ঢাকা ২৬ কার্তিক ১৪৩১, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০১:৩২ পিএম
আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম
এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
ছবি: খবরের কাগজ

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রবিবার (২৫ আগস্ট) রাতে ট্রাস্টি বোর্ডের নির্দেশে ছুটি ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।

তিনি জানান, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনিবার্য কারণে ২৫ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ বি এম রাশেদুল হাসানের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এসব কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি এক্সিম ব্যাংক ও ব্যাংকের এটিএম বুথের কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর কর্মসূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসবেন তারা।

এদিকে রাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শহরের পাঠানপাড়ায় উপাচার্যের বাসভবনে হানা দেন। এ সময় ভুয়া কিছু কাগজপত্র, মদের বোতল ও ধারালো অস্ত্রসহ দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জহুরুল জহির/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

সেশনজট কমানোসহ ৫ দফা দাবি শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২০ পিএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
সেশনজট কমানোসহ ৫ দফা দাবি শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
শাবিপ্রবির ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: খবরের কাগজ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রশাসনের নিকট সেশনজট কমানোসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তারা।

এ সময় প্রশাসনের নিকট ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো শাবিপ্রবিকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের করে এনে স্বতন্ত্রভাবে বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা, সেশনজট কমিয়ে আনার জন্য আগামী তিনটি সেমিস্টার চার মাস করে শেষ করা, আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত এবং হলে অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া, ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা এবং পোষ্য কোটা বাতিল করা ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে উন্মুক্ত রিডিং রুমের ব্যবস্থা করা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত জুন মাসে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নানামুখী সংকটের কারণে ক্লাস ও পরীক্ষায় বসার সুযোগ হয়নি। এতে আমাদের প্রায় পুরো এক সেমিস্টার সেশনজট তৈরি হয়েছে। তাতে কাঙ্ক্ষিত সময়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে বের হতে পারব না।’ 
এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাসের মধ্যে শেষ করার দাবি জানান তারা।

ইসফাক আলী/মাহফুজ/এমএ/

 

৩ দাবিতে ঢাবিতে ছাত্রদল শিক্ষার পরিবেশ বিবেচনায় নিয়ে রাজনীতি করে ছাত্রদল

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ পিএম
শিক্ষার পরিবেশ বিবেচনায় নিয়ে রাজনীতি করে ছাত্রদল
ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুলের ওপর ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুষ্কৃতকারীদের হেনস্থা ও দেড় দশক ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনকারী নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।

রবিবার (১০ নভেম্বর) পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে শুরু হয়। এরপর দোয়েল চত্বর, রাজু ভাস্কর্য, কেন্দ্রীয় মসজিদ, মধুর ক্যান্টিন, ক্যাম্পাস ঘুরে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। পরে ভাস্কর্যের পাদদেশে বেলা আড়াইটায় শেষ হয়।

অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘শিক্ষার পরিবেশ বিবেচনায় নিয়ে রাজনীতি করে ছাত্রদল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মেধা, মনন ও সৃজনশীলতাকে ধারণ করে সামনের রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণ করে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় নিজস্ব শক্তিতে বলিয়ান। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় নিজেই ডিসিশন নেয় এবং শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ বিবেচনায় নিয়ে তাদের কর্মপরিকল্পনা, কর্মসূচি নির্ধারণ করে রাজনীতি কার্যক্রম পরিচালনা করে। ছাত্রদল সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে ধারণ করে রাজনীতি করবে। শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার বিরক্তি হয়, পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে, চাল-চলনে আঘাতপ্রাপ্ত হয়, এমন কোনো রাজনীতি ছাত্রদল অতীতেও করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।’

ছাত্রদলের ইমেজকে সংকটে ফেলার জন্য উঠে পড়ে লাগা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ঢাবির হলগুলোতে ফ্যাসিবাদের দোসররা ছাত্রদলের ইমেজকে সংকটে ফেলার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। সে ফাঁদে আপনারা চাল-চলন ও আচার-আচরণ অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করবেন ৷ কোনভাবেই ফ্যাসিবাদের দোসরদের সুযোগ দেওয়া যাবে না।’

সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ‘বিগত দশকে যারা বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল এবং একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর যে অধিকার, একজন নাগরিকের যে অধিকার সেই অধিকার হরণ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ আজ এক হয়েছে। বাংলাদেশে, এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে আর কোন ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম হবে না। ছাত্রদল অঙ্গীকারবদ্ধ, বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর কোনো টর্চার সেল হবে না, গণরুম সংস্কৃতি তৈরি হবে না। ক্যাম্পাসে হবে মেধা ও জ্ঞানের চর্চা।’

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন শাওন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আক্তার শুভ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নূর আলম ভূঁইয়া ইমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

সরকারি চাকরিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কম কেন ?

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম
সরকারি চাকরিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কম কেন ?
নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীই পড়াশোনা শেষে উন্নত এক জীবনের স্বপ্ন দেখেন। যে স্বপ্ন বাবা-মা ও নিজের ভবিষ্যৎকে ঘিরে আবর্তিত হয়। এজন্য সবারই ইচ্ছে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পাট চুকিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর, উন্নত জীবনযাপনের। সে লক্ষ্যে কেউ কেউ হয়তো বিদেশে পাড়ি জমান, কেউ হন উদ্যোক্তা আর একটি বড় অংশ যোগ দেন চাকরিতে। এর মধ্যে আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই স্নাতক বা স্নাতকোত্তর শেষে চাকরির বাজারে ঢোকেন। এ ক্ষেত্রে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর কাছে সোনার হরিণ সরকারি চাকরি। প্রতি বছর বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত চাকরির আশায় নিজেদের প্রস্তুত করতে লাখ লাখ তরুণ-তরুণী পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ স্নাতক পড়ার সময়ই সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিতে আদা-জল খেয়ে নেমে পড়েন। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা যায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। পাবলিক বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে সরকারি চাকরির যে আকাঙ্ক্ষাটা লক্ষ্য করা যায়, সেটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে অনেক কম দেখা যায়। 

এর কারণ হিসেবে বেশকিছু বিষয় বলা যেতে পারে। 

এই অনীহার অন্যতম কারণ সরকারি চাকরিতে ধীরগতির নিয়োগ প্রক্রিয়া। অনেকের কাছে আবার এসব চাকরিতে নিয়োগের যে পরীক্ষা সেটাও গতানুগতিক বলে মনে হয়। তার ওপর নির্দিষ্ট সাবজেক্টে পড়া শেষে সরকারি চাকরি পাওয়াটাও বর্তমান বাজারে অনেক কঠিন। অন্যদিকে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগদানও তুলনামূলক সহজতর ও দ্রুততর। ফলে এখন পর্যন্ত দেশে শতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া লাখ লাখ শিক্ষার্থীর কাছে এখনো সরকারি চাকরি খুব বেশি আগ্রহের জায়গা তৈরি করতে পারেনি। এর ওপর পদের তুলনায় অত্যধিক প্রতিযোগীর ভিড়ে চাকরিপ্রাপ্তির নিশ্চয়তাও থাকে না। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়া শেষ করে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বেকার বসে থাকতেও চান না। ফলে করপোরেট সেক্টরের দিকেই তাদের মনোনিবেশ থাকে বেশি। 

এ প্রসঙ্গে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সামিয়া রহমান অনি বলেন, ‘সরকারি চাকরিযুদ্ধে অনীহা রয়েছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। এর কারণ, বরাবরের মতোই চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ার ধীরগতি। তাছাড়া, সরকারিতে তাদের নির্দিষ্ট সাবজেক্টের মধ্যে কোনো চাকরি পাওয়া যেমন কঠিন, তেমনি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্লেসমেন্টের কোনো নিশ্চয়তা নেই। অন্যদিকে, বেসরকারি খাতে দেখা হয় যে, প্রার্থী শহর বা ঢাকা অঞ্চলে থাকতে পারবেন কিনা কিংবা আপডেটেড প্রযুক্তি যেমন ‘এআই’ টুল-এর যথাযথ ব্যবহার রয়েছে কিনা। যেখানে, একজন স্টার্টআপ মার্কেটারও তার স্বল্পদিনের অভিজ্ঞতার জন্য বেসরকারি চাকরি বাছাই করবেন। এক কথায়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সরকারির তুলনায় দ্রুত যোগদান, সুগঠিত ক্যারিয়ার ও উন্নত কাজের পরিবেশ পাওয়া যায়, যা তরুণদের কাছে বেশি আকর্ষণীয়।’ 

এই কম আগ্রহের আরেকটি কারণ হিসেবে বলা যায়, শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের আর্থসামাজিক অবস্থান। বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত সব পরিবারের ছেলেমেয়েরাই পড়াশোনা করে থাকে। তবে এর মধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী আসে উচ্চমধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে। ফলে তাদের কর্মজীবনে পা রেখেই আর্থিক অনটন বা স্থিতিশীল কোনো চাকরি না পাওয়ার শঙ্কা কাজ করে না। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থান ভালো হওয়ায় এবং আর্থিক চাপ না থাকায় এসব শিক্ষার্থীর করপোরেট সেক্টর, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি কিংবা উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতি বেশি ঝোঁক থাকে। এসব বেসরকারি সেক্টরের বেতনও সরকারি চাকরির থেকে বেশি হয়ে থাকে। আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অন্তত দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থেকে বেশি সুযোগ পান। ফলে প্রাইভেট সেক্টরে চাকরি পেতে তাদের বেশি কাঠখড়ও পোড়াতে হয় না। 

এ বিষয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রকিবুল ইসলাম মনে করেন, ‘প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দক্ষতা বিকাশের প্রচুর সুযোগ থাকে। ফলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্কিলে দক্ষ হয়ে ওঠেন। তাই তারা বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই কাজের ভালো সুযোগ পান অর্থাৎ চাকরি পেতে সমস্যা হয় না। 

এ ছাড়া অনেকেই মনে করেন, সরকারি চাকরির গ্রেড অনুযায়ী এখনো কর্মকর্তারা যে বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি পেয়ে থাকেন সেটা প্রযোজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। তাই অবস্থাসম্পন্ন অনেকেই উচ্চশিক্ষা বা আরও উন্নত জীবনযাত্রার আশায় বিদেশে পাড়ি জমান। এমনকি লাখ লাখ তরুণের স্বপ্নের চাকরি বিসিএস-এর মতো প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিও তাদের আকৃষ্ট করতে পারে না। অবশ্য এ ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ধীরগতিরও যেমন কিছুটা দায় রয়েছে, তেমনি চাকরিপ্রত্যাশীদের তুলনায় পদের অপ্রতুলতাও ভীষণরকম দায়ী।

সে হিসেবে স্থায়িত্বের ঝুঁকি থাকলেও প্রাইভেট সেক্টর থেকে আরও বড় অঙ্কের বেতন পাওয়া যায়। সরকারি চাকরিতে নিজেদের অনীহার কারণ সম্পর্কে ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইমরান নাজির বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে কম আগ্রহের পেছনে অন্যতম একটি কারণ হলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত আধুনিক শিক্ষাক্রম, উন্নত প্রযুক্তিগত ও যোগাযোগ দক্ষতা এবং বিভিন্ন সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমের ওপর জোর দেয়; যা তাদের দেশের বিভিন্ন বেসরকারি সেক্টরে চাকরির জন্য উপযুক্ত করে তোলে। সেখানে এরকম দক্ষতাসম্পন্ন প্রার্থীর চাহিদা বেশি থাকায় অল্প সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা কর্মজীবনে প্রবেশ করতে সক্ষম হন। উপরন্তু, সরকারি চাকরির গতানুগতিক নিয়োগ পরীক্ষা এবং দীর্ঘ নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায়ই তাদের এই সেক্টরে আগ্রহী হতে নিরুৎসাহিত করে।’ 

১৯৯৩ সালে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত ধরে দেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। তার পর থেকে এখন পর্যন্ত সারা দেশে মোট শতাধিক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে লাখ লাখ তরুণ-তরুণী উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করলেও দেশের সরকারি চাকরির বাজারে তাদের অংশগ্রহণ আশানুরূপ নয়। যদিও আগের চেয়ে কিছুটা হলেও চিত্র বদলাতে শুরু করেছে। এখন বিসিএসের মতো সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও প্রতিযোগিতায় নামছে। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সরকারি নানা সেক্টরে যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সবচেয়ে বেশি নিয়োগপ্রাপ্তি অর্জন করেছে তার মধ্যে এই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়টি অন্যতম। এভাবে কম হলেও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরুণীরা সরকারি চাকরিতেও নিজেদের যোগ্যতা ও দক্ষতার ছাপ রাখতে শুরু করেছে।

হাসান

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বাকৃবির গলার কাঁটা!

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৬ পিএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বাকৃবির গলার কাঁটা!
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

দেশে প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্যোগ শুরু হওয়া গুচ্ছ পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রমে প্রয়োগ করে। তবে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পাঁচটি কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বেশির ভাগই সমালোচনা ও বিতর্কের ঊর্ধ্বে যেতে পারেনি। ফলে একদিকে বাকৃবি হারাচ্ছে তার স্বকীয়তা, অন্যদিকে আসছে না গুচ্ছ পদ্ধতির আশানুরূপ সাফল্য। এমতাবস্থায়, কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা। তাদের মতামত তুলে ধরেছেন মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর

স্বকীয়তা হারাচ্ছে বাকৃবি

মো. বকুল আলী
স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ

শিক্ষা ও গবেষণায় বাকৃবি বিগত বছরগুলোয় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করেছে। কিন্তু সম্প্রতি ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যানুসারে, বাকৃবির অবস্থান ষষ্ঠ, যা খুবই দুঃখজনক। কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তার রং হারাচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একক ভর্তি পরীক্ষায় কখনো কোনো ভুল বা অনিয়মের গ্রহণযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অন্য কেন্দ্রগুলোর পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বারবার। একসময় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মেধা তালিকার ভিত্তিতে দেশের শীর্ষ স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেতেন। তবে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় কম জিপিএ নিয়েও ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারছে, যা বাকৃবির স্বকীয়তা নষ্ট করছে। সুতরাং বাকৃবিকে নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রাখতে অবশ্যই কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে সরে আসা উচিত বলে মনে করি।

সেশনজটের অন্যতম কারণ

মো. ওমর ফারুক
পঞ্চম বর্ষ, ভেটেরিনারি অনুষদ

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আগে দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের প্রাথমিক বাছাই করা হতো। এরপর তারা বাকৃবিতে পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেতেন; যা এখন আর বিদ্যমান নেই। ভর্তি পরীক্ষা দেশের অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ায় পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। এতে অনেক সময় দেখা যায়, যাদের চান্স পাওয়ার কথা নয়, তারাও চান্স পেয়ে যায়।

এ ছাড়া কৃষি গুচ্ছের পরীক্ষা সবার শেষে অনুষ্ঠিত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সেশনজটের সম্মুখীন হচ্ছে, যা বিগত দিনে ছিল না। শুধু শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের দিক বিবেচনা করে গুচ্ছ পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, যা বাস্তবিক অর্থে তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। কেননা দূর-দূরান্ত থেকেও শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে আসে। এরপর ভর্তি, একাধিক মাইগ্রেশনের জন্য একাধিকবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের ভোগান্তির নজিরও আছে। তাই গুচ্ছের সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশি বলে আমার মনে হয়। তাই শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে বাকৃবির উচিত কৃষি গুচ্ছ থেকে বের হয়ে এককভাবে পরীক্ষার আয়োজন করা।

সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশি

সুমন গাজী
প্রথম বর্ষ, কৃষি অনুষদ

২০১৯ সাল থেকে কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার চালু হওয়ার পর এ পর্যন্ত পাঁচটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু এ সমন্বিত প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই সর্বমহলে প্রশ্ন উঠে, বাকৃবির স্বকীয়তায় ভাটা পড়ল কি না বা কৃষিগুচ্ছতে বাকৃবির থাকা উচিত কি না।

আমি বলব, কৃষি গুচ্ছের সুবিধা-অসুবিধা দুটোই রয়েছে। যেহেতু একবারই পরীক্ষা হয়, তাই শিক্ষার্থীদের ভিন্নমাত্রিক প্রস্তুতি নিতে হয় না। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ ও সুবিধামতো কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পারে। এ ছাড়া জিপিএ স্কোর কম নিয়েও ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করে বাকৃবিতে পড়ার সুযোগ তৈরি হয়, যা বাকৃবি এককভাবে পরীক্ষা নিলে ক্ষেত্রবিশেষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণেরও সুযোগ হতো না। 

বিপরীত দিকে গুচ্ছতে নিজস্ব প্রশ্ন কাঠামোয় ভর্তি পরীক্ষা নিতে না পারায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের যাচাইয়ের সুযোগ কমে গেছে। নেতৃস্থানীয় নীতিনির্ধারক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরও নিজস্ব মূল্যায়ন পদ্ধতি না থাকায় বাকৃবির স্বকীয়তা হারাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাকৃবির স্বকীয়তা-স্বতন্ত্র মান বজায় রাখতে কৃষিগুচ্ছে থাকা উচিত নয় বলেই আমি মনে করি।

বিতর্কিত হয়েছে বারবার

মো. ফজলুল করিম সিয়াম 
প্রথম বর্ষ, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ

প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী কৃষিবিদ হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বাকৃবিতে আসে। তবে এর জন্য তাদের উত্তীর্ণ হতে হয় ভর্তি পরীক্ষায়। ২০১৯ সালে বাকৃবির অধীনে প্রথমবার অনুষ্ঠিত গুচ্ছ পরীক্ষাটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হলেও ২০২০-২১ সেশন থেকে তৈরি হয় বিতর্ক। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পরীক্ষার প্রশ্ন নিরাপত্তা ও পরীক্ষা ব্যবস্থার নিরাপত্তা ত্রুটি। সে বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো কেন্দ্রজনিত সমস্যা এবং প্রশ্নফাঁস ও কোনোরকম নোটিশ ছাড়া ফলাফল পরিবর্তনের মতো ঘটনা ঘটে। পরবর্তী বছরগুলোতেও কৃষি গুচ্ছের প্রশ্নের মান নিয়েও আছে নানা বিতর্ক।

তাছাড়া বিশাল অঙ্কের এই ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ব্যবস্থাপনার মতো সক্ষমতা কৃষি গুচ্ছের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। এসব বিতর্কের অংশীদার হয়ে বাকৃবি নিজের সুনাম হারাচ্ছে। তাই প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাকৃবির উচিত কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে যত দ্রুত সম্ভব বেরিয়ে আসা।

হাসান

হাবিপ্রবির ডাকবাক্স দাপ্তরিক চিঠিতেই সীমাবদ্ধ

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম
হাবিপ্রবির ডাকবাক্স দাপ্তরিক চিঠিতেই সীমাবদ্ধ
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থাকা ডাকবাক্স। ছবি : খবরের কাগজ

বর্তমানে প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যোগাযোগও সহজ হয়েছে। মুহূর্তেই আমরা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি। যদি এখন কাউকে যোগাযোগের মাধ্যমের কথা জিজ্ঞেস করা হয় তবে উত্তর হিসেবে মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং ই-মেইলেই সবার আগে আসবে। কেউ কেউ হয়তো চিঠির কথাও বলবেন। নিশ্চিতভাবে বলা যায় তারাও শুরুতেই চিঠির কথা বলবেন না। অথচ একসময় চিঠিই ছিল দূর-দূরান্তে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম।

রূপকথায় পাখির মাধ্যমে চিঠি আনা নেওয়ার কথা লেখা হলেও বাস্তবে চিঠির আনা নেওয়া মাধ্যম ছিল ডাকবাক্স। ডাকহরকরারা প্রিয়জনদের হাতে সেই চিঠি পৌঁছে দিতেন। ডাকহরকরাদের নিয়ে সুকান্ত ভট্টাচার্য লিখেছিলেন, ‘দিগন্ত থেকে দিগন্তে ছোটে রানার- কাজ নিয়েছে সে নতুন খবর আনার।’

তবে ডাকবাক্স এখন কেবল অতীতের স্মৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। একসময় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ডাকবাক্সে ব্যক্তিগত চিঠি আসলেও, এখন শুধু দাপ্তরিক চিঠিতেই সীমাবদ্ধ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান জেনিস বলেন, “ছোটবেলায় অনেক চিঠি লেখা হতো। কিন্তু সেগুলো কখনো ডাকবাক্সে পৌঁছত না। কারণ সেগুলো ছিল পরীক্ষার খাতা, আর সেখানে ছিল ‘প্রিয়’ শব্দটি। আজকের যুগে সে ‘প্রিয়’ শব্দটাও হারিয়ে গেছে। মেসেঞ্জার আর হোয়াটসঅ্যাপের দাপটে ডাকবাক্স যেন নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছে। তবে আমি চাই, একদিন হাবিপ্রবির ডাকবাক্স আবার ‘প্রিয়’ শব্দে ভরে উঠুক।”

প্রযুক্তির কাছে পরাজিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো ডাকবাক্স। প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা দক্ষ হলেও, চিঠিপত্রের আবেদন যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করেন, প্রিয়জনদের প্রতি চিঠি আদান-প্রদান যদি আবার শুরু হয়, তবে সেই চিঠির মাধ্যমে ডাক যোগাযোগ ব্যবস্থাও পুনরায় প্রাণ ফিরে পাবে।

তবে, দাপ্তরিক চিঠিপত্র এখনো আসছে নিয়মিত, সেই পুরোনো রীতিতে। দায়িত্ব নিয়ে ডাকপিয়ন মো. সাদেকুল ইসলাম ও অতুল চন্দ্র রায় সেগুলো পৌঁছে দিচ্ছেন।

ডাকপিয়ন সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘দাপ্তরিক চিঠিপত্র নিয়মিত আসে। কিন্তু বর্তমান প্রযুক্তির যুগে ব্যক্তিগত চিঠি আগের তুলনায় কমে গেছে। সবাই এখন মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামে তথ্য আদান প্রদান করেন।’

পোস্টমাস্টার বিদ্যুত জানান, এখানে তালাক, মামলাসংক্রান্ত এবং দাপ্তরিক কিছু চিঠিপত্র আসে। প্রতিদিন পোস্ট মেশিনের মাধ্যমে চিঠির সংখ্যা নির্ধারণ হয়।