ঢাকা ২৩ কার্তিক ১৪৩১, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪

সিলেটে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী সনদ লাভ

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৮ পিএম
সিলেটে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী সনদ লাভ
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি

সিলেট বিভাগের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের ১৮তম হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্থায়ী সনদ পেয়েছে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি। 

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১ শাখার উপসচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেন এ বিষয়ে একটি পত্র পাঠান। 

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর ধারা ১০ মোতাবেক মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, বটেশ্বর, সিলেট ৩১০৪-এর অনুকূলে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সনদপত্র নির্দেশক্রমে প্রদান করা হলো।’ 

বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ড. তৌফিক রহমান চৌধুরীর উদ্যোগে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। 

২০০৩ সালের ৩ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাময়িক সনদ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি।

শুরুতে সিলেটের জিন্দাবাজারের একটি ভবনে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। 

২০১৯ সালে সিলেট শহরতলির বটেশ্বর এলাকায় স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপিত হয়। 

বিগত ২১ বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে ডিগ্রি অর্জন করা গ্র্যাজুয়েটরা গুগল, অ্যামাজনসহ দেশ-বিদেশের প্রথিতযশা প্রতিষ্ঠানে সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি অনুষদের অধীনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসায় প্রশাসন, আইন ও বিচার, ইংরেজি এবং অর্থনীতি বিভাগ রয়েছে। 

ইতোমধ্যে তিনটি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে চতুর্থ সমাবর্তন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।  

স্থায়ী সনদপ্রাপ্তিতে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর রহমান চৌধুরী, ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ, বোর্ড অব অ্যাডভাইজর, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবকসহ সব শুভানুধ্যায়ী, শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর জানায়, বাংলাদেশে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি দেশের ১৮তম ও সিলেটের প্রথম এবং একমাত্র স্থায়ী সনদপ্রাপ্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

পপি/

বেরোবিতে মদ পান করে শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, আটক ২

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ পিএম
আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪১ পিএম
বেরোবিতে মদ পান করে শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, আটক ২
সেলুন দোকানি শিমুল ও আবির

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) মদ পান করে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্তের দায়ে দুই বহিরাগতকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এই বিভাগের পিকনিকে এ ঘটনা ঘটে।

আটকরা হলেন- স্থানীয় পার্ক মোড়ের সেলুন দোকানি শিমুল (২৫) ও আবির (২০)।

শিক্ষার্থীরা জানান, বহিরাগত দুজন মদ পান করে ওই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর কাছে ফুল চায় এবং ছবি তুলতে চায়। পরে তাদেরকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে তাদের তাজহাট থানায় পাঠানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো ফেরদৌস রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার দায়ে বহিরাগত দুজনকে আটক করে থানায় পাঠানো হয়েছে। সংরক্ষিত এলাকায় মাদক সেবনের অপরাধে তাদের নামে অবশ্যই মামলা করা হবে।’

তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহালম সরদার বলেন, আসামিদের বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাজী আজম হোসেন/নাইমুর/পপি/

ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা উদযাপন ও প্রীতিভোজ

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ পিএম
ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা উদযাপন ও প্রীতিভোজ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত আবাসিক, অনাবাসিক ও সাবেক নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘স্বাধীনতা উদযাপন ও প্রীতিভোজ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় টিএসসি অডিটোরিয়ামে শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠান শেষ হয়। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো জাতীয় সঙ্গীত, কবিতা আবৃত্তি, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের স্মৃতিচারণ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের স্মৃতিচারণ, মঞ্চনাটক, রম্য বিতর্ক ও প্রীতিভোজ। 

স্বাধীনতা ও প্রীতিভোজ উদযাপন কমিটির আয়োজক তাবাসসুম নুপা গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানান। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলেয়া বেগম, বেগম রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম ও সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট ড. সালমা নাসরিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটেট শিক্ষকবৃন্দ।

আয়োজকদের একজন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া খানম প্রীতি বলেন, ‘আমাদের প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক, আবাসিক ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সম্মিলনে ’২৪ এর স্বাধীনতা উদযাপন ও মিলনমেলার আয়োজন করা। ৫ আগস্টের পর শুধু নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই আয়োজন প্রথম।’

আরেক আয়োজক তাবাসসুম নুপা বলেন, ‘এই প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে স্বরণ, বিপ্লবে নারীদের অবদানকে উপস্থাপন করা। আমরা মঞ্চনাটকে নারীদের অবদান এবং ত্যাগের বিষয়টিকে ফোকাস করার চেষ্টা করেছি।’

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তিসহ ২১ দফা দাবি জবি ছাত্রদলের

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তিসহ ২১ দফা দাবি জবি ছাত্রদলের
ছবি: খবরের কাগজ

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের তালিকা আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর)  বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। 
সংগঠনটির পক্ষ থেকে ২১ দফা দাবি রাখা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সুজন মোল্লা এবং লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর রেজাউল করিমের নিকট স্মারকলিপিও দেন তারা। 

২১ দফায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করে দুটি প্রো-ভিসি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের তালিকা আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত সকলের তালিকা ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করে তাদের নিয়োগ বাতিল এবং চাকরি থেকে অব্যাহতি এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। 

দ্রুততম সময়ে ক্যাফেটেরিয়ার কাজ শেষ করা এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ফুড কোর্ট স্থাপন, ক্যাম্পাস ও ছাত্রী হলের ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি, সমবায় ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে আধুনিক টিএসসি নির্মাণ এবং ক্যাম্পাসে ব্রান্ডিংয়ে রায় সাহেব বাজার, বাংলাবাজার ও পাটুয়াটুলিতে তিনটি গেট স্থাপনের দাবি জানানো হয়। 

ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জানানো অন্য দাবিগুলো হলো- ই-লাইব্রেরির আধুনিকায়ন ও একাডেমিক ওয়েবসাইট নির্মাণ, ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবরেশন, ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান ও শিক্ষার্থী কাউন্সিল গঠন, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি ও রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগের দাবি জানানো হয়। 

এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু বরাদ্দ বৃদ্ধি, গণঅভ্যুত্থানে নিহত, আহত ও গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের স্মৃতি রক্ষায় স্মৃতিফলক নির্মাণ, প্রধান ফটকের ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা, দূরত্ব ও মেধার ভিত্তিতে ছাত্রী হলের সিট বরাদ্দ, মেডিকেল সেন্টারের উন্নয়ন, মশা নিধন ও ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহায়তার নিশ্চয়তা প্রদানের দাবি জানানো হয়।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র সহ সভাপতি মেহেদী হাসান হিমেল, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম কবির মিঠুসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাবিতে ছাত্রদলের পোস্টার রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস দাবিতে উত্তাল

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ এএম
আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ এএম
রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস দাবিতে উত্তাল
রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাস এলাকা ও হলগুলোর ফটকে পোস্টার লাগানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা। এ সময় রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবি তোলেন তারা।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে বিজয় একাত্তর হলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন হলটির শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিলে অন্য হলের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। মুহুর্মুহু স্লোগানে মুহূর্তেই ফেটে পড়ে পুরো ক্যাম্পাস।

একপর্যায়ে বিজয় একাত্তরের হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে সূর্য সেন হল-স্মৃতি চিরন্তন-রোকেয়া হল হয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেয় মিছিলটি। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান শেষে ফের একই সড়কে স্মৃতি চিরন্তনে এসে রাত সোয়া ১২টার দিকে শেষ হয়।

জবি শিক্ষক সেকেন্দার বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ এএম
আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ এএম
জবি শিক্ষক সেকেন্দার বহিষ্কার
মো. আবু সালেহ সেকেন্দার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে সক্রিয় অবস্থান ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার পর সংগঠনটির পক্ষে কলাম লেখাসহ নানা অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবু সালেহ সেকেন্দারকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। 

বুধবার (৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিনের সই করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির আনীত অসদাচরণ ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮-এর ১২ ধারার আলোকে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫-এর ধারা ১১(১০) মোতাবেক সিন্ডিকেটের রিপোর্ট সাপেক্ষে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবু সালেহ সেকেন্দারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা, ‘ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ বুদ্ধিবৃত্তিক ভুল সিদ্ধান্ত’ আখ্যায়িত করে কলাম লেখেন আবু সালেহ সেকেন্দার। যে কারণে অন্তর্বর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জ ও বিগত স্বৈরাচারী সরকারকে পুনর্বহালের অপচেষ্টা অব্যাহত রাখার অভিযোগ এনে সহকারী অধ্যাপক সেকেন্দারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। 

এর আগে গত মঙ্গলবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ সেকেন্দারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্ছিত করার ব্যানারের ওপর জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করেন।