ঢাকা ৩০ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

শৈত্যোৎসব ও পিঠাপুলি মেলায় মেতেছেন রাবির শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম
শৈত্যোৎসব ও পিঠাপুলি মেলায় মেতেছেন রাবির শিক্ষার্থীরা
ছবি: সংগৃহীত

থালায় থরে থরে সাজানো গোল ও রঙিন ফুলাকৃতির জিনিস। দেখতে ফুলের মতো মনে হলেও সেগুলো আসলে ফুল নয়, বাহারি রকমের পিঠা। অপর পাশ থেকে কানে ভেসে আসছে মন মাতানো গ্রামবাংলার গানের সুর। ছিল নাগরদোলাসহ শিশু বিনোদনের বিভিন্ন উপকরণও, বলছি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাউলিয়ানার উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী শীতকে বরণ করে নেওয়ার জন্য শৈত্যোৎসব ও পিঠাপুলি মেলার কথা।

মাঠের চারপাশ ঘিরে বসেছে পিঠাপুলির দোকান। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বাঙালির সংস্কৃতি, ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে থাকা হরেক রকম পিঠার স্টল দিয়েছেন। ভোজনরসিক বাঙালির শীতের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আসে খেজুরের রস এবং পিঠা। আর পিঠার সঙ্গে যদি থাকে বাংলার ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালি গান তাহলে তো আনন্দের ফোয়ারা ছুটতে থাকে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাশ বাংলাদেশ মাঠে এমনই চিত্র দেখা গেল।

শীতের আমেজে গরম পিঠার সঙ্গে হৃদয়ে উত্তেজনার বারুদ ছড়ানো গান- সবমিলিয়ে এক অন্যরকম আমেজ তৈরি হয়েছে ক্যাম্পাসে। অগ্রহায়ণের শেষ এবং পৌষের শুরুর সময়টায় শীতের আমেজ শুরু হয়। পিঠা সাধারণত গ্রামবাংলার ঐতিহ্য হলেও শহরে এর ছোঁয়া লেগেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি নিজস্ব উদ্যোগে পিঠার স্টল থেকে উপার্জনের পন্থাও খুঁজে পাচ্ছেন।

বাংলাদেশে বিভিন্ন এলাকার গ্রামবাংলায় যেসব পিঠাপুলির প্রচলন রয়েছে- সেগুলো নিয়ে স্টলগুলো সাজানো হয়েছে। স্টলে পাওয়া যাচ্ছে চিতই, দুধচিতই, দুধপুলি, পাটিসাপটা, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠা, পাকোয়ান পিঠা, তেল পিঠা, ঝাল পিঠাসহ প্রায় শতাধিক রকমের পিঠা।

এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক উপভোগ করছে ভাপা পিঠা। মাঝখানে ঝোলাগুড় এবং নারকেল থাকায় খেতে মজা বেশি। তবে স্বাভাবিকের তুলনায় দাম একটু বেশিই বলে মত শিক্ষার্থীদের। পিঠা খেতে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আমীরুল মুমিনীন জানান, পিঠার দাম স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি মনে হচ্ছে। তবে অনেকদিন পর ক্যাম্পাসে একটা আনন্দের আমেজ বিরাজ করছে। পিঠা খেতে খেতে মন মাতানো গান শুনছি। এমন পরিবেশ ক্যাম্পাসে এর আগে পাইনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১১ জন শিক্ষার্থী মিলে শ্বশুরবাড়ি নামক পিঠার স্টল দিয়েছেন। এই স্টলে দুধের নাড়ু, নারকেলের নাড়ু, ক্ষীর পুলি, মোমোস, গোলাপ ফুল, মুগ পাক্কান ও আন্তাসাসহ প্রায় ১২ রকমের পিঠা রয়েছে। কথা হয় স্টলের এক দোকানি সানজিদার সঙ্গে।

তিনি জানান, ক্যাম্পাস ও আশপাশের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। সন্ধ্যার মধ্যেই সব পিঠা শেষ হয়ে গেছে। আর স্টলটা আমরা শখ করে দিয়েছি। তাই আনন্দটাও দ্বিগুণ হয়েছে। তবে দাম বৃদ্ধির অভিযোগের বিষয়ে তিনি জানান, বর্তমানে পিঠার কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং পিঠার গুণগত মান ঠিক রাখতে নির্ভেজাল কাঁচামাল ব্যবহারের ফলে দামটা একটু বেশি হয়ে যায়, এটা আমরাও বুঝি। তবে আমরা চাই আমাদের সহপাঠীরা যেন নির্ভেজাল এবং পিঠার আসল স্বাদটা উপভোগ করতে পারে।

শুধু পিঠাপুলিই নয়, সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। সেখানে থাকে বিভিন্ন দলের বিভিন্ন পরিবেশনা। সঙ্গে ছিল কাওয়ালি সন্ধ্যাও। প্রথম দিনের গান পরিবেশনার জন্য ছিলেন বিখ্যাত ভাওয়াইয়া গানের দল ‘বাহে’, ব্যান্ড অন্বেসর, মাইম, অর্ণব, লালন কন্যা মিম। দ্বিতীয় দিনের জন্য কারসা ফোক ব্যান্ড, গানপোকা ও কাউয়ালি সন্ধ্যা। তৃতীয় দিনে মঞ্চ মাতিয়েছেন ক্যাম্পাস বাউলিয়ানা, দীপ্ত অ্যান্ড দুর্জয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশ নিয়েছেন।

জাতিগতভাবে বাঙালির খাদ্যতালিকায় পিঠার ইতিহাস বহু প্রাচীন। বাংলা ভাষায় লেখা কৃত্তিবাসী রামায়ণ, চৈতন্য চরিতামৃত ইত্যাদি কাব্য ইত্যাদির সূত্র ধরে জানা যায়, আনুমানিক ৫০০ বছর আগেও বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতিতে পিঠার জনপ্রিয়তার উল্লেখ পাওয়া যায়। বিশাল উপমহাদেশে বসবাস করা বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে পিঠা যে জনপ্রিয় খাবার, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। প্রাচীন বাংলায় মিষ্টান্ন হিসেবে পিঠার জনপ্রিয়তাই সম্ভবত বেশি ছিল। সেই সময় থেকেই বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠাপুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। পিঠাপুলি আমাদের লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই প্রকাশ। আমাদের হাজারো সমস্যা সত্ত্বেও গ্রামবাংলায় এসব পিঠা-পার্বণের আনন্দ-উদ্দীপনা এখনো মুছে যায়নি। পিঠা-পার্বণের এ আনন্দ ও ঐতিহ্য যুগ যুগ টিকে থাকুক প্রতিটি বাঙালির অন্তরে।

হাসান

রাসুল (সা.) এর কটুক্তিকারী শাতিম সোহেলকে গ্রেপ্তারের দাবি

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫০ পিএম
রাসুল (সা.) এর কটুক্তিকারী শাতিম সোহেলকে গ্রেপ্তারের দাবি

সম্প্রতি ইডেন কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও নায়েমের প্রশিক্ষক সোহেল হাসান গালিব বিরুদ্ধে তার ফেসবুক পোস্টে হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর প্রতি কটুক্তি করার অভিযোগ ওঠেছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবিপ্রেমী সকল শিক্ষার্থীদর পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দাওয়াহ সার্কেল এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

প্রতিবাদ লিপিতে তারা বলেন, ‘স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই যে, নবী (স.)-এর শানে এমন কোনো ধরনের অবমাননা বা কটুক্তি কোনোভাবেই বরদাশত করা হবেনা। প্রিয় রাসুল (স.) এর অপমান, পুরো উম্মাহর জন্য হৃদয়ে রক্তক্ষরণ। তার এই অপমানজনক মন্তব্যে শুধু মুসলিম সমাজ নয়, বরং সমগ্র মানবতার অনুভূতি মারাত্নকভাবে আহত হয়েছে।’

সংগঠনটি তাদের বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দাওয়াহ সার্কেল সরকার ও প্রশাসনের নিকট গোস্তাখে রাসুল সোহেল হাসান গালিবের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে এবং অভিযুক্তকে তার মন্তব্যের জন্য বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘৃণিত কাজ করার সাহস না পায়।’

তামিম/মাহফুজ/

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে ঢাবিতে মতামত সংগ্রহে ক্যাম্পেইন

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে ঢাবিতে মতামত সংগ্রহে ক্যাম্পেইন
ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণে ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি বুথে এই ক্যাম্পেইন চলে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, টিএসসি প্রাঙ্গণ, বটতলা, সায়েন্স লাইব্রেরি প্রাঙ্গণ এবং হল পাড়ায় বুথ বসানো হয়। ওই জরিপে নতুন রাজনৈতিক দলের নাম কী হবে, প্রতীক কী হবে, কী হবে নতুন দলের ম্যান্ডেট ও কর্মসূচি- ইত্যাদি বিষয় জানতে চাওয়া হচ্ছে। এছাড়া দেশ পরিবর্তনে তিনটি পরামর্শও চাওয়া হয়।

মতামত সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিগ্যাল সেলের সদস্য আশিকুর রহমান জীম খবরের কাগজকে বলেন, ‘৫ আগস্টের পরবর্তী প্রেক্ষাপটে সারা দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। এই আকাঙ্ক্ষা আমরা সবার চাওয়া অনুযায়ীই পূরণ করতে চাই। সে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই দেশব্যাপী অনলাইনে-অফলাইনে জনমত সংগ্রহের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’

এর আগে গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে স্ট্যাটাসে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণে জরিপ শুরুর ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন একসময় দুই সহস্রাধিক প্রাণের বিনিময়ের গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছিল, যার নেতৃত্বে ছিল বাংলাদেশের বিপ্লবী ছাত্র-তারুণ্য। সেই তরুণরাই গঠন করতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল। আর সেই দল গঠনে আমরা জানতে চাই ছাত্রসমাজের প্রত্যাশা। ছাত্রসমাজের মতামতের প্রতিফলন ঘটিয়েই গঠন করা হবে নতুন রাজনৈতিক দল। সেই লক্ষ্যে আমরা শুরু করেছি ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ নামক ক্যাম্পেইন।’

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি গঠন

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি গঠন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) কমিটি আগামী ৬ মাসের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে রাকিব আহমেদকে আহ্বায়ক ও সিরাজুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ১২টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত একপত্রে এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটিতে মো. শাহেদ হোসেনকে মুখ্য সংগঠক, মো. মাইনুল ইসলামকে মুখপাত্র, মো.জাহিদুল ইসলাম ও শারমিলা জামান সেঁজুতিকে সহ-মুখপাত্র করা হয়।
এছাড়া ১৫ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৪ জনকে যুগ্ম সদস্য সচিব, ৮ জনকে সংগঠক ও ৩২ জনকে সদস্য করা হয়েছে।

নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক রাকিব আহমেদ বলেন, ২৪ আন্দোলনের প্রথম স্বাধীন ক্যাম্পাস বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। যাদের হাত ধরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন হয়েছে, সেসব বিপ্লবীদের আমাদের এ কমিটিতে স্থান করে নিয়েছে। ক্যাম্পাসের উন্নয়নে আমাদের এ কমিটি কাজ করে যাবে।

ছবি: সংগৃহীত

 

জাকির/মাহফুজ

 

রাবিতে শিক্ষক নিয়োগ সার্কুলার প্রত্যাহার ও নীতিমালা সংস্কারের দাবি

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৭ এএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৩ এএম
রাবিতে শিক্ষক নিয়োগ সার্কুলার প্রত্যাহার ও নীতিমালা সংস্কারের দাবি
রাবিতে শিক্ষক নিয়োগ সার্কুলার প্রত্যাহার ও নীতিমালা সংস্কারের দাবিতে সমাবেশে শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ আমলের শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলার প্রত্যাহার এবং নীতিমালা সংস্কারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ‘বাংলাদেশ গঠনতান্ত্রিক আন্দোলন’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

প্রায় ছয় বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হতে যাচ্ছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ভাইভা নেওয়ার মাধ্যমে এ নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।

সমাবেশে বক্তারা অনতিবিলম্বে এই সার্কুলার প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও মানবাধিকার কর্মী রাশেদ রাজন বলেন, ‘৫ আগস্ট বিপ্লবপরবর্তী সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি ছিল পূর্বের সার্কুলারে আর কোনো শিক্ষক নিয়োগ হবে না। কিন্তু বুধবার পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের জন্য যে ভাইভা হবে, সেটা যদি কার্যকর হয় তবে আমাদের বিজয় পরাজিত হবে। আওয়ামী ফ্যাসিজমের সময়ের যে সার্কুলার সেটা সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো শিক্ষক নিয়োগ হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত সময়ের সার্কুলারে যারা যোগ্য, মেধাবী, পিএইচডিধারী তারা কেউই আবেদন করেননি। কারণ তারা জানত এই সার্কুলারে তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হবে না। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন পুনরায় সেই সার্কুলারেই পদার্থবিজ্ঞান বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা নিতে যাচ্ছে। অবিলম্বে এই নিয়োগের সার্কুলার প্রত্যাখ্যান করতে হবে। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী ফ্যাসিজম পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, ‘বিগত সময়ে অর্থনৈতিক লেনদেন, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিসহ এমন কোনো অনিয়ম নেই যেগুলো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘটেনি। আওয়ামী লীগ শাসনামলের সার্কুলারে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফ্যাসিবাদী দোসরদের আবার সুযোগ করে দিচ্ছে। বিপ্লব পরবর্তী প্রশাসন আগের ফ্যাসিস্ট প্রশাসনের দেখানো পথেই হাঁটছে।অনতিবিলম্বে এই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় সার্কুলার ও নীতিমালা সংস্কার করে যোগ্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট আমলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরপেক্ষ অবস্থানে না থেকে দলীয় প্রশাসনে পরিণত হয়েছিল। দলীয়করণের প্রধান কারণ ছিল অনিয়মতান্ত্রিক দলীয় নিয়োগ প্রক্রিয়া। ফ্যাসিস্ট আমলের সেই নিয়ম ভেঙে নতুন বাংলাদেশে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।’

এস আই সুমন/সুমন/

জবিতে থিসিস নিয়ে নীতিমালা প্রণয়ন

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
জবিতে থিসিস নিয়ে নীতিমালা প্রণয়ন
ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে থিসিস বন্টনের নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

পরিপত্রে বলা হয়, গত ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে গঠিত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিলে রিপোর্ট সাপেক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে থিসিস বন্টনের নীতিমালা অনুমোদিত হয়েছে।

স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে থিসিস বন্টনের নীতিমালাগুলো হলো- ১. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল শিক্ষার্থীর স্নাতক (সম্মান)/বিবিএ পর্যায়ে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.০০ আছে তারা থিসিস গ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

২. কোনো শিক্ষক স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে এক শিক্ষাবর্ষে সর্বোচ্চ ০৩ (তিন) জনের বেশি শিক্ষার্থীর থিসিস সুপারভাইজার হতে পারবেন না।

৩. থিসিস গ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদনে ন্যূনতম ০৩ (তিন)টি বিষয় (Topic) (যে সব বিষয়ে থিসিস করতে আগ্রহী) তা উল্লেখ করতে হবে।

৪. আবেদনকারী শিক্ষার্থীর মেধাক্রম ও বিষয় (Topic) অনুযায়ী/ লটারি/ বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার থিসিস সুপারভাইজার নির্ধারিত হবে।

আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট বিভাগ ক্রম, ১ ও ২-এর শর্তপূরণ সাপেক্ষে এবং ক্রম, ৩ ও ৪-এর আলোকে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে থিসিস বন্টন করতে পারবে বলে পরিপত্রে জানানো হয়।

মুজাহিদ বিল্লাহ/এমএ/