আবারও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অজুহাত দেখিয়ে গাছের ডালপালা বেপরোয়াভাবে কাটা হয়।’

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা কিছুদিন পরপর গাছের ডালপালা না কেটে চূড়ান্ত সমাধান হিসেবে দুটি দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো উপযুক্ত জায়গায় স্থানান্তর করতে হবে, বৈদ্যুতিক তারের দোহাই দিয়ে নির্বিচারে গাছের ডালপালা কাটা বন্ধ করতে হবে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অনুরোধে গাছের ডালপালা কাটা বন্ধ রেখেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। 

এ বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘আমরা বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখব। নতুন উপাচার্য আসার পরই এই সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রয়োজনে তারগুলো মাটির নিচে দিয়ে নেব।’ চলমান কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা গাছ কাটার কর্মসূচি স্থগিত করে দিয়েছি।’

গত ৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের একটি গাছের ডালসহ ক্যাফেটেরিয়ার অপর পাশে থাকা কয়েকটি গাছের ডাল কেটে দেওয়া হয়েছিল।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কুয়েটকে এগিয়ে নিতে নতুন ভিসির নানা পরিকল্পনা

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ এএম
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ এএম
কুয়েটকে এগিয়ে নিতে নতুন ভিসির নানা পরিকল্পনা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ

শিক্ষা-গবেষণায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন নবনিযুক্ত ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ। গত ৫ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নেওয়ার পরই কুয়েটে সব ধরনের টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগের দুর্নীতি, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, ছাত্র হলগুলোতে অনিয়ম বন্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন হত্যার ঘটনায় নতুন করে আইনগত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হলে সারারাত আটকে রেখে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এ ছাড়া ছাত্র হলে প্রোভস্ট, সহকারী প্রোভস্ট ‘টপ টু বটম’ বাদ দেওয়া হয়েছে। জ্যেষ্ঠতা ও মেধার ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে খুলনায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নবনিযুক্ত ভিসি কুয়েটকে এগিয়ে নিতে নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘রুটিন দায়িত্বে আসার পর পুলিশ-আর্মি-ডিজিএফআই তিন বাহিনীর লোক দিয়ে প্রত্যেকটা হল সার্চ করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, কিছু শিক্ষক ও প্রোভস্ট তার আগের দিন ছাত্রদের কাছে এই তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় তারা রুম খুলে রাতের আঁধারে অবৈধ জিনিসপত্র নিয়ে চলে গেছে।’ 

অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘গত ১৫-১৬ বছরের নিয়োগ নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা যাচাই করা হবে। অনেকের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেটে ঝামেলা আছে, সেগুলো দেখা হবে। কুয়েটে কোনো অনিয়ম হতে দেওয়া হবে না। কেউ দুর্নীতি করলে পার পাবে না। প্রতিষ্ঠানের জন্য যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আছি।’ 

নবনিযুক্ত ভাইস চ্যান্সেলর আরও বলেন, ‘শিক্ষা-গবেষণা ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কুয়েটকে ভালো একটি অবস্থানে নিতে চাই। আমি এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলাম। আবার আমি এখনকার শিক্ষক। এখানকার প্রত্যেক ছাত্র-শিক্ষক আমার ছাত্র, আমার শিক্ষক। সুতরাং প্রতিষ্ঠানকে ভালোবাসি বলেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করব।’ তিনি কুয়েটকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

ঢাবিতে যৌন নিপীড়ন সেল পুনর্গঠনের দাবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ পিএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ পিএম
ঢাবিতে যৌন নিপীড়ন সেল পুনর্গঠনের দাবি শিক্ষার্থীদের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন সেল পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল সাধারণ নারী শিক্ষার্থী। ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) যৌন নিপীড়ন সেল পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল সাধারণ নারী শিক্ষার্থী। এ ছাড়া সেল পুনর্গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে যৌন নিপীড়ন সেল স্থাপন করা, অভিযোগ দায়ের করার পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করাসহ ১২ দফা জানিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন নারী শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ওই স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নূজিয়া হাসিন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-রুম নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ নয়। প্রায়ই শিক্ষক অথবা অন্য শিক্ষার্থী দ্বারা নারী শিক্ষার্থীদের ওপর যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ বিচারহীনতার সংস্কৃতি এই নিপীড়ন কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করেছে। ক্ষমতাতন্ত্রের সঙ্গে পুরুষতন্ত্রের সম্পর্ককে স্পষ্ট করে তুলেছে আমাদের সামনে। কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের যৌন হয়রানি নিষিদ্ধ করে উচ্চ আদালতের ১১ দফা নির্দেশনা থাকার পরও কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ কমিটির পদক্ষেপ ও কার্যকারিতা দৃশ্যমান নয়। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কোনো কার্যকর প্রতিকারব্যবস্থাই তৈরি করা হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও তার ব্যত্যয় ঘটেনি।’

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা ১২ দফা দাবি উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো, যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল পুনর্গঠন করে চালু; প্রতিটি বিভাগে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল স্থাপন, সেলে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি রাখতে হবে এবং সেলটি যেন কেন্দ্রীয় নিপীড়নবিরোধী সেলের সঙ্গে সমন্বয় করে সব ধরনের অভিযোগ সুরাহা করে তা নিশ্চিত করা; অভিযোগ দায়ের করার পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তি; অভিযুক্ত কোনো শিক্ষক ঘটনার তদন্ত চলাকালীন একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না; বিগত যৌন নিপীড়নের অভিযোগগুলো পুনরায় তদন্ত করা এবং তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্তদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সকল কাজ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে; যৌন নিপীড়নের ঘটনায় তৎক্ষণাৎ রেসপন্স করার জন্য প্রক্টোরিয়াল টিমের ‘স্পেশাল ফোর্স’ গঠন করতে হবে। তবে এই ফোর্স যাতে কোনোভাবেই ‘ভিক্টিম ব্লেমিং’ না করে তা নিশ্চিত করতে হবে।

এ ছাড়া একাডেমিক ভবনগুলোতে নারীদের ওয়াশরুমের সংখ্যা বাড়ানো এবং সেসবের ব্যবস্থাপনা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা; বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া; নারীদের হলে অনাবাসিক নারী শিক্ষার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে; নারীদের প্রতিটি হলে সিলিং ফ্যান স্থাপন করতে হবে; মেয়েদের হলসংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে; ক্লাসরুম ও আবাসিক হলে সব ধরনের স্লাট-শেমিং, নারীবিদ্বেষী মন্তব্য ও পোশাক নিয়ে জেরা করা বন্ধ করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিশেষ করে হলগুলোর সামনে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

ঢাবির শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ পিএম
ঢাবির শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব
অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করে আমলাতান্ত্রিক চর্চা ও দীর্ঘসূত্রতা থেকে মুক্তিসহ বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন শিক্ষকসমাজ।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার’ শীর্ষক ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

‘শিক্ষা-ভাবনা-আমাদের প্রস্তাব’ এবং ‘প্রশাসন ও ক্ষমতা কাঠামোর পুনর্বিন্যাস’ নামে দুই পর্বের আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

মতবিনিময়কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দক্ষ মানবসম্পদ ও সময়োপযোগী নেতৃত্ব সৃষ্টিতে সক্ষম একটি গণতান্ত্রিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতাকাঠামো পুনর্বিন্যাসে একটি প্রায়োগিক রূপরেখা সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিপীড়ন ও হয়রানি বন্ধে নিপীড়ন-নির্যাতন-বৈষম্যবিরোধী সেল গঠন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ‘কোড অব কনডাক্ট’ তৈরি, ভর্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীবান্ধব ও আধুনিক করা, শিক্ষার্থীদের আবাসন ও খাদ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রম জোরদার, বৃত্তি, ঋণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ, শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও শিক্ষাদান পদ্ধতির আধুনিকায়ন, শিক্ষকদের জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ, গবেষণা বরাদ্দ বৃদ্ধি, অবকাঠামোগত পরিকল্পনা ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ২০:১। বাস্তব কারণে মানা না গেলেও ৪০:১ বেশি করা যাবে না। প্রয়োজনে একটি বিভাগে একটি ফোর্সের একাধিক সেকশন-ইউনিট থাকতে পারে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এই খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন এবং এ বিষয়ে মতবিনিময় সভা আয়োজন করায় শিক্ষকসমাজকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় সবার প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে জ্ঞান নির্ভর ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে অংশীজনদের পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনায় আরও অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা ও আবদুল কাদের।

শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার বিষয়ে খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন, জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ্-আল-মামুন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খোরশেদ আলম এবং থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহমান মৈশান।

চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ঢাবির শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রত্যাশা

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ পিএম
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ঢাবির শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রত্যাশা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে (সম্ভাব্য তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষা কার্যক্রম চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী অ্যাকাডেমিক সভায় আলোচনার পর সিন্ডিকেটের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। 

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত চালু করার লক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভাগগুলোর চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটগুলোর পরিচালক এবং অফিস প্রধানদের নিয়ে এক মতবিনিময়ে সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রস্তাব করা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ প্রমুখ।