মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাসের সেমিনার হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফজলুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এ টি এম ফজলুল হক, অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক, এনামুল হক চৌধুরী এফসিএ, মানারাত ইনস্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম উমার আলী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, ইঞ্জিনিয়ার আবুল বাশার।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মাহবুব-উল-আলম, মানারাত ট্রাস্টের সেক্রেটারি সাবেক যুগ্ম-সচিব মো. শাহ্ আলম বকশী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়।
মোনাজাত পরিচালনা করেন অধ্যাপক এ টি এম ফজলুল হক।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফজলুর রহমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘সব ধরণের সংকট কাটিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে এ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা সচেষ্ট রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সমস্যাগুলো সনাক্ত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে।’
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মটো ‘আ সেন্টার অব একাডেমিক অ্যান্ড মোরাল এক্সিলেন্স’ স্লোগান ধারণ করে শিক্ষকদের গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা মানারাত ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এমনভাবে গড়তে চাই যেন মানুষ দেখলেই বুঝতে পারেন তারা আমাদের ছাত্র।’
মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদেরকে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তাই শিক্ষক-কর্মকর্তাদেরকে যার যার দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
অধ্যাপক ড. এম উমার আলী বলেন, ‘সব বিভেদ-বিভক্তি ভুলে মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিতে শিক্ষকদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ এ প্রতিষ্ঠানকে আবার আমাদের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং যে মিশন-ভিশন নিয়ে এ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল তা বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’
অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে একযোগে করতে হবে। এ জন্য বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সব সদস্যরা তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে সচেষ্ট রয়েছেন।’
অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘মানারাত ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট একটি রেজিস্ট্রিকৃত ট্রাস্ট। একটি রেজিস্ট্রিকৃত প্রতিষ্ঠানকে বাতিল করার কোনো ক্ষমতা কোনো কর্তৃপক্ষের নাই। যারা এখানে এসেছিলেন তারা অবৈধভাবে এসেছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় অবৈধ দখল মুক্ত হয়েছে। এখন আইন অনুযায়ী মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা বুঝে নিয়েছে।’
এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় উন্নতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে এখানকার জমি আমাদেরই হাতে কেনা, এর দালান-কোঠা সবই আমাদের হাতেই তৈরি। এ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা এখন সে অনুযায়ী কাজ করব।’
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তি/পপি/