
কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদ, পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দ পুনর্বহাল ও ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন সংক্ষুব্ধ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ছাত্র-জনতার নেতা-কর্মীরা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে এ দাবি জানান তারা।
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা বলেন, “স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি নামে একটি ভুঁইফোড় সংগঠন গত ১৫ জানুয়ারি সংক্ষুব্ধ ‘আদিবাসী’ ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে। এখন পর্যন্ত মাত্র দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি অন্তর্বর্তী সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।”
ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, ‘গত ১৫ জানুয়ারি যারা হামলা করেছে তাদের চেহারা ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তবু প্রশাসনের কোনো উদ্বেগ নেই। আমরা হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি, একই সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের অধিকার আদায়ে ছাত্র ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সংহতি প্রকাশ করছি।’
বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ছাত্র ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অলীক মৃ বলেন, ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ওপর হামলার ঘটনাটি নানাভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের ২১ জন ভাইবোন আহত হয়েছেন। যার নেতৃত্বে আক্রমণ হয়েছে, তিনি এখনো বিভিন্ন মিডিয়ায় টক শো করে যাচ্ছেন। প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরাই দেশে বৈচিত্র্য এনেছি। যারা এই বৈচিত্র্য নষ্ট করতে চায় তারাই বিচ্ছিন্নতাবাদী। এই বাংলাদেশ আমাদের সবার। আমাদের ধ্বংস করতে চাইলে এ পৃথিবীর বন-পাহাড় সব ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, সরকার যদি আমাদের দাবি-দাওয়া মেনে না নেয়, তাহলে সারা দেশে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
এতে অন্যদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা অংশ নেন। এ সময় তারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
আরিফ জাওয়াদ/নাবিল/