ঢাকা ২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১

ছাত্রলীগ ও অভ্যুত্থানে হামলায় জড়িতদের বিচার দাবি ছাত্রদলের

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৩ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৭ পিএম
ছাত্রলীগ ও অভ্যুত্থানে হামলায়  জড়িতদের বিচার দাবি ছাত্রদলের
ছাত্রলীগ এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলায় জড়িতদের বিচার দাবিতে ছাত্রদলের 'মার্চ ফর জাস্টিস'। ছবি: খবরের কাগজ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যথাযথ বিচার ও সন্ত্রাসীদের সাজা নিশ্চিত করার দাবিতে এবং জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে ভূমিকা পালনকারীদের তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পালন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়ে শাহবাগ, টিএসসি হয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। 

এতে ছাত্রলীগের বিচার না করলে তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া তত সহজ হবে উল্লেখ করে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সদিচ্ছা পোষণ করছে না। সরকার ভেবেছে, ছাত্রলীগকে শুধু দায়সারাভাবে নিষিদ্ধ করলে তাদের অপকর্ম ঢাকা পড়ে যাবে। এখন পর্যন্ত জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শনাক্ত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ে তার পাঁচ মাস অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রতিবেদন জমা পড়েনি। আমরা চাই, অবিলম্বে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে। তাদের ছাত্রত্ব বাতিল ও আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা কোন আল্টিমেটাম দিচ্ছি না। তবে আমরা বিচার প্রক্রিয়া চালুর দাবি জানাচ্ছি। আপনারা যত দেরি করবেন, তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া তত সহজ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা জুলাই-আগস্টের আন্দোলনকে কুক্ষিগত করতে চায়, তারা যেন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে। আমি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করতে চাই, আপনারা এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না, যার দ্বারা ঐক্য নষ্ট হয়।’

এ সময় ছাত্রদলের সভাপতি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিও জানান। 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের চলে চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, ‘ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে অন্তর্বর্তী সরকার গ্রেপ্তার করতে পারেনি। শুধুমাত্র শীর্ষ সন্ত্রাসী নয়, প্রত্যেকটি জেলায় ছাত্রলীগের যেসব শীর্ষ সন্ত্রাসী রয়েছে, তারা এখনও ঢাকায় অবস্থান করছে। আমরা চাই, অবিলম্বে ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি যেসব আওয়ামী লীগের দোসররা জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হয়।’

এতে অন্যান্যদের মধ্যে ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, মহানগর উত্তরের সভাপতি মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান লিপকন, দক্ষিণের সভাপতি শামীম মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর পূর্বের সভাপতি মো. সোহাগ ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান মজুমদার, ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি মো. রবিন খান এবং সাধারণ সম্পাদক আকরাম আহমেদসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় নেতাকর্মীরা ‘জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড’, ‘সে নো টু মবোক্রেসি’, ‘স্টপ মব জাস্টিস’, ‘ক্রিমিনাল হ্যাভ নো প্লেস ইন ক্যাম্পাস’, ‘আওয়ামী সিনেট-সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ সহ বিভিন্ন স্লোগান ও প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন।

আরিফ জাওয়াদ/নাবিল/এমএ/

মেধাবীদের পুরস্কার দিলেন কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম
মেধাবীদের পুরস্কার দিলেন কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কম্পিউটার প্রোগ্রামার কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুলের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এর উপাচার্য ড. লতিফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) আহ্বায়ক রাশেদুল হাসান হারুন, উপ-উপাচার্য ড. বেলাল, ট্রেজারার প্রফেসর বাশার, পিএসসি’র সদস্য ড. তামান্না, বিএআরআই এর পরিচালক (গবেষণা) ড. মুন্সী রাশেদ, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শাহ আলম ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইফুল্লাহ আনসারী। 

অনুষ্ঠানে প্ল্যান্ট অ্যান্ড সাইন্স কুইজের ১৩ জন বিজয়ী ও ক্যাম্পাসে আলোকিত ২৮ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুল। তিনি প্রবাসে থেকেই অনলাইনে কুইজ প্রতিযোগিতা ও বিজয়ী নির্ধারণ করেছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. লতিফ বলেন, কম্পিউটার প্রোগ্রামার কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুল অস্ট্রেলিয়ায় বসে দেশের অসহায় মানুষ, নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অসহায় শিক্ষার্থী ও বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের জন্য যা করেছে সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়। অথচ এসব কাজ আমরা দেশে থেকেও করতে পারি না।

তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানতে পারলাম বৈষ্যমবিরোধী আন্দোলনে জুলাইয়ে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করেছেন মুকুল। এছাড়াও অনেক আহত শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য অর্থও দিয়েছেন। তার এই কাজগুলো সতিই মনোমুগ্ধকর।  

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র প্রফেসর ড. সরোয়ার হোসেন ও প্রফেসর ড. রফিকসহ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকগণ, ডিনগণ, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রক্টর । 

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের ইংলিশ নিউজ প্রেজেন্টার সালাউদ-দীন আহমেদ, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রাম রিপ্রেজেন্টেটিভ নূর আহমেদ খন্দকার ও ঢাকা পোস্টের সিনিয়র নিউজ এডিটর মাহবুর আলম সোহাগ।

প্রসঙ্গত, দেশের যেকোনো দুর্যোগে অস্ট্রেলিয়া থেকে কখনও প্রবাসীদের সংগঠন লিটিল কেয়ারের মাধ্যমে আবার কখনও ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুল। প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার, অসহায়দের ঘর তৈরি করে দেওয়া, বিধবা নারীদের রোজগারের ব্যবস্থা করে দেওয়াসহ নানান মানবিক করেন তিনি।

মাহফুজ

শাবিপ্রবির ছাত্রী হলে 'বিড়াল তাড়ানোর অভিযান'

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম
শাবিপ্রবির ছাত্রী হলে 'বিড়াল তাড়ানোর অভিযান'
ছবি : খবরের কাগজ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিড়াল তাড়ানোর অভিযান সম্পর্কিত এক বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে। 

গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দেওয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের ছাত্রীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, হলের ছাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) হলের বিড়াল তাড়ানোর অভিযান চলবে। এ ব্যাপারে সব ছাত্রীর সহযোগিতা কামনা করছি।

এর বিজ্ঞপ্তির সমালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্রুপ সাস্টিয়ান ভয়েসে ফাইজা বিহা নামে এক ফেসবুক আইডি থেকে বিড়ালগুলোকে বস্তায় ভরে ফেলে দেবে এ রকম একটা চেটের স্ক্রিনশট দিয়ে লেখেন, একটা তাজা প্রাণকে বস্তায় ভরে ফালায় দেবে এইটাকে একটা ভার্সিটির স্টুডেন্ট হয়ে কীভাবে সাপোর্ট করতে পারেন? কতটা ইনহিউম্যান হলে এই কাজ করা যায়?? 

'সবাই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি, তাদেরও বাঁচার অধিকার আছে, সব হিসাব ওপরওয়ালা রাখেন!!!'

এই কমেন্টেও তৈরি হয়েছে পক্ষ-বিপক্ষ। 'তানজিম আক্তার কমেন্ট করেন, কে এই রকম অভিযোগ তুলছে? আর কিসের সহযোগিতা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমাদের নিন্দা জানানো উচিত। বিড়াল মানুষের আশপাশেরই প্রাণী।'

তামজিদ হোসাইন লেখেন, 'বিড়াল নিয়ে অভিযোগ দিলো আর অভিযান শুরু করে দিলো। আর আবাসিক হলের এত এত সমস্যার অভিযোগ দেয় ওইগুলা কি সমস্যা না? পারে খালি নিরীহ কুকুর বিড়ালের সাথেই? এত স্পাইনলেস কীভাবে হয় কর্তৃপক্ষ।' 

'বিড়াল নিয়ে আসলে কি সমস্যা? অভিযোগ কি?' 

'ফারজানা আনিকা নামে একজন লেখেন, এটা কোন ধরনের ফালতু কাজ? ওদের কী দোষ? এটা কোন ধরনের অমানুষিক আচরণ? যাদের রুমে সমস্যা তারা নিজেদের রুমের খেয়াল রাখতে পারেন না। এটা কি বিড়ালের দোষ? আমরা থাকি না হলে? আমাদের রুমের সামনে কি বিড়াল আসে না? রুমের দরজা হা করে রাখবেন আর ওরা ঢুকলেই সমস্যা? এই অভিযোগগুলো করে কারা?'

হল কর্তৃপক্ষের নেওয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে কমেন্ট করেছেন কিছু শিক্ষার্থী। হাফসা খাতুন জুই লেখেন, 'আচ্ছা বস্তায় ভরে ফেলে দেবে মানে হলো এদের তো গাড়ির সিটে বসায় নেওয়া যাবে না। কারণ এরা বসবে না, বস্তায় ভরে নিয়ে অন্য জায়গায় রেখে আসবে, তখন কিন্তু বস্তাটা খুলে এদের বের করে দেবে, আজীবনের জন্য বস্তার মুখ বেঁধে রাখবে না। নরমালি এভাবেই এদের স্থানান্তরিত করা হয়।' 

একটা পোস্ট করেছে, 'সেই পোস্টে একদম সিনিয়র জুনিয়র কোনো হিতাহিতজ্ঞান না রেখে সবাই যে পরিমাণ আদবের পরিচয় দিচ্ছে খুবই বাজে লাগছে কমেন্ট সেকশন।' 

মুমতাহীনা মোস্তফা লেখেন, 'বিড়ালগুলো যখন বিভিন্ন রুমের সামনে হিসু করে, রুমে ঢুকে হাগু করে; খাবার খেয়ে রুম নষ্ট করে; তখন কি আপনি গিয়ে সেসব পরিষ্কার করে দিয়ে আসেন? হলের বিড়ালগুলো অসম্ভব আনহাইজেনিক। ডাস্টবিন থেকে শুরু করে ড্রেন পর্যন্ত এদের বিচরণ।'

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সাবিহা আফরিন খবরের কাগজকে জানান, 'মেয়েদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা হল থেকে বিড়াল সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু বিড়ালগুলো কীভাবে সরানো হবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।'

ইসফাক আলী/জোবাইদা/ 

বেরোবিতে দুই হলের নাম পরিবর্তন

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৩ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
বেরোবিতে দুই হলের নাম পরিবর্তন
বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শেখ পরিবারের নামে থাকা দুই হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ১১০তম সিন্ডিকেট সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী। 

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে বিজয়-২৪ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে শহিদ ফেলানী হল রাখা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ জুলাই শহিদ আবু সাঈদের স্মরণে ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ থাকবে ক্লাস পরীক্ষা। তবে ওই দিন প্রশাসনিক কাজ চলবে। এ ছাড়া দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৬ জুলাই আবু সাঈদের স্মরণে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়। 

আহত শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, 'আহত শিক্ষার্থীদের বেতন ও উন্নয়ন ফি মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেটি ইউজিসি থেকে নির্দেশনা এসেছিল।' 

গাজী আজম/জোবাইদা/ 

শাবিপ্রবিতে ‘ডেভিলস ব্রেথ’ আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩০ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৩ পিএম
শাবিপ্রবিতে ‘ডেভিলস ব্রেথ’ আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম ভয়ঙ্কর নেশা ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিশ্বাস’। অন্যের আদেশ পালনে বাধ্য করানোর জন্য জাদুটোনার মতোই কাজ করে এই হেলুসিনেটিক ড্রাগটি। রাসায়নিকভাবে এটি স্কোপোলামিন নামে পরিচিত। এটি হায়োসিন, ডেভিলস ব্রেথ, শয়তানের নিঃশ্বাস, বুরুন্ডাঙ্গা, রোবট ড্রাগ, জম্বি ড্রাগ বা কলম্বিয়ান ডেভিলের নিঃশ্বাস নামেও পরিচিত।

এই ড্রাগকে অভিনব কৌশলে ব্যবহার করে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে একটি ভয়ঙ্কর অপরাধী চক্র।

সিলেটের সিএনজি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ‘শয়তানের নিশ্বাসের’ অতঙ্কে ভুগছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় দিনই কোনো না কোনো শিক্ষার্থী এই ‘শয়তানের নিশ্বাসের’-এর মাধ্যমে সিএনজিতে বা শহরের রাস্তাঘাটে এই সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন। অবাক করা বিষয় এই সিন্ডিকেটের ফাঁদ থেকে কোনো শিক্ষার্থী বের হয়ে এলেও কেমিক্যালের প্রভাবে তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া কিছুই মনে রাখতে পারে না। এমনকি কিছু কিছু শিক্ষার্থীর এই ঘোর থেকে বের হতে দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ব্যতীত সিএনজির মাধ্যমে যাতায়াত যেনো দিন দিন শিক্ষার্থীদের জন্য এক মরণফাঁদে পরিণত হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত বাস নেই বলেও দীর্ঘদিন যাবৎ অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

কিছু শিক্ষার্থী মনে করছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু দুষ্কৃতকারী মানুষকে অতিষ্ঠ করার জন্য এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকারের প্রতি জনগণ যেন আস্থা হারিয়ে ফেলে, সে কারণেই এই চক্রটি কাজ করছে। তাদের ধারণামতে, কোনো একটা চক্র এই ড্রাগ বিনামূল্যে বিতরণ করছে। তা না হলে সিএনজিচালক,বাইকচালক,রিকশাচালক এতো মানুষের কাছে এই ভয়ঙ্কর ড্রাগ আসা সম্ভব না।

শিক্ষার্থীদের এই শয়তানের নিশ্বাস সম্পর্কে সচেতন করতে এবং এর থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানাতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা রাহাত জামানের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের সতর্কতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক  মো. মোখলেসুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের হয়রানির বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি এবং এ ব্যাপারে আমরা খুব শিগগিরই শহরের সিএনজি সমিতির সঙে্গ আলোচনায় বসব। তারা যদি তাদের সিএনজি চালকদের এসব অনৈতিক কাজ থেকে প্রতিহত করতে না পারে তা হলে পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তা নিব।’

বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানার অধীন। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে জানতে চাইলে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘যে নামেই ডাকুন না কেন, এরা অপরাধী চক্র। আমরা ইতোমধ্যে এইসব অপরাধী চক্রের সঙ্গে জড়িতদের ধরার জন্য কাজ করছি এবং সফলভাবে কয়েকজনকে ধরতেও সক্ষম হয়েছি। এর পরও যদি কোনো শিক্ষার্থী এসব চক্র বা সিন্ডিকেটে ভিকটিম হন, তা হলে আমাদের জানানোর অনুরোধ রইল। আমরা এই অপরাধের মূলোৎপাটনে সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’
 
ইসফাক আলী/সুমন/

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, প্রশ্নপত্রে অসঙ্গতি

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম
ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, প্রশ্নপত্রে অসঙ্গতি
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে অসঙ্গতির খবর পাওয়া গেছে। তবে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী যেন কোনো ধরনের বৈষম্যের শিকার না হয়, সেই বিষয়টি নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের অন্য ৭টি বিভাগীয় শহরে একযোগে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, প্রশ্নপত্রের সেট বি এর প্রশ্নপত্রের অ্যাকাউন্টিং অংশে এই বিভাগের ১২টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টি প্রশ্নের হুবহু পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। অর্থাৎ প্রশ্নপত্রের ২৮-৩১ এবং ৩২-৩৫ নম্বর প্রশ্ন একই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত, ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আমরা আলোচনাও করেছি। তবে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা যেন বৈষম্যের শিকার না হন, সেটি আমলে নেওয়া হবে। তাছাড়া যা পরীক্ষা হয়েছে, তার সঠিক মূল্যায়ন করা হবে।’

পরীক্ষা বাতিল হবে কি-না এমন প্রশ্ন জবাবে তিনি বলেন, ‘নম্বরে বৈষম্যের শিকার হওয়ার সুযোগ না থাকায় আপাতত, পরীক্ষা বাতিলের কোনো সম্ভবনা দেখছি না।’

এদিকে পরীক্ষা চলাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ভবন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। সুশৃঙ্খলভাবে এই ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি আসনের বিপরীতে ৩৯ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতা করছে। কঠোর প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষার মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে না। তারা যেন কোনোভাবেই মানসিক ট্রমার শিকার না হয়, এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।’

এসময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৫০টি আসনের বিপরীতে ৪১ হাজার ৮জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। ১ হাজার ৫০টি আসনের মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ৯৩০টি, বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ৯৫টি এবং মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫টি আসন রয়েছে। ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ২৯ হাজার ৫১০জন, বিজ্ঞান শাখা থেকে ৬ হাজার ৫৮৩জন এবং মানবিক শাখা থেকে ৪ হাজার ৯১৪জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভর্তি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে দেখতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ