ঢাকা ২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১

নানা আয়োজনে যবিপ্রবির জন্মদিন পালিত

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৫ এএম
নানা আয়োজনে যবিপ্রবির জন্মদিন পালিত
ছবি: খবরের কাগজ

বর্ণিল পথ আল্পনা, কেক কাটা, পিঠা উৎসব, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, বেলুন উড়ানো, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ জাতীয় পতাকা এবং কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধান ফটক থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রা শেষে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন যবিপ্রবির উপাচার্য।

উদ্বোধন শেষে যবিপ্রবি উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষসহ আগত অন্যান্য অতিথিরা বিভিন্ন বিভাগের পোস্টার প্রেজেন্টেশন, পিঠা উৎসবের স্টল ও পথ আল্পনাসমূহ পরিদর্শন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭টি বিভাগ, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বিল্পব-২৪, উদ্যোক্তা স্টলসহ পিঠার বাহারী নামকরণ করে। স্টলগুলোতে নানা ধরণ, বাহারী আকৃতি ও ঋতু বৈচিত্র অনুযায়ী সুস্বাদু পিঠার পসরা দেখে সবাই চমৎকৃত হন।

পরে দুপুর একটার দিকে যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মাঠে  আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, যবিপ্রবি প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও দেশ ও বিদেশের মধ্যে আলোকবর্তিকা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সম্মিলিত চেষ্টায় জ্ঞান ও বিজ্ঞানে যবিপ্রবি বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। গবেষণায় নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বকে নতুন অনেক কিছু দিবে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

এজন্য সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবে শহিদের রক্ত এখনও শুকিয়ে যায়নি। আমরা একটি সুন্দর দেশ গড়ার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করে যাব। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে তাদেরকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আমরা দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে এই দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।

অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে নবনিযুক্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হোসাইন আল মামুন সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কর্ম, প্রতিটি অবদান বিশ্বের ওপর প্রভাব পড়বে, সেই অগ্রযাত্রায় যবিপ্রবি শামিল হয়েছে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মীর মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির ডিনস কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জাফিরুল ইসলাম।

বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও সম্মানিত রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক নার্গিস বেগম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক এ. এইচ. এম শাহারিয়ার। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অতিথি শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাজিয়ালী মৌজায় ৩৫ একর জায়গা জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আটটি অনুষদের অধীনে ২৭ টি বিভাগ রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে প্রায় ৪ হাজার ৬২২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকসহ মোট ৩৪৯ জন শিক্ষক, বিভিন্ন গ্রেডের ১৬৩ জন কর্মকর্তা এবং ৩৪৬ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন।

মেহেদী/

মেধাবীদের পুরস্কার দিলেন কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম
মেধাবীদের পুরস্কার দিলেন কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কম্পিউটার প্রোগ্রামার কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুলের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এর উপাচার্য ড. লতিফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) আহ্বায়ক রাশেদুল হাসান হারুন, উপ-উপাচার্য ড. বেলাল, ট্রেজারার প্রফেসর বাশার, পিএসসি’র সদস্য ড. তামান্না, বিএআরআই এর পরিচালক (গবেষণা) ড. মুন্সী রাশেদ, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শাহ আলম ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইফুল্লাহ আনসারী। 

অনুষ্ঠানে প্ল্যান্ট অ্যান্ড সাইন্স কুইজের ১৩ জন বিজয়ী ও ক্যাম্পাসে আলোকিত ২৮ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুল। তিনি প্রবাসে থেকেই অনলাইনে কুইজ প্রতিযোগিতা ও বিজয়ী নির্ধারণ করেছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. লতিফ বলেন, কম্পিউটার প্রোগ্রামার কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুল অস্ট্রেলিয়ায় বসে দেশের অসহায় মানুষ, নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অসহায় শিক্ষার্থী ও বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের জন্য যা করেছে সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়। অথচ এসব কাজ আমরা দেশে থেকেও করতে পারি না।

তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানতে পারলাম বৈষ্যমবিরোধী আন্দোলনে জুলাইয়ে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করেছেন মুকুল। এছাড়াও অনেক আহত শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য অর্থও দিয়েছেন। তার এই কাজগুলো সতিই মনোমুগ্ধকর।  

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র প্রফেসর ড. সরোয়ার হোসেন ও প্রফেসর ড. রফিকসহ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকগণ, ডিনগণ, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রক্টর । 

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের ইংলিশ নিউজ প্রেজেন্টার সালাউদ-দীন আহমেদ, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রাম রিপ্রেজেন্টেটিভ নূর আহমেদ খন্দকার ও ঢাকা পোস্টের সিনিয়র নিউজ এডিটর মাহবুর আলম সোহাগ।

প্রসঙ্গত, দেশের যেকোনো দুর্যোগে অস্ট্রেলিয়া থেকে কখনও প্রবাসীদের সংগঠন লিটিল কেয়ারের মাধ্যমে আবার কখনও ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুল। প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার, অসহায়দের ঘর তৈরি করে দেওয়া, বিধবা নারীদের রোজগারের ব্যবস্থা করে দেওয়াসহ নানান মানবিক করেন তিনি।

মাহফুজ

শাবিপ্রবির ছাত্রী হলে 'বিড়াল তাড়ানোর অভিযান'

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম
শাবিপ্রবির ছাত্রী হলে 'বিড়াল তাড়ানোর অভিযান'
ছবি : খবরের কাগজ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিড়াল তাড়ানোর অভিযান সম্পর্কিত এক বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে। 

গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দেওয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের ছাত্রীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, হলের ছাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) হলের বিড়াল তাড়ানোর অভিযান চলবে। এ ব্যাপারে সব ছাত্রীর সহযোগিতা কামনা করছি।

এর বিজ্ঞপ্তির সমালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্রুপ সাস্টিয়ান ভয়েসে ফাইজা বিহা নামে এক ফেসবুক আইডি থেকে বিড়ালগুলোকে বস্তায় ভরে ফেলে দেবে এ রকম একটা চেটের স্ক্রিনশট দিয়ে লেখেন, একটা তাজা প্রাণকে বস্তায় ভরে ফালায় দেবে এইটাকে একটা ভার্সিটির স্টুডেন্ট হয়ে কীভাবে সাপোর্ট করতে পারেন? কতটা ইনহিউম্যান হলে এই কাজ করা যায়?? 

'সবাই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি, তাদেরও বাঁচার অধিকার আছে, সব হিসাব ওপরওয়ালা রাখেন!!!'

এই কমেন্টেও তৈরি হয়েছে পক্ষ-বিপক্ষ। 'তানজিম আক্তার কমেন্ট করেন, কে এই রকম অভিযোগ তুলছে? আর কিসের সহযোগিতা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমাদের নিন্দা জানানো উচিত। বিড়াল মানুষের আশপাশেরই প্রাণী।'

তামজিদ হোসাইন লেখেন, 'বিড়াল নিয়ে অভিযোগ দিলো আর অভিযান শুরু করে দিলো। আর আবাসিক হলের এত এত সমস্যার অভিযোগ দেয় ওইগুলা কি সমস্যা না? পারে খালি নিরীহ কুকুর বিড়ালের সাথেই? এত স্পাইনলেস কীভাবে হয় কর্তৃপক্ষ।' 

'বিড়াল নিয়ে আসলে কি সমস্যা? অভিযোগ কি?' 

'ফারজানা আনিকা নামে একজন লেখেন, এটা কোন ধরনের ফালতু কাজ? ওদের কী দোষ? এটা কোন ধরনের অমানুষিক আচরণ? যাদের রুমে সমস্যা তারা নিজেদের রুমের খেয়াল রাখতে পারেন না। এটা কি বিড়ালের দোষ? আমরা থাকি না হলে? আমাদের রুমের সামনে কি বিড়াল আসে না? রুমের দরজা হা করে রাখবেন আর ওরা ঢুকলেই সমস্যা? এই অভিযোগগুলো করে কারা?'

হল কর্তৃপক্ষের নেওয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে কমেন্ট করেছেন কিছু শিক্ষার্থী। হাফসা খাতুন জুই লেখেন, 'আচ্ছা বস্তায় ভরে ফেলে দেবে মানে হলো এদের তো গাড়ির সিটে বসায় নেওয়া যাবে না। কারণ এরা বসবে না, বস্তায় ভরে নিয়ে অন্য জায়গায় রেখে আসবে, তখন কিন্তু বস্তাটা খুলে এদের বের করে দেবে, আজীবনের জন্য বস্তার মুখ বেঁধে রাখবে না। নরমালি এভাবেই এদের স্থানান্তরিত করা হয়।' 

একটা পোস্ট করেছে, 'সেই পোস্টে একদম সিনিয়র জুনিয়র কোনো হিতাহিতজ্ঞান না রেখে সবাই যে পরিমাণ আদবের পরিচয় দিচ্ছে খুবই বাজে লাগছে কমেন্ট সেকশন।' 

মুমতাহীনা মোস্তফা লেখেন, 'বিড়ালগুলো যখন বিভিন্ন রুমের সামনে হিসু করে, রুমে ঢুকে হাগু করে; খাবার খেয়ে রুম নষ্ট করে; তখন কি আপনি গিয়ে সেসব পরিষ্কার করে দিয়ে আসেন? হলের বিড়ালগুলো অসম্ভব আনহাইজেনিক। ডাস্টবিন থেকে শুরু করে ড্রেন পর্যন্ত এদের বিচরণ।'

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সাবিহা আফরিন খবরের কাগজকে জানান, 'মেয়েদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা হল থেকে বিড়াল সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু বিড়ালগুলো কীভাবে সরানো হবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।'

ইসফাক আলী/জোবাইদা/ 

বেরোবিতে দুই হলের নাম পরিবর্তন

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৩ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
বেরোবিতে দুই হলের নাম পরিবর্তন
বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শেখ পরিবারের নামে থাকা দুই হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ১১০তম সিন্ডিকেট সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী। 

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে বিজয়-২৪ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে শহিদ ফেলানী হল রাখা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ জুলাই শহিদ আবু সাঈদের স্মরণে ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ থাকবে ক্লাস পরীক্ষা। তবে ওই দিন প্রশাসনিক কাজ চলবে। এ ছাড়া দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৬ জুলাই আবু সাঈদের স্মরণে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়। 

আহত শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, 'আহত শিক্ষার্থীদের বেতন ও উন্নয়ন ফি মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেটি ইউজিসি থেকে নির্দেশনা এসেছিল।' 

গাজী আজম/জোবাইদা/ 

শাবিপ্রবিতে ‘ডেভিলস ব্রেথ’ আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩০ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৩ পিএম
শাবিপ্রবিতে ‘ডেভিলস ব্রেথ’ আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম ভয়ঙ্কর নেশা ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিশ্বাস’। অন্যের আদেশ পালনে বাধ্য করানোর জন্য জাদুটোনার মতোই কাজ করে এই হেলুসিনেটিক ড্রাগটি। রাসায়নিকভাবে এটি স্কোপোলামিন নামে পরিচিত। এটি হায়োসিন, ডেভিলস ব্রেথ, শয়তানের নিঃশ্বাস, বুরুন্ডাঙ্গা, রোবট ড্রাগ, জম্বি ড্রাগ বা কলম্বিয়ান ডেভিলের নিঃশ্বাস নামেও পরিচিত।

এই ড্রাগকে অভিনব কৌশলে ব্যবহার করে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে একটি ভয়ঙ্কর অপরাধী চক্র।

সিলেটের সিএনজি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ‘শয়তানের নিশ্বাসের’ অতঙ্কে ভুগছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় দিনই কোনো না কোনো শিক্ষার্থী এই ‘শয়তানের নিশ্বাসের’-এর মাধ্যমে সিএনজিতে বা শহরের রাস্তাঘাটে এই সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন। অবাক করা বিষয় এই সিন্ডিকেটের ফাঁদ থেকে কোনো শিক্ষার্থী বের হয়ে এলেও কেমিক্যালের প্রভাবে তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া কিছুই মনে রাখতে পারে না। এমনকি কিছু কিছু শিক্ষার্থীর এই ঘোর থেকে বের হতে দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ব্যতীত সিএনজির মাধ্যমে যাতায়াত যেনো দিন দিন শিক্ষার্থীদের জন্য এক মরণফাঁদে পরিণত হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত বাস নেই বলেও দীর্ঘদিন যাবৎ অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

কিছু শিক্ষার্থী মনে করছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু দুষ্কৃতকারী মানুষকে অতিষ্ঠ করার জন্য এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকারের প্রতি জনগণ যেন আস্থা হারিয়ে ফেলে, সে কারণেই এই চক্রটি কাজ করছে। তাদের ধারণামতে, কোনো একটা চক্র এই ড্রাগ বিনামূল্যে বিতরণ করছে। তা না হলে সিএনজিচালক,বাইকচালক,রিকশাচালক এতো মানুষের কাছে এই ভয়ঙ্কর ড্রাগ আসা সম্ভব না।

শিক্ষার্থীদের এই শয়তানের নিশ্বাস সম্পর্কে সচেতন করতে এবং এর থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানাতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা রাহাত জামানের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের সতর্কতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক  মো. মোখলেসুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের হয়রানির বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি এবং এ ব্যাপারে আমরা খুব শিগগিরই শহরের সিএনজি সমিতির সঙে্গ আলোচনায় বসব। তারা যদি তাদের সিএনজি চালকদের এসব অনৈতিক কাজ থেকে প্রতিহত করতে না পারে তা হলে পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তা নিব।’

বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানার অধীন। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে জানতে চাইলে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘যে নামেই ডাকুন না কেন, এরা অপরাধী চক্র। আমরা ইতোমধ্যে এইসব অপরাধী চক্রের সঙ্গে জড়িতদের ধরার জন্য কাজ করছি এবং সফলভাবে কয়েকজনকে ধরতেও সক্ষম হয়েছি। এর পরও যদি কোনো শিক্ষার্থী এসব চক্র বা সিন্ডিকেটে ভিকটিম হন, তা হলে আমাদের জানানোর অনুরোধ রইল। আমরা এই অপরাধের মূলোৎপাটনে সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’
 
ইসফাক আলী/সুমন/

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, প্রশ্নপত্রে অসঙ্গতি

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম
ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, প্রশ্নপত্রে অসঙ্গতি
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে অসঙ্গতির খবর পাওয়া গেছে। তবে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী যেন কোনো ধরনের বৈষম্যের শিকার না হয়, সেই বিষয়টি নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের অন্য ৭টি বিভাগীয় শহরে একযোগে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, প্রশ্নপত্রের সেট বি এর প্রশ্নপত্রের অ্যাকাউন্টিং অংশে এই বিভাগের ১২টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টি প্রশ্নের হুবহু পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। অর্থাৎ প্রশ্নপত্রের ২৮-৩১ এবং ৩২-৩৫ নম্বর প্রশ্ন একই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত, ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আমরা আলোচনাও করেছি। তবে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা যেন বৈষম্যের শিকার না হন, সেটি আমলে নেওয়া হবে। তাছাড়া যা পরীক্ষা হয়েছে, তার সঠিক মূল্যায়ন করা হবে।’

পরীক্ষা বাতিল হবে কি-না এমন প্রশ্ন জবাবে তিনি বলেন, ‘নম্বরে বৈষম্যের শিকার হওয়ার সুযোগ না থাকায় আপাতত, পরীক্ষা বাতিলের কোনো সম্ভবনা দেখছি না।’

এদিকে পরীক্ষা চলাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ভবন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। সুশৃঙ্খলভাবে এই ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি আসনের বিপরীতে ৩৯ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতা করছে। কঠোর প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষার মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে না। তারা যেন কোনোভাবেই মানসিক ট্রমার শিকার না হয়, এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।’

এসময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৫০টি আসনের বিপরীতে ৪১ হাজার ৮জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। ১ হাজার ৫০টি আসনের মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ৯৩০টি, বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ৯৫টি এবং মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫টি আসন রয়েছে। ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ২৯ হাজার ৫১০জন, বিজ্ঞান শাখা থেকে ৬ হাজার ৫৮৩জন এবং মানবিক শাখা থেকে ৪ হাজার ৯১৪জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভর্তি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে দেখতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ