চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীকে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম নুরুল করিম সাদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের সামনে থেকে মুখ বেঁধে ওই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যায় মুখোশধরী দুর্বৃত্তরা। পরে জীববিজ্ঞান অনুষদের পেছনের নির্জন এলাকায় নিয়ে মারধর করা হয়। প্রক্টরিয়াল বডি জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চবি মেডিকেলে নেয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় জিরো পয়েন্টের মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে কর্তৃপক্ষের বিচারের আশ্বাসে ফটক খুলে দেন তারা।
এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চবি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের কর্মী হিসেবে সোহরাওয়ার্দী হলে থাকতেন বলে জানা গেছে। তবে ছাত্রদলের নেতারা সাদকে তাদের কর্মী বলে দাবি করেছেন। আগে ছাত্রলীগ করার জেরে তাকে মারধর হয়েছে বলেও অনেকে দাবি। তবে হামলাকারীদের শনাক্ত না করতে পারায় বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত।
এ বিষয়ে চবি মেডিকেলের দায়িত্বরত চিকিৎসক কেএম আতাউল গনি বলেন, ওই ছাত্রকে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চবি মেডিকেল সেন্টারে আনা হয়েছিল। ডান পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া পিঠে ফুলে যাওয়া একটা আঘাতের চিহ্ন ছিল। মাথা বা বুকে কোনো আঘাত ছিল না, তিনি নিজেই বলেছিলেন। পায়ে এক্স-রে করার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চবি ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন বলেন, সাদ ছাত্রদলের কর্মী। তবে, তারচেয়ে বড় পরিচয় সে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সন্ত্রাসীরা একজন শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে মারধর করাটা স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, রাতে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার শিকার সাদ। যে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে দোষীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ পিছপা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে সবার একযোগে কাজ করার বিকল্প নেই। ইতোমধ্যেই ফ্যাসিবাদের সময় নষ্ট করে ফেলা সিসিটিভি মেরামত ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংযোজনের কাজ শুরু হয়েছে। সিসিটিভি মেরামত, প্রতিস্থাপন ও সংযোজন প্রক্রিয়া শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি আরও নিরাপদ হবে।
মাহফুজ শুভ্র/জোবাইদা/অমিয়/