ঢাকা ১২ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

ইউনিয়ন ও শিক্ষাপঞ্জি ফি নেয় শাবিপ্রবি, সুবিধা পায় না শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম
ইউনিয়ন ও শিক্ষাপঞ্জি ফি নেয় শাবিপ্রবি, সুবিধা পায় না শিক্ষার্থীরা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: খবরের কাগজ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসন প্রতি সেমিস্টারে রেজিষ্ট্রেশন ফির জন্য বিভিন্ন খাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে থাকে। এ নিয়ে করোনার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, রেজিষ্ট্রেশন ফিতে এমন কিছু খাতে টাকা নেওয়া হয় যেগুলোর কোনো ব্যবহার বা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন ফির বিভিন্ন খাতের তালিকা ও প্রশাসন সূত্রে সেসব খাতের ব্যবহার বিধি জানতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রেশন ফির সঙ্গে শাকসুর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইউনিয়ন ফি এবং ডায়েরির জন্য শিক্ষাপঞ্জি ফি নামে দুটি খাতে যথাক্রমে ১০০ টাকা ও ৯০ টাকা করে নেওয়া হলেও সেগুলোর কোনো ব্যবহার বা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (শাকসু) কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতি সেমিস্টারে ইউনিয়ন ফি হিসেবে ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়।

কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায় দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে শাকসু অকার্যকর থাকলেও প্রতি সেমিস্টারে তার জন্য শিক্ষার্থীদের আলাদা টাকা গুনতে হচ্ছে। সর্বশেষ শাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯৭ সালের ২৫ আগস্ট। এরপর সারাদেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শাবিতেও ছাত্র সংসদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর প্রথম কয়েক বছর বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন শাকসু নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার থাকলেও পরবর্তীতে তা থমকে যায়।

অন্যদিকে শিক্ষাপঞ্জির জন্য প্রতি সেমিস্টারে ৯০ টাকা করে প্রদান করলেও শিক্ষাপঞ্জি বা এই সম্পর্কিত কোনো কিছুই পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা৷ এর আগে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর একটা করে ডায়েরি পেতো শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সেটাও এখন পাচ্ছেন না তারা।

এ দিকে গত ১১ ডিসেম্বর শিক্ষার্থী ভর্তিতে পোষ্য কোটা বাতিলসহ ভর্তি, সেমিস্টার ও ক্রেডিট ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনকে এ সব ‘অযৌক্তিক’ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তারা।

এর আগে গত ১৯ নভেম্বর খবরের কাগজে ‌‌‌শাবিতে প্রতিবছর বাড়ছে রেজিস্ট্রেশন ও ক্রেডিট ফি' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয় কীভাবে প্রতি বছর রেজিষ্ট্রেশন ও ক্রেডিট ফি বৃদ্ধি নিয়ে শিক্ষার্থীরা নানামুখী সমালোচনা করে এলেও পরিবর্তনের বদলে প্রতিবছর নতুন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের গুনতে হচ্ছে বিগত শিক্ষাবর্ষের থেকে বেশি টাকা। তার ব্যতিক্রম ঘটেনি নতুন সেমিস্টারেও। নতুন সেমিস্টারে প্রতি বর্ষের শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন ফি বেড়েছে ২৫০ টাকা করে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ জুয়েল বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তার গতানুগতিক মাতৃসুলভ মমতা থেকে দিনদিন এক আগ্রাসী সৎ মা হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। প্রতি বছর দাদনের মতো চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে অযৌক্তিক রেজিস্ট্রেশন ফি যার ভারে শিক্ষার্থীরা পিষ্ট। এই অযৌক্তিক ফি এবং তার বিপরীতে কাঁচকলা দেখানোর সংস্কৃতির অবসান ঘটুক।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসাইন বলেন, আমি মনে করি, ইউনিয়ন ফি ও শিক্ষাপঞ্জি নামে খাতগুলো আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। অর্থাৎ সকল সাস্টিয়ানকে এসব সুবিধা প্রধান করতে হবে। নয়তো এসব অযৌক্তিক ফি বাদ দিতে হবে।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাকসুর কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এত বছর যাবত ইউনিয়ন ফির টাকা কোন খাতে ব্যবহার হয়ে আসছে এবং শাকসু অকার্যকর থাকলেও কেনো তার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে বর্তমান প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, অতীতে আমি ছিলাম না তাই এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারছি না। কিন্তু আগামীতে যাতে খুব শিগগিরিই যাতে শাকসুর নির্বাচন হয় এবং এই টাকাটা যাতে শাকসুর জন্যই ব্যবহার করা হয় এ বিষয়টা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমি বদ্ধপরিকর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এছাক মিয়া বলেন, আমরা এত দিন ছিলাম না। কিন্তু এখন আমরা এই বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা বিষয়গুলো নিয়ে যৌক্তিক চিন্তাভাবনা করছি এবং খুব শীগ্রই এ ব্যাপারে একটা কমিটি গঠন করা হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, এই বিষয়গুলো ইতোমধ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের এজেন্ডাভুক্ত হয়েছে। শিক্ষকরা এ ব্যাপারে আলোচনা করে কী সিদ্ধান্ত নেন সেটা খুব শিগগিরিই জানিয়ে দেওয়া হবে।

ইসফাক আলী/নাবিল/এমএ/

বশেমুরবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের হামলায় ২ সমন্বয়কসহ আহত ৫

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৪১ এএম
বশেমুরবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের হামলায় ২ সমন্বয়কসহ আহত ৫
ছবি : খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ওপর নিষিদ্ধ সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে।

হামলার সময় ছাত্রলীগ ও সমন্বয়কদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। হামলায় দুই সমন্বয়কসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে দুই সাংবাদিক আক্রমণের শিকার হন।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান ও বশেমুরবিপ্রবির প্রক্টর আরিফুজ্জামান রাজিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

বশেমুরবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জসিম উদদীন বলেন, জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম সোহাগকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দিচ্ছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অন্য নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে সোহাগকে ছাড়িয়ে নেন এবং ছাত্রলীগের পক্ষে স্লোগান দেন। হামলায় সমন্বয়ক জসিম উদদীন ও ওমর শরীফ নামের দুই সমন্বয়ক আহত হন। এই ঘটনায় কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর sরহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।

নানা আয়োজনে যবিপ্রবির জন্মদিন পালিত

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৫ এএম
নানা আয়োজনে যবিপ্রবির জন্মদিন পালিত
ছবি: খবরের কাগজ

বর্ণিল পথ আল্পনা, কেক কাটা, পিঠা উৎসব, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, বেলুন উড়ানো, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ জাতীয় পতাকা এবং কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধান ফটক থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রা শেষে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন যবিপ্রবির উপাচার্য।

উদ্বোধন শেষে যবিপ্রবি উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষসহ আগত অন্যান্য অতিথিরা বিভিন্ন বিভাগের পোস্টার প্রেজেন্টেশন, পিঠা উৎসবের স্টল ও পথ আল্পনাসমূহ পরিদর্শন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭টি বিভাগ, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বিল্পব-২৪, উদ্যোক্তা স্টলসহ পিঠার বাহারী নামকরণ করে। স্টলগুলোতে নানা ধরণ, বাহারী আকৃতি ও ঋতু বৈচিত্র অনুযায়ী সুস্বাদু পিঠার পসরা দেখে সবাই চমৎকৃত হন।

পরে দুপুর একটার দিকে যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মাঠে  আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, যবিপ্রবি প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও দেশ ও বিদেশের মধ্যে আলোকবর্তিকা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সম্মিলিত চেষ্টায় জ্ঞান ও বিজ্ঞানে যবিপ্রবি বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। গবেষণায় নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বকে নতুন অনেক কিছু দিবে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

এজন্য সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবে শহিদের রক্ত এখনও শুকিয়ে যায়নি। আমরা একটি সুন্দর দেশ গড়ার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করে যাব। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে তাদেরকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আমরা দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে এই দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।

অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে নবনিযুক্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হোসাইন আল মামুন সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কর্ম, প্রতিটি অবদান বিশ্বের ওপর প্রভাব পড়বে, সেই অগ্রযাত্রায় যবিপ্রবি শামিল হয়েছে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মীর মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির ডিনস কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জাফিরুল ইসলাম।

বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও সম্মানিত রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক নার্গিস বেগম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক এ. এইচ. এম শাহারিয়ার। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অতিথি শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাজিয়ালী মৌজায় ৩৫ একর জায়গা জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আটটি অনুষদের অধীনে ২৭ টি বিভাগ রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে প্রায় ৪ হাজার ৬২২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকসহ মোট ৩৪৯ জন শিক্ষক, বিভিন্ন গ্রেডের ১৬৩ জন কর্মকর্তা এবং ৩৪৬ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন।

মেহেদী/

খুবি শিক্ষার্থী অর্ণব হত্যা এখনও অমিমাংসিত

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২০ এএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৬ এএম
খুবি শিক্ষার্থী অর্ণব হত্যা এখনও অমিমাংসিত
ছবি : সংগৃহীত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্ণব কুমার সরকার হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো ‘ক্লু’ উদঘাটন হয়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সেই সঙ্গে হত্যার বিষয়ে তথ্য পেতে অর্ণবের তিন সহপাঠীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। তবে তাদেরকে আটক বা গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।

পুলিশ বলছে, হত্যার ব্যাপারে তথ্য পাওয়ার জন্য তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহত অর্ণব হত্যার ঘটনাস্থলের পাশের নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনির্ভাসিটি তেঁতুলতলা মোড় ক্যাম্পাস থেকে অনার্স পাস করেছিলেন। পরে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের এমবিএতে ভর্তি হন

অর্ণবের বাবা নিতিশ কুমার সরকার জানান, তার ছেলে কারও সঙ্গে কোনো দিন দুর্ব্যবহার করেনি। কারও সঙ্গে কোনো দিন কথাকাটাকাটি হয়নি। লেখাপড়া শেষে বাবার ঠিকাদারি কাজ দেখাশোনা করত। আচমকা এই হত্যাকাণ্ড পরিবারের কেউ মেনে নিতে পারছে না।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে অর্ণবের লাশ বেলা পৌনে একটায় বাড়িতে নেওয়া হয়। এ সময় অর্ণবের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। পরে তাকে গল্লামারী শ্মশানঘাটে সৎকার করা হয়।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে তেঁতুলতলা মোড়ে মোটরসাইকেলে বসে অর্ণব চা পান করছিলেন। এ সময় ১০-১৫টি মোটরসাইকেলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে ঘিরে ধরে কাছ থেকে গুলি করে। গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হলে সড়কে লুটিয়ে পড়ে অর্ণব। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, হত্যাকাণ্ডের সম্ভাব্য দিকগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নিহতের তিনজন সহপাঠীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে কোনো ক্লু পাওয়া যেতে পারে। তবে তাদেরকে আটক বা গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। বিভিন্ন দিক থেকে আরও কিছু তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে। 

রাবিতে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ অবরোধ প্রত্যাহার

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৫ এএম
প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ অবরোধ প্রত্যাহার
ছবি : খবরের কাগজ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কলেজ শিক্ষার্থী শিমুল শিহাবের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়দের বিক্ষোভ ও অবরোধ প্রশাসনের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষের আশ্বাসে প্রত্যাহার করেছে।  

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আশ্বাস দিলো তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়।  

তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের কাজলা, বিনোদপুর, মেহেরচন্ডীসহ বিভিন্ন এলাকার স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় তারা 'আয় রাবি দেখে যা, রাজপথে তোর বাপেরা', 'আয় প্রক্টর দেখে যা, রাজপথে তোর বাপেরা', 'শিমুল ভাই মরল কেন, জবাব চাই জবাব চাই', 'প্রক্টরের চামড়া, তুলে নেব আমরা'সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

সন্ধ্যা সোয়া ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটকের সামনে থেকে একটা বিক্ষোভ মিছিল বের করে স্থানীয়রা। মিছিলটি সাড়ে ৬টার দিকে বিনোদপুর গেইটের সামনে এসে মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ ছাড়াও রাবির বিনোদপুর গেইট বন্ধ করে দেয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গেইট খোলার চেষ্টা করলে কয়েক দফায় উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে মহানগরীর মেহেরচন্ডী এলাকার সুজন খবরের কাগজকে বলেন, 'গতকাল রাতে আমাদের শিমুল ভাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শিক্ষার্থীরা পরিকল্পিতভাবে হত্যে করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার পর্যন্ত আমরা সড়ক অবরোধ করে রাখব।'

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শিমুল শিহাব নামে রাজশাহী কলেজের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা ওই শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার মৃত্যুকে সড়ক দুর্ঘটনা দাবি করলেও স্থানীয়রা হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করেছে।

এস আই সুমন/জোবাইদা/

ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৮ এএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৮ পিএম
ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলবে এ পরীক্ষা। 

চলতি শিক্ষাবর্ষে আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মোট দুই হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীত এক লাখ ২৫ হাজার ৪৯৮ জন অংশ নেবে এ পরীক্ষায়। সেই হিসাবে আসনপ্রতি লড়বে প্রায় ৪৩ (৪২.৭৮) জন।

এদিকে বেলা সাড়ে ১১টায় কলা অনুষদের ডিন অফিসসংলগ্ন পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করার কথা রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের।

বিগত বছরগুলোর ন্যায় আইবিএ এবং চারুকলা ইউনিট ব্যতীত অন্য ৩টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। 

বিভাগীয় কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

এর আগে গেল বছরের ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয় চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি আবেদন, যা চলে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। এদিকে বিশ্ব ইজতেমার কারণে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। 

এ ছাড়া ২৫ জানুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ৮ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভর্তিসংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে দেখতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

আরিফ জাওয়াদ/জোবাইদা/