ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ১২০

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ১২০
ছবি: সংগৃহীত

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের রাজস্ব খাতভুক্ত একাধিক শূন্য পদে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই অধিদপ্তরে ৯ ক্যাটাগরির পদে ১৩ থেকে ১৮তম গ্রেডে ১২০ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।


১. পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

২. পদের নাম: সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। সাঁটলিপিতে বাংলায় প্রতি মিনিটে ৪৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৭০ শব্দের গতি এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৩. পদের নাম: জুনিয়র প্রশিক্ষক (পোশাক)
পদসংখ্যা: ৮
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। পোশাক তৈরি ট্রেডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং পোশাক তৈরি ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদানে এক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৪. পদের নাম: জুনিয়র ডেমোনেস্ট্রেটর (ব্লক ও বাটিক)
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। পোশাক তৈরি ট্রেডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং পোশাক তৈরি ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদানে এক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৫. পদের নাম: প্রদর্শক
পদসংখ্যা: ১৯
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যেকোনো যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্য চাষ ও কৃষিবিষয়ক দুই মাস ১৫ দিন মেয়াদি কোর্সে ‘ক’ গ্রেডে উত্তীর্ণ।
বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)

৬. পদের নাম: গাড়িচালক
পদসংখ্যা: ২৩
যোগ্যতা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। ভারী/হালকা গাড়ি চালনার বৈধ ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চালকরা অগ্রাধিকার পাবেন।
বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)/ ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৭. পদের নাম: হিসাব সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার ব্যবহার-সংক্রান্ত ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডেটা এন্ট্রি ও টাইপিংয়ের গতি বাংলায় প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২০ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৮. পদের নাম: ক্যাশিয়ার
পদসংখ্যা: ৫৮
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৯. পদের নাম: ইলেকট্রিশিয়ান কাম পাম্প অপারেটর
পদসংখ্যা: ৫
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাসসহ ছয় মাসের ইলেকট্রিক্যাল ট্রেড কোর্স পাস হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা (গ্রেড-১৮)

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের http://dyd.teletalk.com.bd/ এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য http://dyd.teletalk.com.bd/docs/circular.pdf এই লিংকে জানা যাবে। অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে কল অথবা অথবা [email protected] ঠিকানায় ই-মেইল বা টেলিটকের জব পোর্টালের https://www.facebook.com/alljobsbdTeletalk এই ফেসবুক পেজে মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে। মেইল/মেসেজের সাবজেক্টে প্রতিষ্ঠান ও পদের নাম এবং ইউজার আইডি ও যোগাযোগের নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

আবেদন ফি

অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ৮ নম্বর পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ২২৩ টাকা এবং ৯ নম্বর পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ১১২ টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।


আবেদনের সময়সীমা: ৩ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর ২০২৪, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

 

তারেক

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে নিরাপত্তা বিভাগে নিয়োগ

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে নিরাপত্তা বিভাগে নিয়োগ
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের অন্যতম বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। প্রতিষ্ঠানটি সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের নিম্নলিখিত পদে জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। আবেদন করা যাবে শুধুমাত্র অনলাইনে।

১) পদের নাম: সিকিউরিটি সুপারভাইজার
যোগ্যতা: সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জেসিও অথবা আধা-সামরিক বাহিনীর সমমান। 
বয়স: সর্বোচ্চ ৫০ বছর।

২) পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট সিকিউরিটি সুপারভাইজার।
যোগ্যতা: সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট অথবা আধা-সামরিক বাহিনীর সমমান। 
বয়স: সর্বোচ্চ ৪৫ বছর।

৩) পদের নাম: সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট
যোগ্যতা: সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্পোরাল ও তদনিম্ন অথবা আধা-সামরিক বাহিনীর সমমান। 
বয়স: সর্বোচ্চ ৪০ বছর।

অন্যান্য যোগ্যতা:
> শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান (সকল ক্ষেত্রে)
> নূন্যতম উচ্চতা: ৫’৬” (১৬৭.৬৪ সেন্টিমিটার)।
> বিএমআই: ১৮-২৫ এর মধ্যে থাকতে হবে।
> শারীরিকভাবে সুঠামদেহের অধিকারী হতে হবে।
> প্রার্থীদের অবশ্যই জাতীয় পরিচায়পত্র থাকতে হবে।
> চোখের দৃষ্টি ৬/৬ হতে হবে এবং চশমা ব্যবহার করা যাবে না।
> প্রার্থীদের অবশ্যই অধূমপায়ী হতে হবে।
> বাহিনীর চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়াকে অযোগ্যতা হিসাবে বিবেচনা করা হবে।

কাজের দায়িত্বসমূহ
> এয়ারলাইন্স এর সার্বিক নিরাপত্তা কার্যক্রম তদারকি ও নিশ্চিত করা।
> ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্পিত যে কোনো দায়িত্ব পালন করা।

মাসিক বেতন:
সিকিউরিটি সুপারভাইজার ৩০,০০০/ টাকা, অ্যাসিস্ট্যান্ট সিকিউরিটি সুপারভাইজার ২৩,০০০/ টাকা, সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ১৮,০০০/ টাকা।

সুযোগ-সুবিধা:
> চিকিৎসা বীমা, সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন।
> বার্ষিক বেতন পর্যালোচনা।
> উৎসব ভাতা ও অন্যান্য কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী প্রদান করা হবে।
> ডিউটি শিডিউল অনুযায়ী সকালের নাস্তা/দুপুরের খাবার/রাতের খাবার প্রদান করা হবে।

কর্মক্ষেত্র: বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় এবং ঢাকা বিমানবন্দর।

চাকরির ধরণ: ফুল টাইম

যোগ্য প্রার্থীদেরকে নিম্নলিখিত লিংকে গিয়ে আবেদন করার অনুরোধ করা হলো:

> সিকিউরিটি সুপারভাইজার পদে আবেদনের লিংক: 

> আসিস্ট্যান্ট সিকিউরিটি সুপারভাইজার পদে আবদেনের লিংক:

> সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে আবেদনের লিংক:

[ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো পর্যায়েই কাউকে কোনো ধরনের ব্যাংক ড্রাফট বা টাকা দিতে হয় না। চাকরি প্রত্যাশীদের সব ধরনের আর্থিক লেনদেন হতে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো। যেকোনো ধরনের সুপারিশ/ রেফারেন্স প্রার্থীর অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে।]

প্রাথমিকে সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ পিএম
প্রাথমিকে সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ
হাইকোর্ট। ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের নিয়োগ দেওয়ায় এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচাপতি মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

বুধবার (২০ নভেম্বর) ওই সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষককে নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা ছিল। হাইকোর্টের আদেশের ফলে নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ হলো। 

শুনানিতে রিটের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর মোহাম্মদ আজমী।

গত ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হয়। ফল প্রকাশ করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে। এতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ৫৩১ জন। এরপর মৌখিক পরীক্ষাও সম্পন্ন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। 

স্টার্টআপ নেতাদের যা করা উচিত

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
স্টার্টআপ নেতাদের যা করা উচিত
একজন স্টার্টআপ নেতা গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোতেই মনোনিবেশ করেন। মডেল: রিয়াদ রহমান ছবি: খবরের কাগজ

কোনো বড় সমস্যা সমাধান করার জন্য যে ব্যবসা শুরু করা হয় তাকেই সাধারণত স্টার্টআপ বলা হয়ে থাকে। যেমন- লিংকডইন, ফেসবুক, উবার এবং বিকাশ ইত্যাদি। এরা সবাই কোনো না কোনো বড় সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছেন কাস্টমারের জীবনের জন্য। স্টার্টআপ নেতাদের কমন কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। সেগুলো হলো-

লক্ষ্য

লক্ষ্য থাকা একজন স্টার্টআপ নেতার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। তবে আসল পরীক্ষা হলো সেই লক্ষ্যকে বাস্তবে এমনভাবে রূপ দেওয়া, যাতে আপনার আশপাশের লোকরাও আপনার লক্ষ্যের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেন। একটি সংগতিপূর্ণ বার্তা ও প্রতিনিয়ত নবশক্তি নিয়ে এগিয়ে গেলে অন্যরাও আপনার স্বপ্নকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবে।

বিনয়

প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়লে তার দায়িত্ব নেতার ওপরও বর্তায়। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে কর্মচারীদেরও অবদান থাকে। কর্মচারীদের আপনি আপনার ইগোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন না। যদি আপনি কোনো প্রতিষ্ঠান চালান, তাহলে আপনার কর্মচারীরা আপনার গ্রাহক হিসেবেই বিবেচিত হবে এবং আপনার উচিত হবে নিজের চাহিদার পরিবর্তে তাদের চাহিদা পূরণে সাহায্য করা।

নমনীয়তা

স্টার্টআপ নেতাদের নমনীয় হওয়া উচিত। কারণ, তাদের ব্যবসা এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিকল্পনা পরিমার্জন (বা বর্জন) করা লাগতে পারে। এটা করতে গিয়ে তারা যদি রাগ করেন ও অপমানিতও বোধ করেন তাহলে স্টার্টআপ সামনের এগিয়ে নেওয়া কষ্টকর হবে। নেতা যদি এমন আবেগ দেখান তা প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।

ফোকাস

নেতা হিসেবে আপনাকে বিনিয়োগ, সময় ও শক্তি- সবকিছুর সামাল দিতে হবে। এসব সামাল দিতে গিয়ে আপনি হিমশিম খাবেন এটাই স্বাভাবিক। আপনি হয়তো ব্যবসা-সংক্রান্ত সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতায় নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চাইবেন। আর সবকিছুর জন্যই ফোকাস থাকা অত্যাবশ্যক। যেসব কাজ আপনার বিজনেসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেগুলোয় আপনার বেশি সময় ও শক্তি ব্যয় করা উচিত। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো নির্ধারণ করে সেগুলোতেই মনোনিবেশ করাটাই শ্রেয়।

সিদ্ধান্ত নেওয়া

যারা স্টার্টআপ নেতা হিসেবে সফল তারা জানেন যে, প্রতিদিন তাদের ব্যবসা-সংক্রান্ত যে শত শত সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা হয় তার সবগুলো বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই। এর পরিবর্তে তাদের কাজ হলো পর্যাপ্ত তথ্য জোগাড় করা এবং তার ভিত্তিতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া, যা তাদের ব্যবসাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এর মধ্যে কিছু সিদ্ধান্ত হয়তো ভালো হবে না কিন্তু ওইসব ভুল সিদ্ধান্ত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে পুনরায় চেষ্টা করতে হবে। সিদ্ধান্তহীনতার চেয়ে এটাই করা উত্তম।

একাগ্রতা

সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে নতুন প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো। যেকোনো উদ্যোক্তাই কঠিন সময়েও কাজ করে যাওয়ার প্রবল মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যান এবং মাঝে মধ্যে তিনি বড় কিছু করে ফেলেন। যারা সিরিয়াস উদ্যোক্তারা যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত থাকে। একটি বিষয়ে তারা ধাপে ধাপে এগিয়ে যান, তারা কখনো একসঙ্গে সবকিছু করতে গিয়ে ঝামেলা তৈরি করেন না।

ভয়ের ভারসাম্য

প্রতিটি স্টার্টআপ নেতাই ভিন্ন, তাই একটি নির্দিষ্ট গুণাবলি হয়তো সবার জন্য প্রযোজ্য হবে না। সবার মাঝেই কোনো না কোনো ভয় কাজ করে, ব্যর্থ হওয়ার ভয়। তারপরও ভয় এবং আত্মবিশ্বাসের ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। নেতাদের সবসময় সজাগ ও বাস্তবসম্মত থাকতে হবে একই সঙ্গে তাদের লক্ষ্য সঠিক হবে কি না, সে ব্যাপারেও ধারণা রাখতে হবে।

চাপ নিয়ন্ত্রণ 

যেকোনো ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো নেতারা উদ্ভূত পরিস্থিতিকে তাদের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেয় না। এ ধরনের নেতারা মনে করেন তাদের সাফল্য তাদের হাতে এবং পারিপার্শ্বিক চাপগুলো তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। যখন কোনো কিছু তাদের পেছনে ঠেলে দেয়, ভালো নেতারা ধৈর্য ধারণ করেন এবং ওই পরিস্থিতিকে নিজের করে নিয়ে তা জয় করেন।

ইতিবাচকতা

ভালো নেতাদের একটি ইতিবাচক মনোভাব থাকে। যদি আপনার মধ্যে ইতিবাচকতা না থাকে তাহলে আপনি উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। বিজনেসে চড়াই-উতরাই থাকবেই, যদি বিজনেসের নেতা সদা ইতিবাচক থাকে, তাহলে সে তার সঙ্গে থাকা অন্যদের মাঝেও সেই ইতিবাচক মনোভাব বিস্তার করতে পারবেন।

আত্মসচেতনা

ভালো নেতারা তাদের নিজেদের ব্যাপারে সবসময় সচেতন, তারা তাদের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত থাকেন। ভালো স্টার্টআপ নেতা ব্যবসা গ্রোথের বিষয়ে সৎ থাকার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী থাকে। যখন আপনি জানবেন কোনো ক্ষেত্রে আপনার সাহায্য দরকার তখন আপনি বুঝবেন কোন ধরনের কর্মচারীকে আপনার টিমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং কোন ধরনের কৌশলগত অংশীদার থাকলে আপনার বিজনেসের জন্য ভালো হবে।

শোনার ক্ষমতা

বেশির ভাগ ব্যবসা প্রেক্ষাপটে মনোযোগ দিয়ে কথা শোনাকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না। বর্তমানের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে যার গলার জোর বেশি তার কথাই বেশির ভাগ সময়ে শুনতে পাওয়া যায়। তবে ফিডব্যাক দেওয়া এবং শোনা কথাকে কাজে লাগানোর মাঝেই একজন ভালো নেতা উঠে আসেন। আপনার কর্মচারীরা আপনার প্রশংসা করবে কারণ আপনি তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন এবং আপনার অংশীদাররাও আপনার ওপর আস্থা রাখতে শুরু করবেন।

সেলসম্যানশিপ

এর অর্থ হলো নেটওয়ার্কিং করা এবং পণ্য বিক্রি করার সক্ষমতা থাকা। ভালো স্টার্টআপ নেতারা তাদের সবসময় সেলসের মাঝেই থাকে। কর্মচারীরা যাতে তাদের জন্য কাজ করেন, বিনিয়োগকারীরা যাতে তাদের পণ্যে বিনিয়োগ করেন, অন্যরা যাতে তাদের সঙ্গে অংশীদারত্বে আসেন, গ্রাহকরা যাতে তাদের পণ্য কেনেন- এসব কিছু নিয়েই তারা সদা ব্যস্ত থাকেন।

 

তারেক

যে ৮ কারণে আপনি গতিহীন হতে পারেন

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম
আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পিএম
যে ৮ কারণে আপনি গতিহীন হতে পারেন
ছবি: খবরের কাগজ

কোম্পানিগুলো চায় রাতারাতি জনপ্রিয় হতে কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। আপনার বিজনেস বা ক্যারিয়ার যতই ভালোভাবে শুরু হোক না কেন, আপনি কোনো না কোনো সময় গতিহীন হয়ে পড়বেন। যত অর্জন করবেন, তত বাধা আসবে। যত লাভ করতে চাইবেন, তত বড় ঝুঁকি নিতে হবে, এটাই বাস্তব।

সফল উদ্যোক্তাদের বৃত্তান্ত পড়লে দেখা যায় তাদের অর্জনের ফুলঝুরি কিন্তু তারা কতবার স্থির হয়েছিলেন তা বোঝা যায় না। সব উদ্যোক্তা কখনো না কখনো স্থির হয়েছেন। এর জন্য হয়তো এই ৮ কারণ দায়ী-

কঠোর পরিশ্রম করছেন না

এখন সবাই কম কর্মঘণ্টা, একসঙ্গে বেশি কাজ করার কুফল, কাজের স্বাধীনতার কথা বলে থাকে। তবে যত যাই হোক, সফল হতে গেলে একটাই মূলমন্ত্র আর সেটা হলো কঠোর পরিশ্রম করা, এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

আপনি ফোকাস হারিয়ে ফেলেছেন

উদ্যোক্তাদের জন্য ফোকাস খুবই জরুরি। ফোকাস না থাকলে কোনো কাজই হবে না। হতে পারে আপনি আপনার ব্যবসার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন বা ব্যক্তিগত কারণে আপনি ফোকাস থেকে দূরে আছেন। ফোকাস নেই দেখে তাড়াহুড়ো করে কোনোকিছু করতে যাওয়াও ভালো ফল বয়ে আনে না।

আপনি সঠিক মানুষকে সঠিক প্রশ্ন করছেন না

ফিডব্যাক পেতে চাইলে সঠিক মানুষকে সঠিক প্রশ্ন করা জানতে হবে এবং তারা ফিডব্যাক দিলে তা মন দিয়ে শুনতে হবে। যতই প্রশিক্ষক আপনার থাকুক না কেন, যতই কলাকৌশল আপনি শিখুন না কেন, আপনাকে সঠিক মানুষের কাছে গিয়ে সঠিক ব্যাপারটি জিজ্ঞেস করে তাদের উত্তর শুনতে হবে। কোনো গ্রাহক যদি বলে দেয় আপনার কোথায় ভুল হচ্ছে, তাহলে তাদের কথাও মন দিয়ে শুনুন।

আপনি সমাধান করার মতো এখনো বড় কোনো সমস্যা পাননি

উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে মানুষ উল্টো পথে হাঁটে। তারা আগে দেখে কী কী সক্ষমতা ও প্রযুক্তি তাদের রয়েছে, যা দিয়ে তারা সমাধান বের করতে পারবে। কিন্তু আসলে প্রথমেই যা করতে হবে তা হলো সমস্যাকে বিচার-বিশ্লেষণ করা। যদি সমস্যাটি বড় কিছু না হয়ে থাকে, তাহলে এর সমাধানও তেমন একটা সাড়া ফেলবে না গ্রাহকদের মাঝে।

আপনার আকর্ষণীয় কোনো ভ্যালু প্রপোজিশন নেই

ভ্যালু প্রপোজিশন একটি বিজনেস কনসেপ্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। এর মাধ্যমেই আপনি গ্রাহকদের বলবেন আপনি অন্যদের চেয়ে ভালো কী দিতে পারবেন তাদের। যদি তা পরিষ্কার না থাকে বা গ্রাহকদের কাজে না আসে, তাহলে আপনার বিজনেসের উন্নতি হবে না।

আপনি বোঝেন না

সবকিছুরই একটা নির্দিষ্ট নিয়মনীতি আছে। কীভাবে কাজ করা হয়, কীভাবে কাজ করতে হয়- এসব কিছু। সব নিয়ম সবখানে লেখা থাকে না আর নিজে থেকে এসব খুঁজতে গেলে আপনি গতিহীন হতেই পারেন। পরিচিত কাউকে ধরুন যার কাজের অভিজ্ঞতা আছে এবং তার জ্ঞানকে কাজে লাগান।

নিজের শূন্যস্থানগুলো এড়িয়ে যাচ্ছেন

ভালো কোম্পানিরা নিজেদের শীর্ষস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য মূল্যবান সময় ও রিসোর্সেস ব্যয় করে থাকে। কী কী শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে তা অনেক বড় একটি ব্যাপার। নিজের শূন্যস্থানগুলো এড়িয়ে যাবেন না। বিজনেসের শূন্যস্থানগুলো খুঁজে বের করে তা পূরণ করতে হবে।

আপনি ভুল পথে আছেন

আপনি সঠিক পথে নাকি ভুল পথে আছেন এটা আগে নিশ্চিত হতে হবে। আপনি যদি একই কাজ বারবার করে যান এবং কাজের ফলাফলগুলো আপনার মনমতো না হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার পথ পরিবর্তন করার সময় এসেছে। আপনার পরিচিত যারা অভিজ্ঞ তাদের সঙ্গে কথা বলুন, আপনার গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলুন, তাদের কথা নিয়ে চিন্তা করুন এবং নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগান, আপনি সঠিক জিনিসটাই করতে সক্ষম হবেন তখন। দিনশেষে এসব কিছুর জন্য একটি জিনিসই দরকার আর তা হলো অধ্যবসায়। কাজে লেগে থাকা এবং হাল ছেড়ে না দেওয়ার মানসিকতা। তবেই ব্যবসায় সাফল্য আসতে বাধ্য।

 

তারেক

বিদ্যুতে সফল শাখাওয়াত

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
বিদ্যুতে সফল শাখাওয়াত
ছবি: জন শাখাওয়াত চৌধুরী

ষাটের দশকে চট্টগ্রামের মাদারবাড়িতে জন্ম নেওয়া শাখাওয়াত স্বপ্ন দেখতেন পাইলট হবেন। কিন্তু তার বাবা চাইতেন ছেলে যাই করুক, সে জায়গায় সবচেয়ে ভালো করুক। জন শাখাওয়াত চৌধুরী তা-ই করলেন। শুধু ভালো করলেন না, হয়ে উঠলেন অপ্রতিরোধ্য, সেরাদের একজন।

১৯৮১ সালে ব্যারিস্টারি পড়ার প্রস্তুতি হিসেবে প্রি-এলএলবি করতে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার ইউনিভার্সিটি অব টালসায় যান শাখাওয়াত। প্রথম দুই সেমিস্টার সবার একই পড়াশোনা। দুই সেমিস্টার পর মেজর বিষয় নেওয়ার নিয়ম। তখন কম্পিউটার নিয়ে পড়ালেখা করলে যুক্তরাষ্ট্রেই ভালো চাকরি পেতে পারেন এমন ধারণা থেকে বিষয় হিসেবে বেছে নেন ‘ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম’। স্নাতক শেষ বর্ষে পড়ার সময় ১৯৮৭ সালে প্রোগ্রামার হিসেবে ডাক আসে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রাকৃতিক গ্যাস প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং পরিবহন প্রতিষ্ঠান দ্য উইলিয়াম কোম্পানি থেকে। 

এরপর ১৯৮৮ সালে যখন তিনি গ্র্যাজুয়েট হন তখন এক ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যালে একই সঙ্গে তিনটি চাকরির প্রস্তাব পান। সেখান থেকেই যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের ১৩০ বছরের পুরোনো অডিট ও ট্যাক্স প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারসে সিনিয়র কনসালট্যান্ট হিসেবে। ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন আইবিএমে।

২০০৫ সালে বিদ্যুতের অপচয় রোধ করার জন্য শাখাওয়াত একটি প্রকল্প শুরু করেন। শাখাওয়াতের আইডিয়া অনুসরণ করে বিদ্যুতের অপচয় রোধে সুফল পাওয়ায় ২০০৬ আইবিএম তাকে দেয় ‘প্রেসিডেনশিয়াল অ্যাওয়ার্ড’। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজের পাশাপাশি নিজের কোম্পানি হিসেবে ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন সফটওয়্যারভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এনকেসফট। এ প্রতিষ্ঠানটিই তাকে এনে দেয় বিশ্বপরিচিতি।

এনকেসফট চালু করার কারণ হিসেবে জন শাখাওয়াত চৌধুরী বলেন, ‘১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার কেবল পরিচিতি পাচ্ছে। সেই সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিদ্যুৎ এবং গ্যাস বিল জমা দেওয়া (অনলাইন), বিলসংক্রান্ত সমস্যার সমাধান ইন্টারনেটের মাধ্যমে করার আইডিয়া আমি বিদ্যুৎ এবং গ্যাস কোম্পানিগুলোকে দিই। যুক্তরাষ্ট্রের সাদার্ন ইউনিয়ন কোম্পানি প্রথম আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করে। তারপর আমাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।’

জন শাখাওয়াত চৌধুরীর প্রতিষ্ঠিত এনকেসফটের সেবা নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ওরাকল, আমেরিকান এয়ারলাইনস, মেক্সিকোর কিট কারসন, ফিলিপাইনের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মেরিলকো পাওয়ার, ভারতের উইপ্রোসহ বিশ্বের নানা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে জন শাখাওয়াত চৌধুরী আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

 

তারেক

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });