বিভিন্ন বিভাগে শ্রেণিকক্ষের সংকট নিয়েই চলছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে একাডেমিক কার্যক্রম। শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। এর মধ্যে কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে লোক প্রশাসন বিভাগের অ্যালামনাইদের জন্য কক্ষ বরাদ্দ দিয়েছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ২৩১ নম্বর কক্ষ লোকপ্রশাসন বিভাগের অ্যালামনাইদের জন্য বরাদ্দ দেন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান। এ বিষয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগ অ্যালামনাই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি চিঠিও দেন তিনি। চিঠিতে কক্ষ বরাদ্দের বিষয়টিকে ‘আনন্দ সংবাদ’ হিসেবে উল্লেখ করে কক্ষটির ডেকোরেশনসহ অন্যান্য সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমের আর্থিক বিষয় অ্যালামনাই কমিটিকে বহন করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ওই কক্ষটি আগামীকাল শনিবার উদ্বোধন করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের সভাপতি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেছেন, যেখানে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার জন্য পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ পাচ্ছে না, সেখানে এসব সিদ্ধান্ত বিলাসিতা ছাড়া কিছুই না।
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, ‘এমনিতেই আমাদের শিক্ষার্থীদের বসার জায়গা নেই, শিক্ষকরাও একেক রুমে দু-তিনজন করে বসতে হয়। শ্রেণিকক্ষের সংকটকালে কোনো কক্ষ যদি অপ্রয়োজনে পড়ে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই দৃষ্টিকটু। কক্ষগুলো যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।’
লোকপ্রশাসন অ্যালামনাই কমিটির সভাপতি শামীনুর রহমান বলেন, ‘কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া কমিটি কিংবা এর প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমাদের কক্ষ দেওয়া হচ্ছে, আমরা সেটি নিচ্ছি। কোন প্রক্রিয়ায়, কীভাবে কক্ষ বরাদ্দ হয়েছে এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’
কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মতিনুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’ শনিবার তিনি ক্যাম্পাসে এলে এ বিষয়ে তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য প্রতিবেদককে অনুরোধ জানান।
নিয়ামতুল্লাহ/এমএ/