তামাক সেবনে ক্যানসার, হৃদরোগ, ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি রোগ (অ্যাজমা বা হাঁপানি), অ্যাজমা, বার্জাজ ডিজিজসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে। এমনকি তামাকের ধোঁয়ায় সাত হাজারের বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে, যা মরণব্যাধি ক্যানসার সৃষ্টির পেছনে দায়ী। এ থেকে ৭০ ধরনের ক্যানসার হতে পারে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের শহিদ মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী সভাকক্ষে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়রের (ডর্প) কারিগরি সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে’ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে আশু প্রয়োজনীয়তাবিষয়ক আলোচনা সভায় এ তথ্য উঠে আসে।
ডর্পের উপনির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান বলেন, ‘ক্যানসার, হৃদরোগ, ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি রোগ, ডায়বেটিস, বার্জাজ ডিজিজসহ (পায়ের পচন রোগ) বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ হয়ে থাকে। ধূমপায়ী বা তামাক সেবনকারীদের মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। তামাকের ধোঁয়ায় সাত হাজারের বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মানবদেহে প্রায় ৭০টি ক্যানসার সৃষ্টি করে।’
দেশে ধূমপানের শিকার হওয়ার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে (রেস্টুরেন্টে ৪৯.৭%, পাবলিক পরিবহনে ৪৪%, কর্মক্ষেত্রে ৪২.৭% এবং বাসাবাড়িতে ৩৯%) পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। প্রত্যক্ষ ধূমপানের পাশাপাশি পরোক্ষ ধূমপানও সমান ক্ষতিকর।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, ‘তামাক অর্থনৈতিকভাবে একটা অলাভজনক শিল্প। কারণ এটা প্রকৃতি, জলবায়ু, পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য নানা দিক থেকেই লোকসানের কারণ। এটার মধ্যে মোটা দাগে এমন কিছু পাওয়া যাবে না, যা জনসমাজের জন্য কল্যাণকর। এ জন্য তামাক বা তামাকজাতীয় দ্রব্যের উৎপাদন, ব্যবহার এবং এগুলো নিয়ে প্রচার-প্রকাশের বিরুদ্ধে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহির সঞ্চালনায় সিটিএফকে, বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান, ডর্পের উপদেষ্টা আজহার আলী তালুকদার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ও সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বক্তব্য রাখেন।