
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্ণব কুমার সরকার হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো ‘ক্লু’ উদঘাটন হয়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সেই সঙ্গে হত্যার বিষয়ে তথ্য পেতে অর্ণবের তিন সহপাঠীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। তবে তাদেরকে আটক বা গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
পুলিশ বলছে, হত্যার ব্যাপারে তথ্য পাওয়ার জন্য তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহত অর্ণব হত্যার ঘটনাস্থলের পাশের নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনির্ভাসিটি তেঁতুলতলা মোড় ক্যাম্পাস থেকে অনার্স পাস করেছিলেন। পরে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের এমবিএতে ভর্তি হন
অর্ণবের বাবা নিতিশ কুমার সরকার জানান, তার ছেলে কারও সঙ্গে কোনো দিন দুর্ব্যবহার করেনি। কারও সঙ্গে কোনো দিন কথাকাটাকাটি হয়নি। লেখাপড়া শেষে বাবার ঠিকাদারি কাজ দেখাশোনা করত। আচমকা এই হত্যাকাণ্ড পরিবারের কেউ মেনে নিতে পারছে না।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে অর্ণবের লাশ বেলা পৌনে একটায় বাড়িতে নেওয়া হয়। এ সময় অর্ণবের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। পরে তাকে গল্লামারী শ্মশানঘাটে সৎকার করা হয়।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে তেঁতুলতলা মোড়ে মোটরসাইকেলে বসে অর্ণব চা পান করছিলেন। এ সময় ১০-১৫টি মোটরসাইকেলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে ঘিরে ধরে কাছ থেকে গুলি করে। গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হলে সড়কে লুটিয়ে পড়ে অর্ণব। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, হত্যাকাণ্ডের সম্ভাব্য দিকগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নিহতের তিনজন সহপাঠীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে কোনো ক্লু পাওয়া যেতে পারে। তবে তাদেরকে আটক বা গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। বিভিন্ন দিক থেকে আরও কিছু তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে।