ঢাকা ২ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫
English

বেরোবিতে ঢাবির ‘ব্যবসায় শিক্ষা' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪০ পিএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম
বেরোবিতে ঢাবির ‘ব্যবসায় শিক্ষা' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আঞ্চলিক কেন্দ্র রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ হয় এই পরীক্ষা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেরোবি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রংপুরের আশপাশের জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা সকাল থেকেই পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে ভিড় জমান।

পরীক্ষার্থীরা জানান, বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা হওয়ায় তাদের সময় এবং ভ্রমণ খরচ কমেছে। কেন্দ্রে পরীক্ষার পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনা যথাযথ ছিল। তবে পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, একই প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী বলেন, 'সি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার্থীর উপস্থিতি সন্তোষজনক। এখন পর্যন্ত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই ঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে সবাই বদ্ধপরিকর।'

গাজী আজম/জোবাইদা/

সরে এল বাম সংগঠনগুলো, ইনকিলাব মঞ্চের নতুন কর্মসূচি

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
সরে এল বাম সংগঠনগুলো, ইনকিলাব মঞ্চের নতুন কর্মসূচি
ছবি: খবরের কাগজ

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা ও দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা বিবেচনায় পূর্বঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে বাম ছাত্রসংগঠনগুলো। এদিকে শনিবার পুলিশি বাধার মুখে পড়ে ইনকিলাব মঞ্চের পদযাত্রা। পরে তারা কর্মসূচি স্থগিত করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে পদযাত্রা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে শাহবাগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান হাদী দুই দফা দাবিসহ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের পাঁচ দফা দাবি থেকে সরে এসে দুই দফা দাবি জানাচ্ছি। আজ থেকে আগামী এক মাস আমরা প্রতিদিন লিফলেট বিতরণ ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করব। আগামী ২৫ এপ্রিল বিকাল ৩টার সময় শাহবাগ মোড়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং জুলাই, শাপলা ও পিলখানা হত্যার বিচার দাবিতে শহিদি সমাবেশ ঘোষণা করছি।’

ইনকিলাব মঞ্চের দাবিগুলো হলো- জুলাই, পিলখানা, শাপলা গণহত্যার বিচার ও গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এসব দাবিতে শনিবার শাহবাগে জড়ো হয়ে শহিদ মিনারের উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করে ইনকিলাব মঞ্চ। শাহবাগ থেকে শহিদ মিনারের দিকে মিছিল নিয়ে এগোতে থাকলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবির হাট এলাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ফিরে যান।

এদিকে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর শহিদ মিনার থেকে গণপদযাত্রার কথা থাকলেও তারা কর্মসূচি থেকে সরে আসে। দুপুরে শহিদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত একটি সমাবেশ থেকে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। এ সময় তারা সাত দফা দাবি ঘোষণা করেন। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন দাবিগুলো ঘোষণা করেন।

দাবিগুলো হলো- আছিয়াসহ সব হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়নের বিচার; ‘ব্যর্থ’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অপসারণ; জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার; মসজিদ, মন্দির, মাজারে হামলাকারী মব সন্ত্রাসীদের বিচার; চট্টগ্রাম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ, যৌথ বাহিনী দ্বারা শ্রমিক হত্যার বিচার; সাগর-রুনী, তনু, আফসানা, মুনিয়াসহ আওয়ামী লীগ আমলে সংঘটিত হত্যার বিচার এবং হিন্দু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে হামলা, লুটপাটের বিচার করতে হবে।

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা বলেন, ‘মামলার ভয় দেখিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না।’

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল), পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

প্রসঙ্গত, বাম ঘরানার আটটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সারা দেশে হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়নের প্রতিবাদ ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণের দাবিতে গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে গণমিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে শহিদ মিনার থেকে তাদের সরে যেতে আলটিমেটাম দিয়েছিল ইনকিলাব মঞ্চ।

ঢাবি সাংবাদিক সমিতির ইফতার, এক ছাদের নিচে সব ছাত্রসংগঠন

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৬ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৬ এএম
ঢাবি সাংবাদিক সমিতির ইফতার, এক ছাদের নিচে সব ছাত্রসংগঠন
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল প্রায় সকল ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখার নেতৃবৃন্দ এক ছাদের নিচে সমবেত হন।  

শুক্রবার (১৪ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সমিতির বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  

এবারের ইফতার মাহফিলে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও ঢাবি শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদসহ নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। নতুন ছাত্রসংগঠন হিসেবে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুলা কাদের ও সদস্য সচিব মাহির আলমসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  

উক্ত ইফতার মাহফিলে অংশ নেয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের দুই গ্রুপ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, পাহাড়ি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিশ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ ও বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ।  

ঢাবি সাংবাদিক সমিতির এই আয়োজন ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে সম্প্রীতি ও সংহতির নতুন বার্তা নিয়ে এসেছে। ভিন্ন মতাদর্শের সংগঠনগুলো একত্রিত হয়ে একই টেবিলে বসে আলোচনা ও ইফতার করায় ক্যাম্পাসে ইতিবাচক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরিফ জাওয়াদ/জোবাইদা/

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ইফতার

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:০১ পিএম
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:০৩ পিএম
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ইফতার
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যায়ন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ইফতার ও দোয়া। ছবি: সংগৃহীত

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যায়ন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ‘ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠান-২০২৫’।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের অডিটরিয়ামে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যায়ন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (SUJJA)।

ইফতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ও কলা বিভাগের ডিন কাজী আব্দুল মান্নান, সহযোগী অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া আসাদী, সহকারী অধ্যাপক তানিয়া সুলতানা ও বিভাগের শিক্ষকরা।

আয়োজনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাংবাদিক ও গণমাধ্যম অধ্যায়ন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলী আফতাব ভূঁইয়া বলেন, সাংবাদিকতা বিভাগের এই মিলনমেলা সবার সঙ্গে কুশলাদি বিনিময়ের অন্যতম মাধ্যম। ইফতার তথা মিলনমেলার এমন আয়োজন অব্যাহত রাখার জন্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত। এছাড়াও, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কমিটির অন্যান্য সদস্যরাও ইফতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবছরের মতো এবারও ইফতারের আয়োজনে সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক-বর্তমানের মিলনমেলায় পরিণত হয় এই আয়োজন।

বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতি রমজানে এই দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকেন তারা। এ যেন ঈদের আগেই আরেক ঈদ আনন্দ তাদের জন্য। ভবিষ্যতে সবার সম্মিলনে একে-অপরের পাশাপাশি থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন সবাই।

তিথি/এমএ/

আছিয়ার মৃত্যুতে ঢাবিতে বিক্ষোভ, গায়েবানা জানাজা শেষে কফিন মিছিল

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪১ এএম
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১২:৫১ পিএম
আছিয়ার মৃত্যুতে ঢাবিতে বিক্ষোভ, গায়েবানা জানাজা শেষে কফিন মিছিল
ছবি : খবরের কাগজ

মাগুরার নোমানী ময়দানে ধর্ষণের শিকার হয়ে আট বছরের শিশু আছিয়ার মৃত্যুর বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ। পরে জানাজা শেষে কফিন মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তনে ওই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজা শেষে কফিন মিছিল নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। গায়েবানা জানাজায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাবি শাখার সদস্য সচিব জাহিদ আহসান, ঢাবি শিবির নেতা মাজহারুল ইসলামসহ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

গায়েবানা জানাজায় উপস্থিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, 'আছিয়ার মৃত্যু আমাদের নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। দ্রুত সময়ে এই ভয়াবহ হত্যার বিচার হবে, ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে। শিশুটির জন্য পুরো জাতি দোয়া করছেন। তার মৃত্যু এই ক্রান্তিকালে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। এটা এই মুহূর্তে প্রয়োজন। আর কোনো শিশু যেন হারিয়ে না যায়। আমাদের বিচারব্যবস্থা আইনব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত হোক। আছিয়ার মতো আর কোনো মেয়ের সঙ্গে যেন এমন না ঘটে।' 

জানাজা শেষে একটি প্রতীকী কফিন মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র আশরেফা খাতুন বলেন, ‘আছিয়া যে জীবনযুদ্ধ করতে করতে মারা গেছে, সেই লড়াইয়ে সে জিততে পারেনি। কিন্তু সেই লড়াইয়ের ভার আজকে আমাদের ওপর দিয়ে গেছে। আমরা যে পাঁচ দফা দাবি দিয়েছি তার প্রথম দফায় ছিল ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের আইনের প্রতি ততক্ষণ শ্রদ্ধা থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত ওই আইন বিচার করতে পারবে। যদি বিচার করতে না পারে, তা হলে ওই আইনের খাতা পুড়িয়ে ফেলুন। আমরা প্রকাশ্যে ধর্ষকদের ফাঁসি দেখতে চাই।’

সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘আমরা যখন নারী নিপীড়নের বিচার চাইতে রাজপথে নামি, তখন আমাদেরকে ট্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে আর কোনো আছিয়াকে ধর্ষিত হতে হবে না। আমরা আমাদের ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ থেকে দাবি জানিয়েছি যে ধর্ষণবিরোধী একটা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।’

এদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেশব্যাপী লাগাতার ধর্ষণের বিচার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ, আছিয়া হত্যার বিচারসহ একাধিক দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর একটি জোট।  বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে এই মশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নীলক্ষেত হয়ে হলপাড়া ঘুরে আবার টিএসসিতে এসে শেষ হয়। 

এ সময় তারা ‘লড়াই-লড়াই, লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘আছিয়ার হত্যাকারীদের, বিচার করো করতে হবে’, ‘খুন-ধর্ষণ হয়নি শেষ, রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’, ‘আছিয়া মরল কেন- রাষ্ট্র জবাব চাই’, ‘ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার- অপসারণ করতে হবে’, ‘তুমি কে, আমি কে, আছিয়া-আছিয়া’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

আরিফ জাওয়াদ/জোবাইদা/

জবিতে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
জবিতে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: খবরের কাগজ

মাগুরায় ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

গায়েবানা জানাজার সময় উপস্থিত জবি শাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, আমরা এই ধরনের ঘটনা আর দেখতে চাই না। এ ধরনের গায়েবানা জানাজা আর পড়তে চাই না। ধর্ষণের ঘটনায় সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে বিচারকার্য শেষ করতে হবে। এছাড়া ধর্ষক প্রমাণিত হলে একমাত্র এবং সর্বনিম্ন শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, আছিয়ার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় সমাজের নৈতিকতার চূড়ান্ত অবক্ষয় ঘটেছে। আর যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে সেজন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ধর্ষণের বিরুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছিয়া শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।

গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছর বয়সি শিশু আছিয়া। পরদিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এরপর গত শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রবিবার শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মুজাহিদ বিল্লাহ/মাহফুজ