ঢাকা ৩০ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পাচ্ছে সেনাবাহিনী, শাটডাউন অব্যাহত

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৯ পিএম
জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পাচ্ছে সেনাবাহিনী, শাটডাউন অব্যাহত
শাটডাউনের কারণে শুনসান জবি ক্যাম্পাস। ছবি: খবরের কাগজ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.রেজাউল করিম। তিন কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দায়িত্ব নেবেন বলে জানান তিনি। তবে লিখিত কোন প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত ক্যম্পাসে শাটডাউন বলবৎ থাকবে ,ঘোষণা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের।
 
বুধবার (১৫ জানুয়ারি)  আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে উপাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। আসছে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সেনাবাহিনী দ্বিতীয় ক্যাম্পাস পরিদর্শনে যাবে। এ ছাড়া কাজের অগ্রগতির বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।’ 

এই কমিটি আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলেও জানান তিনি। 

তবে মৌখিক প্রতিশ্রুতিতে তুষ্ট হননি শিক্ষার্থীরা। লিখিত না পাওয়া পর্যন্ত শাটডাউন কর্মসূচি চলবে বলে জানান তারা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কয়েকদফা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কাজ হয়নি।

এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, ‘সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ বুঝে নেওয়ার আগ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’

নাইমুর/

স্বাস্থ্যবিমার অধিকারের তথ্য অজানা শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৮ এএম
স্বাস্থ্যবিমার অধিকারের তথ্য অজানা শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: খবরের কাগজ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা ভর্তির সময়ের পাশাপাশি প্রতি সেমিস্টারে রেজিস্ট্রেশন ফির সঙ্গে জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমার টাকা দিয়ে থাকেন। কোনো কারণে তারা অসুস্থ হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে তাদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়ার কথা।

কিন্তু বেশির ভাগ শিক্ষার্থী তাদের এই অধিকার সম্পর্কে জানেন না। আবার যারা জানেন, তারা প্রাপ্ত সুবিধা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে অনেক শিক্ষার্থী আবার চিকিৎসার সহায়তার আবেদন করা থেকেই আগ্রহ হারিয়েছেন। 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি নিয়ে প্রচার না থাকায় তারা তাদের ন্যায্যা অধিকার সম্পর্কে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রচারের বিষয়ে তারা শিগগিরই উদ্যোগ নেবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই বিমাচুক্তির মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলে শিক্ষার্থীরা বছরে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পাবেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা পাঁচ হাজার টাকার একটি আউটপেশেন্ট ট্রিটমেন্ট কাভারেজ পাবেন। দুর্ঘটনাবশত কোনো শিক্ষার্থী মৃত্যুবরণ করলে তিনি যাকে নমিনি করে যাবেন তিনি ৫০ হাজার টাকা পাবেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অতি প্রয়োজনীয় এই তথ্যগুলো জানানোর জন্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার জন্য ৫০০ টাকা এবং পরবর্তী সময়ে প্রতি সেমিস্টারে রেজিস্ট্রেশন ফির সঙ্গে ২৫০ টাকা করে পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু নিয়মিত জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার জন্য টাকা পরিশোধ করলেও তারা এর সুবিধা সম্পর্কে জানেন না। এমনকি কোন পদ্ধতিতে এই সুবিধা ভোগ করতে হয়, তার সম্পর্কেও শিক্ষার্থীদের কোনো ধারণা নেই।  

অসুস্থ হওয়া একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে খবরের কাগজ। কিন্তু তাদের বেশির ভাগই এই বিমা সম্পর্কে প্রথমবার শুনেছেন। আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে কজন বিমার সুবিধা নিয়েছেন, তারা জানিয়েছেন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা। 

কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত বছরের ১ নভেম্বর হঠাৎ বুকে ব্যথা নিয়ে সিলেট শহরের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভর্তি হই। তারপর ৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে প্রয়োজনীয় তথ্যাসহ স্বাস্থ্যবিমার জন্য আবেদন করি। তখন জানানো হয়, শিগগিরই টাকা পেয়ে যাব। কিন্তু দুই সপ্তাহ যাওয়ার পরও যখন টাকা পাইনি তখন আবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলি। তখন আমাকে ধৈর্য ধরতে বলা হয়। তিন মাস হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আমি কোনো টাকা পাইনি।’  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গত কয়েক মাস আগে সাইনুসাইটিসজনিত চিকিৎসার জন্য আমার প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু এর এক মাস আগে আমার এক বন্ধু আবেদন করেও টাকা পায়নি। তাই সব কাগজপত্র সংগ্রহ করার পরও আমি আর আবেদন করিনি।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আছেন, যারা স্বাস্থ্যবিমার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত অবগত নন। অসুস্থ হওয়ার পর জানেন না যে তাদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সুবিধা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আর এই অধিকারের জন্য তাদের প্রতি সেমিস্টারে ২৫০ টাকা করে গুনতে হয়। এ রকমই কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয় খবরের কাগজের প্রতিবেদকের।
গত নভেম্বর মাসে ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ের হাড়ে ফাটল দেখা দেয় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আসিফের। চিকিৎসা করাতে তার প্রায় ছয় হাজার টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যবিমার ব্যাপারে না জানায় এই সুবিধার জন্য তিনি আবেদন করতে পারেননি। 
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. এছাক মিয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘যদি কোনো শিক্ষার্থী সেবা পেতে ভোগান্তির সম্মুখীন হন, আমাদের জানালে আমরা সর্বাত্মক সহোযোগিতা করব। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিমা সম্পর্কে সচেতন করতে আমরা খুব শিগগির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’ 

এদিকে বিমার সেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হলে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিমা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে আমরা শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব। যদি কোনো শিক্ষার্থী এই সেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হন, সে ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’

রাসুল (সা.) এর কটুক্তিকারী শাতিম সোহেলকে গ্রেপ্তারের দাবি

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫০ পিএম
রাসুল (সা.) এর কটুক্তিকারী শাতিম সোহেলকে গ্রেপ্তারের দাবি

সম্প্রতি ইডেন কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও নায়েমের প্রশিক্ষক সোহেল হাসান গালিব বিরুদ্ধে তার ফেসবুক পোস্টে হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর প্রতি কটুক্তি করার অভিযোগ ওঠেছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবিপ্রেমী সকল শিক্ষার্থীদর পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দাওয়াহ সার্কেল এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

প্রতিবাদ লিপিতে তারা বলেন, ‘স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই যে, নবী (স.)-এর শানে এমন কোনো ধরনের অবমাননা বা কটুক্তি কোনোভাবেই বরদাশত করা হবেনা। প্রিয় রাসুল (স.) এর অপমান, পুরো উম্মাহর জন্য হৃদয়ে রক্তক্ষরণ। তার এই অপমানজনক মন্তব্যে শুধু মুসলিম সমাজ নয়, বরং সমগ্র মানবতার অনুভূতি মারাত্নকভাবে আহত হয়েছে।’

সংগঠনটি তাদের বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দাওয়াহ সার্কেল সরকার ও প্রশাসনের নিকট গোস্তাখে রাসুল সোহেল হাসান গালিবের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে এবং অভিযুক্তকে তার মন্তব্যের জন্য বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘৃণিত কাজ করার সাহস না পায়।’

তামিম/মাহফুজ/

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে ঢাবিতে মতামত সংগ্রহে ক্যাম্পেইন

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে ঢাবিতে মতামত সংগ্রহে ক্যাম্পেইন
ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণে ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি বুথে এই ক্যাম্পেইন চলে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, টিএসসি প্রাঙ্গণ, বটতলা, সায়েন্স লাইব্রেরি প্রাঙ্গণ এবং হল পাড়ায় বুথ বসানো হয়। ওই জরিপে নতুন রাজনৈতিক দলের নাম কী হবে, প্রতীক কী হবে, কী হবে নতুন দলের ম্যান্ডেট ও কর্মসূচি- ইত্যাদি বিষয় জানতে চাওয়া হচ্ছে। এছাড়া দেশ পরিবর্তনে তিনটি পরামর্শও চাওয়া হয়।

মতামত সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিগ্যাল সেলের সদস্য আশিকুর রহমান জীম খবরের কাগজকে বলেন, ‘৫ আগস্টের পরবর্তী প্রেক্ষাপটে সারা দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। এই আকাঙ্ক্ষা আমরা সবার চাওয়া অনুযায়ীই পূরণ করতে চাই। সে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই দেশব্যাপী অনলাইনে-অফলাইনে জনমত সংগ্রহের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’

এর আগে গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে স্ট্যাটাসে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণে জরিপ শুরুর ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন একসময় দুই সহস্রাধিক প্রাণের বিনিময়ের গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছিল, যার নেতৃত্বে ছিল বাংলাদেশের বিপ্লবী ছাত্র-তারুণ্য। সেই তরুণরাই গঠন করতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল। আর সেই দল গঠনে আমরা জানতে চাই ছাত্রসমাজের প্রত্যাশা। ছাত্রসমাজের মতামতের প্রতিফলন ঘটিয়েই গঠন করা হবে নতুন রাজনৈতিক দল। সেই লক্ষ্যে আমরা শুরু করেছি ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ নামক ক্যাম্পেইন।’

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি গঠন

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি গঠন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) কমিটি আগামী ৬ মাসের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে রাকিব আহমেদকে আহ্বায়ক ও সিরাজুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ১২টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত একপত্রে এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটিতে মো. শাহেদ হোসেনকে মুখ্য সংগঠক, মো. মাইনুল ইসলামকে মুখপাত্র, মো.জাহিদুল ইসলাম ও শারমিলা জামান সেঁজুতিকে সহ-মুখপাত্র করা হয়।
এছাড়া ১৫ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৪ জনকে যুগ্ম সদস্য সচিব, ৮ জনকে সংগঠক ও ৩২ জনকে সদস্য করা হয়েছে।

নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক রাকিব আহমেদ বলেন, ২৪ আন্দোলনের প্রথম স্বাধীন ক্যাম্পাস বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। যাদের হাত ধরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন হয়েছে, সেসব বিপ্লবীদের আমাদের এ কমিটিতে স্থান করে নিয়েছে। ক্যাম্পাসের উন্নয়নে আমাদের এ কমিটি কাজ করে যাবে।

ছবি: সংগৃহীত

 

জাকির/মাহফুজ

 

রাবিতে শিক্ষক নিয়োগ সার্কুলার প্রত্যাহার ও নীতিমালা সংস্কারের দাবি

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৭ এএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৩ এএম
রাবিতে শিক্ষক নিয়োগ সার্কুলার প্রত্যাহার ও নীতিমালা সংস্কারের দাবি
রাবিতে শিক্ষক নিয়োগ সার্কুলার প্রত্যাহার ও নীতিমালা সংস্কারের দাবিতে সমাবেশে শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ আমলের শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলার প্রত্যাহার এবং নীতিমালা সংস্কারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ‘বাংলাদেশ গঠনতান্ত্রিক আন্দোলন’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

প্রায় ছয় বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হতে যাচ্ছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ভাইভা নেওয়ার মাধ্যমে এ নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।

সমাবেশে বক্তারা অনতিবিলম্বে এই সার্কুলার প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও মানবাধিকার কর্মী রাশেদ রাজন বলেন, ‘৫ আগস্ট বিপ্লবপরবর্তী সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি ছিল পূর্বের সার্কুলারে আর কোনো শিক্ষক নিয়োগ হবে না। কিন্তু বুধবার পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের জন্য যে ভাইভা হবে, সেটা যদি কার্যকর হয় তবে আমাদের বিজয় পরাজিত হবে। আওয়ামী ফ্যাসিজমের সময়ের যে সার্কুলার সেটা সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো শিক্ষক নিয়োগ হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত সময়ের সার্কুলারে যারা যোগ্য, মেধাবী, পিএইচডিধারী তারা কেউই আবেদন করেননি। কারণ তারা জানত এই সার্কুলারে তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হবে না। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন পুনরায় সেই সার্কুলারেই পদার্থবিজ্ঞান বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা নিতে যাচ্ছে। অবিলম্বে এই নিয়োগের সার্কুলার প্রত্যাখ্যান করতে হবে। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী ফ্যাসিজম পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, ‘বিগত সময়ে অর্থনৈতিক লেনদেন, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিসহ এমন কোনো অনিয়ম নেই যেগুলো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘটেনি। আওয়ামী লীগ শাসনামলের সার্কুলারে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফ্যাসিবাদী দোসরদের আবার সুযোগ করে দিচ্ছে। বিপ্লব পরবর্তী প্রশাসন আগের ফ্যাসিস্ট প্রশাসনের দেখানো পথেই হাঁটছে।অনতিবিলম্বে এই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় সার্কুলার ও নীতিমালা সংস্কার করে যোগ্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট আমলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরপেক্ষ অবস্থানে না থেকে দলীয় প্রশাসনে পরিণত হয়েছিল। দলীয়করণের প্রধান কারণ ছিল অনিয়মতান্ত্রিক দলীয় নিয়োগ প্রক্রিয়া। ফ্যাসিস্ট আমলের সেই নিয়ম ভেঙে নতুন বাংলাদেশে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।’

এস আই সুমন/সুমন/