ঢাকা ৫ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

বেরোবিতে জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০০ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ পিএম
বেরোবিতে জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড
বেরোবিতে গণিত অলিম্পিয়াড উদ্বোধন করেন ‍বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ছবি: খবরের কাগজ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) রংপুর অঞ্চলের স্নাতক পর্যায়ে ১৫তম জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এর গণিত বিভাগে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, গণিত হচ্ছে মাদার অব সায়েন্স। শুধু বিজ্ঞান নয়, অর্থনীতি ও ব্যবসার ভাষাও গণিত।  

তিনি বলেন, গণিতের ব্যবহার দেশে-বিদেশে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় অনেক সাফল্য নিয়ে আসতে পেরেছে। গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও একাডেমিক কার্যক্রমেও সাফল্যের স্বাক্ষর ধরে রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপাচার্য।

সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে গণিত অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন উপাচার্য। পরে বেরোবিসহ রংপুর অঞ্চলের ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি র‌্যালি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত গণিত অলিম্পিয়াডের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ গণিত সমিতির তত্ত্বাবধানে ও এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বেরোবি গণিত বিভাগ আয়োজিত অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় সেরা ১০ জন প্রতিযোগিকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়।

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন সৈয়দপুরের বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউস্ট) এর শিক্ষার্থী আদিত্য বনিক, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন বেরোবি শিক্ষার্থী সঞ্জীব চন্দ্র দেব এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন বাউস্ট এর শিক্ষার্থী মো. নূর এ আলম।

বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড ২০২৪ এর রংপুর অঞ্চলে আহ্বায়ক ও বেরোবি গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেরোবি উপাচার্য।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কে এম আরিফুল কবির ও প্রভাষক মো. সাদ্দাম হোসেন।

আয়োজনে রংপুর কারমাইকেল কলেজের গণিত বিভাগের প্রফেসর মো. আশরাফুল আলমসহ অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আজম/নাবিল/এমএ/

‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দাবি

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০২ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম
‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দাবি
এনসিটিবিতে কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করে সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। ছবি: খবরের কাগজ

কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদ, পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দ পুনর্বহাল ও ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন সংক্ষুব্ধ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ছাত্র-জনতার নেতা-কর্মীরা।

শনিবার (১‌৮ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে এ দাবি জানান তারা।

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা বলেন, “স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি নামে একটি ভুঁইফোড় সংগঠন গত ১৫ জানুয়ারি সংক্ষুব্ধ ‘আদিবাসী’ ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে। এখন পর্যন্ত মাত্র দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি অন্তর্বর্তী সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।”

ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, ‘গত ১৫ জানুয়ারি যারা হামলা করেছে তাদের চেহারা ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তবু প্রশাসনের কোনো উদ্বেগ নেই। আমরা হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি, একই সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের অধিকার আদায়ে ছাত্র ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সংহতি প্রকাশ করছি।’

বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ছাত্র ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অলীক মৃ বলেন, ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ওপর হামলার ঘটনাটি নানাভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের ২১ জন ভাইবোন আহত হয়েছেন। যার নেতৃত্বে আক্রমণ হয়েছে, তিনি এখনো বিভিন্ন মিডিয়ায় টক শো করে যাচ্ছেন। প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরাই দেশে বৈচিত্র্য এনেছি। যারা এই বৈচিত্র্য নষ্ট করতে চায় তারাই বিচ্ছিন্নতাবাদী। এই বাংলাদেশ আমাদের সবার। আমাদের ধ্বংস করতে চাইলে এ পৃথিবীর বন-পাহাড় সব ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, সরকার যদি আমাদের দাবি-দাওয়া মেনে না নেয়, তাহলে সারা দেশে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

এতে অন্যদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা অংশ নেন। এ সময় তারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

আরিফ জাওয়াদ/নাবিল/

ছাত্রলীগ ও অভ্যুত্থানে হামলায় জড়িতদের বিচার দাবি ছাত্রদলের

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৩ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৭ পিএম
ছাত্রলীগ ও অভ্যুত্থানে হামলায়  জড়িতদের বিচার দাবি ছাত্রদলের
ছাত্রলীগ এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলায় জড়িতদের বিচার দাবিতে ছাত্রদলের 'মার্চ ফর জাস্টিস'। ছবি: খবরের কাগজ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যথাযথ বিচার ও সন্ত্রাসীদের সাজা নিশ্চিত করার দাবিতে এবং জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে ভূমিকা পালনকারীদের তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পালন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়ে শাহবাগ, টিএসসি হয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। 

এতে ছাত্রলীগের বিচার না করলে তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া তত সহজ হবে উল্লেখ করে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সদিচ্ছা পোষণ করছে না। সরকার ভেবেছে, ছাত্রলীগকে শুধু দায়সারাভাবে নিষিদ্ধ করলে তাদের অপকর্ম ঢাকা পড়ে যাবে। এখন পর্যন্ত জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শনাক্ত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ে তার পাঁচ মাস অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রতিবেদন জমা পড়েনি। আমরা চাই, অবিলম্বে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে। তাদের ছাত্রত্ব বাতিল ও আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা কোন আল্টিমেটাম দিচ্ছি না। তবে আমরা বিচার প্রক্রিয়া চালুর দাবি জানাচ্ছি। আপনারা যত দেরি করবেন, তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া তত সহজ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা জুলাই-আগস্টের আন্দোলনকে কুক্ষিগত করতে চায়, তারা যেন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে। আমি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করতে চাই, আপনারা এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না, যার দ্বারা ঐক্য নষ্ট হয়।’

এ সময় ছাত্রদলের সভাপতি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিও জানান। 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের চলে চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, ‘ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে অন্তর্বর্তী সরকার গ্রেপ্তার করতে পারেনি। শুধুমাত্র শীর্ষ সন্ত্রাসী নয়, প্রত্যেকটি জেলায় ছাত্রলীগের যেসব শীর্ষ সন্ত্রাসী রয়েছে, তারা এখনও ঢাকায় অবস্থান করছে। আমরা চাই, অবিলম্বে ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি যেসব আওয়ামী লীগের দোসররা জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হয়।’

এতে অন্যান্যদের মধ্যে ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, মহানগর উত্তরের সভাপতি মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান লিপকন, দক্ষিণের সভাপতি শামীম মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর পূর্বের সভাপতি মো. সোহাগ ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান মজুমদার, ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি মো. রবিন খান এবং সাধারণ সম্পাদক আকরাম আহমেদসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় নেতাকর্মীরা ‘জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড’, ‘সে নো টু মবোক্রেসি’, ‘স্টপ মব জাস্টিস’, ‘ক্রিমিনাল হ্যাভ নো প্লেস ইন ক্যাম্পাস’, ‘আওয়ামী সিনেট-সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ সহ বিভিন্ন স্লোগান ও প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন।

আরিফ জাওয়াদ/নাবিল/এমএ/

রুয়েটের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৯ পিএম
রুয়েটের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ছবি : খবরের কাগজ

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মণাধীন একাডেমিক ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস।

নিহত শ্রমিকের নাম মো. সালাম (২৫)। তিনি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার দড়িপাড়া গ্রামের আয়নুল হকের ছেলে। রুয়েটের নির্মাণাধীন ভবনের রাজমিস্ত্রী হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকালে রডের কাজ করছিলেন সালাম। কাজ করার এক পর্যায়ে ৮টার দিকে হটাৎ করে ৫তলার ছাদ থেকে পড়ে যান। পরে সাইটের কর্মরতরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় তিনি কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই কাজ করছিলেন।

মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস খবরের কাগজকে বলেন, 'মাথা থেতলানো ও দেহের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্নসহ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানতে পারি হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।'

এবিষয়ে রুয়েটের প্রকল্প পরিচালক অমিত রায় চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, 'মৃত্যুর সংবাদটি আমরা কিছুক্ষণ আগেই জানতে পেরেছি। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল। আমাদের নির্দেশনা অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা না করায় দায়িত্বরত ঠিকাদারকে বহিষ্কার করেছি। তাছাড়া একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

তবে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও প্রকল্পের দায়িত্বরত প্রকৌশলী মমিনুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাছাড়া কর্মরত সকল শ্রমিককে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়েছেন তারা।

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২১ সালে একনেকে পাস হয় ২টি একাডেমিক ও ১টি প্রশাসন ভবন। প্রশাসন ভবনের নির্মাণ ব্যয় ৩৭ কোটি ৭৭ লাখ, একাডেমিক ভবন (ইলেক্ট্রিক্যাল) ৬৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত একাডেমিক ভবনের (সিভিল) ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি ৩৩লাখ টাকা। ২০২২ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবার কথা থাকলেও মাত্র ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এস আই সুমন/জোবাইদা/

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৩ পিএম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে প্রশাসন। এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী এপ্রিল মাস থেকে। আবেদন ফি ইউনিট প্রতি ১ হাজার টাকা।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার স্বাক্ষরিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টায় ‘সি’ ইউনিটের (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৩ মে সকাল ১০ টায় ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান অনুষদ) এবং একই দিন বিকেল ৩টায় ‘বি’ ইউনিটের (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা, এমনকি ছুটির দিনেও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন করতে পারবে। আবেদন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য কুবির ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।

আবেদনের জন্য এ ইউনিটের শিক্ষার্থীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮ থাকতে হবে এবং কোনোটিতেই জিপিএ ৩.৫০ এর নিচে থাকা যাবে না। 

বি ইউনিটে আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ মানবিক শাখায় ৬.০০, বিজ্ঞান শাখায় ৭.০০ এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৬.৫০ থাকতে হবে। তবে সকল শাখার ক্ষেত্রে এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে। 

সি ইউনিটে আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ বিজ্ঞান শাখায় ৭.০০ থাকতে হবে।  এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে, ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৬.৫০ থাকতে হবে।  এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে এবং মানবিক শাখায় ৬.০০ থাকতে হবে। এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০২তম সিন্ডিকেট সভায় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি থেকে সরে এসে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আতিকুর রহমান তনয়/মাহফুজ 

 

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ পুনর্গঠন

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৭ পিএম
আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৩ পিএম
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ পুনর্গঠন
চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ পুনর্গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোছাম্মৎ রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

ট্রাস্টি বোর্ডে একজন চেয়ারম্যান ও আটজন সদস্য থাকবেন।

চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

এ ছাড়া চসিকের সদ্য সাবেক মেয়র, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, চসিকের সচিব, চসিকের শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, চসিকের দুইজন প্যানেল মেয়র এবং চসিকের হিসাব ও নিরীক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানকে সদস্য করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

নাবিল/এমএ/