ঢাকা ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২০ এএম
গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন
ক্যাম্পাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

জ্ঞান, গবেষণা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে তৃতীয়বারের মতো শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘ইনোভেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (আইটিডি)-২০২৪’।

কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন ৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাচল আমেরিকান সিটির ক্যাম্পাসে শুরু হবে। শেষ হবে ১০ নভেম্বর। সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভারতসহ বিশ্বের ২১টি দেশের শিক্ষক-গবেষকরা অংশ নেবেন।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, কলা ও সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ, সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন এবং জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. অলিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদস্যসচিব ড. শামিম মণ্ডল।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য ইতোমধ্যেই চার শতাধিক গবেষণাপত্র জমা পড়েছে; যার মধ্য থেকে নির্বাচিত গবেষণার সংখ্যা ৩০৬টি। দুই দিনের সম্মেলনে ৬২টি সেশনে এই গবেষণা প্রবন্ধগুলো উপস্থাপন করা হবে। নির্বাচিত গবেষণাগুলোয় চিন্তার নতুন গতিপথ, সমাজ-রাষ্ট্রের যোগাযোগ, পরিবর্তিত সাংবাদিকতার ধারা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, তথ্যপ্রযুক্তি, নয়া গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ এবং বাংলাদেশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামাজিক গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোকপাত করা হবে।

ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান এবং জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগ যৌথভাবে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, একটি বিশ্ববদ্যিালয় তখনই পূর্ণতা পায়, যখন সেখানে জ্ঞান চর্চা হয়। মূলত এই উদ্দেশ্য সামনে রেখেই আইটিডি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যত বেশি আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়, জ্ঞান-গবেষণায় সেই বিশ্ববিদ্যালয় তত বেশি এগিয়ে যায়। ছাত্র-শিক্ষকরা জানা-বোঝার সুযোগ পান।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু জ্ঞান দেওয়া হয় না; জ্ঞান সৃষ্টিও করা হয়। যেহেতু একার পক্ষে গবেষণা করা কঠিন, তাই এই সম্মেলনের আয়োজন। এর মধ্য দিয়েই জ্ঞান সৃষ্টি হবে, নতুন নতুন উদ্ভাবন সামনে আসবে।
 
কলা ও সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ বলেন, পৃথিবী আজ ক্রান্তিকাল পার করলেও উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ধারা থেমে নেই। সীমাবদ্ধতা শুধু নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে। আইটিডি সম্মেলনে সেই জায়গা উন্নয়নের চেষ্টা করবে। এ সময় তিনি দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের নানা দিক আলোচনা করেন।

সম্মেলনটির উদ্বোধন এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (ব্যাক) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ এবং বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মী নিহত: নাছির

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম
২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মী নিহত: নাছির
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন। ছবি: খবরের কাগজ

২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ১০০ এর অধিক নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।

তিনি বলেন, দুনিয়া কাঁপানো ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে অন্য কোনো সংগঠনের এত নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে কেউ দেখাতে পারেনি। জাতীয়তাবাদ ছাত্রদলের প্রথম শহিদ ওয়াসিমকে আমরা ভুলে যাইনি। ৫ হাজারের অধিক নেতা-কর্মীকে সেসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বিশ্বাস করে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে সে আন্দোলন গত ৫ আগস্ট তার প্রাথমিক ফলাফল পেয়েছে। ৫ আগস্টের পূর্বে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত সংগঠন ছিল ছাত্রদল। 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আয়োজিত এক মানববন্ধনে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন নেতা-কর্মী এখন পর্যন্ত গুম রয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ইতিবাচক রাজনৈতিক পরিবেশের সূচনা হয়েছে। ২১ শতক উপযোগী হিসেবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে জাতীয়তাবাদ ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারেক রহমান। এ লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর সব চাপিয়ে দিতো। এখন শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভবিষ্যতে ছাত্রদলের রাজনীতি পরিচালিত হবে। 

এসময় নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমরা দাবি জানাতে চাই, খুনী ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সকল নেতা-কর্মীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসেত, সহসভাপতি আজিমুল হাসান চৌধুরী, সহসভাপতি ইব্রাহিম কবির মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্লত পাটোয়ারী, মেহেদী হাসান হিমেল, মো. মাহমুদুল হাসান খান, সুমন সর্দার, জাফর আহম্মেদ, নজরুল ইসলাম মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আরেফিন, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, দপ্তর সম্পাদক সাখাওয়াতুল ইসলাম খান পরাগসহ শাখা ছাত্রদলের অসংখ্য নেতা-কর্মী।

মাহফুজ/এমএ/

আন্দোলন-সংগ্রামে ঢাবির গৌরবময় ভূমিকার বিশেষ মর্যাদা পেতে কমিটি

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম
আন্দোলন-সংগ্রামে ঢাবির গৌরবময় ভূমিকার বিশেষ মর্যাদা পেতে কমিটি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল। ছবি-সংগৃহীত

৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও এর পরবর্তী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামসহ ২০২৪ এর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের নবজাগরণের ইতিহাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। এই গৌরবময় ভূমিকার জন্য বিশেষ মর্যাদা পেতে প্রযোজ্য বিষয়সমূহ চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে উপাচার্যের নির্দেশনা অনুযায়ী ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। জানা যায়, এই কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল গৌরবময় অবদান চিহ্নিত করে বিশেষ মর্যাদা প্রাপ্তির জন্য সুপারিশ করবে।

ওই কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম কমিটির আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিব হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ। এছাড়া বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ/এমএ/

চবিতে শিক্ষার্থীরা করতে পারবে ডোপ টেস্ট, ফি ৩৫০

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৯ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
চবিতে শিক্ষার্থীরা করতে পারবে ডোপ টেস্ট, ফি ৩৫০
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের শতভাগ ডোপ টেস্টের আওতায় আনতে নিজস্ব ল্যাবের তত্ত্বাবধানে ডোপ টেস্ট করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫০ টাকা।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডোপ টেস্ট কমিটির সমন্বয়ক জীববিজ্ঞান অনুষদের ডির অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমান, শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে আসন বরাদ্দের সময় বলেছিলাম আবাসিক শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক। তখন ডোপ টেস্ট করে উঠাতে পারিনি কারণ, তাতে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে দেরি হবে তাই। শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে চবি মেডিকেলেই ডোপ টেস্ট করার উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া ডোপ টেস্টের খরচ কমাতে আমরা নিজস্ব ল্যাবে টেস্ট করার পরিকল্পনা করেছি। সরকারি রেটে সর্বনিম্ন ৯৫০ টাকার টেস্ট আমরা ৩৫০ টাকা খরচে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে নিজেদের ল্যাব ব্যবহার করে করব।

তিনি আরও বলেন, শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, পর্যায়ক্রমে নিরাপত্তাকর্মীদেরকেও ডোপ টেস্ট করতে হবে। আমাদের নিরাপত্তাকর্মীসহ অনেকেই মাদকাসক্ত। আমরা পর্যায়ক্রমে সবগুলোতেই হাত দেব।

ডোপ টেস্ট কমিটির সমন্বয়ক, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমান বলেন, আগামী ১২ তারিখ সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে এ ডোপ টেস্ট। পাঁচটি নির্দিষ্ট মাদককে বেছে নিয়ে এ টেস্ট করা হবে। এর মাধ্যমে ছাত্রদের মাদকাসক্ত হিসেবে পরিচয় করানো নয় বরং সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করা হবে। এ এফ রহমান হলের ছাত্রদের দিয়ে শুরু হবে এ কার্যক্রম। আমরা আমেরিকান কিটস দিয়ে টেস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করব।

তিনি জানান, ডোপ টেস্টের জন্য এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীদের ১১ তারিখের মধ্যে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে।

হল অনুযায়ী ডোপ টেস্টের তারিখ: 
এএফ রহমান হল ১২, ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর। আলাওল হল ১৫, ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর। শহিদ আব্দুর রব হল ১৮, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর। মাস্টার দা সূর্যসেন হল ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর। শাহ আমানত হল ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ডিসেম্বর। সোহরাওয়ার্দী হল ৩০, ৩১ ডিসেম্বর ও ১, ২ জানুয়ারি। শাহজালাল হল ৩, ৪, ৫, ৬ জানুয়ারি। শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেল ৭ জানুয়ারি।

মাহফুজ শুভ্র/জোবাইদা/অমিয়/

রাবিতে পোষ্য কোটার ‘কবর’ দিলেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ পিএম
রাবিতে পোষ্য কোটার ‘কবর’ দিলেন শিক্ষার্থীরা
ছবি : খবরের কাগজ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর সন্তানদের জন্য বরাদ্দকৃত পোষ্য কোটার কবর দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের পাশে প্রতীকী কবর দেন তারা।

এর আগে বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে কোটার যৌক্তিকতা নিয়ে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ঘোষণা দেন যদি শিক্ষক-কর্মকর্তারা বিতর্কে জয়লাভ করে তবে পোষ্য কোটা বহাল থাকবে। অন্যথায় এই কোটা বাতিল করতে হবে। তবে এই বিতর্কে কোনো শিক্ষক-কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী অংশ নেননি। পরে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে তিনজন তাদের প্রতিনিধি হিসেবে এতে অংশ নেন।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে একজন রিকশাচালক, আইন বিভাগের অধ্যাপক মোরশেদুল ইসলাম পিটার এবং এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে রাখা হয়।

বিতর্কের শুরুতে উভয় পক্ষের যুক্তি প্রদর্শন পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। পরে চলে যুক্তি খণ্ডণ পর্ব। তবে পোষ্য কোটার পক্ষে এ সময় কোনো বৈধ যুক্তি তুলে ধরতে পারেননি প্রতিযোগিরা। পরে বিচারকদের রায়ে পোষ্য কোটার বিপক্ষের শিক্ষার্থীরা জয়লাভ করেন। এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হওয়া পোষ্য কোটা এই বিশ্ববিদ্যালয়েই কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষার্থীরা।

প্রতীকী এই কবর দেওয়া শেষে সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, জুলাই আন্দোলনে আমাদের কাঁধে যাদের হাত ছিলো তারা এখন আমাদের সঙ্গে নেই। জুলাই আন্দোলনের মূল ম্যান্ডেড ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার। এখনো যদি পোষ্য কোটা থাকে তাহলে জুলাই বিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে। আবু সাঈদের রক্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে। আমরা যদি এইবার পোষ্য কোটার কবর রচনা করতে না পারি তবে আর কোনোদিন সম্ভব নয়। আমরা শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি না। সারা বাংলাদেশে যত জায়গায় চাকরির ক্ষেত্রে বা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা রয়েছে তা সমূলে উৎখাত করতে হবে।

এস আই সুমন/জোবাইদা/

ঢাবিতে হলভিত্তিক মেডিকেল ক্যাম্প শুরু

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম
আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
ঢাবিতে হলভিত্তিক মেডিকেল ক্যাম্প শুরু
ঢাবির মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে চলছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে শুরু হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক বিশেষ ক্যাম্পেইন ‘ডিইউ মেডিকস’।

সোমবার (৯ নভেম্বর) ক্যাম্পাস কেয়ার ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল দিয়ে শুরু হয় এ কার্যক্রম।

পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল এই ক্যাম্পেইনের আওতাভুক্ত হবে।

এই কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে ইসিজি, ইউরিন টেস্ট, ব্লাড সুগার, আলট্রাসনোগ্রামে অ্যাসিস্টেন্সি, ফিজিওথেরাপি, ব্লাড সুগার, ওজন উচ্চতা মেপে বিএমআই হিসাবসহ নানা রকমের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা পদ্ধতি। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছেন ১৬০ জন শিক্ষার্থী এবং ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিইউ মেডিকসের উদ্যোক্তা শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার প্রতি যে এত আগ্রহ তা এই ক্যাম্পেইন শুরু করার পরেই চোখে পড়েছে। এই বিষয়গুলো হাতে-কলমে শেখানোর পর ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ভলান্টিয়ার হিসেবে বিভিন্ন মেডিকেল ক্যাম্প ও পেইড ট্রেইনার হিসেবে কাজ করার সুযোগ থাকছে।’

ড্রিমার্স কনসালটেশন অ্যান্ড রিসার্চের কো-অর্ডিনেটর ডাক্তার ইলিয়াস বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন ধরনের চাপ এবং পড়াশোনার মধ্যে থেকেও যদি কিছু সহজ অথচ কার্যকর মেডিকেল স্কিল শিখে রাখেন, তবে তারা নিজেদের এবং সমাজের জন্য তা খুবই কার্যকর হতে পারে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমরা যত কিছু করি না কেন, সবকিছুর ওপরে স্বাস্থ্য। আর স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রত্যেক মানুষের অন্তত বেসিক ধারণা থাকা দরকার। এর গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ হলো শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি ও দক্ষ করে তোলা, যা এই স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পেইনে পরিলক্ষিত হয়।’

নাবিল/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });