ঢাকা ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও গ্রামীণফোনের মধ্যে চুক্তি

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও গ্রামীণফোনের মধ্যে চুক্তি
ছবি : বিজ্ঞপ্তি

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের মধ্যে সম্প্রতি একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ, রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড, ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের অ্যাসোসিয়েট ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মুজিবুল হক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন ড. সাদিয়া হামিদ কাজী, ডিরেক্টর অব কমিউনিকেশন্স খায়রুল বাশার এবং স্টুডেন্ট লাইফের জয়েন্ট ডিরেক্টর তাহসিনা রহমান।

গ্রামীণফোনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার সৈয়দা তাহিয়া হোসেন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অ্যালামনাই ও গ্রামীণফোনের ডিজিটাল চ্যানেল ও ডিস্ট্রিবিউশনের প্রধান জাহিদুজ জামান এবং এমপ্লয়ার ব্র্যান্ড এক্সপার্ট আশফাক হোসেন।

শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, গবেষণা ও ক্যারিয়ার উন্নয়নে প্রতিষ্ঠান দুটি একসঙ্গে কাজ করবে। এই চুক্তি যৌথ গবেষণা প্রকল্প, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও কর্মশালার মাধ্যমে গবেষণা, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার প্রস্তুতিকে আরও শক্তিশালী করবে এবং এর ফলে একাডেমিক উৎকর্ষ আরও বৃদ্ধি করবে। এর ফলে লেকচার, সেমিনার, ও কনফারেন্সের মতো বিভিন্ন জ্ঞানভিত্তিক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে; যেখানে শিক্ষার্থী, একাডেমিকস ও ইন্ডাস্ট্রি লিডাররা একত্রিত হবেন এবং যা তাদের মধ্যে মতবিনিময়ের সুযোগ করে দেবে।   

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ বলেন, ‘এ ধরনের সহযোগিতা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার অভিজ্ঞতা পরিবর্তনে সাহায্য করছে, যেখানে বাস্তব কাজের জ্ঞান সরাসরি আমাদের একাডেমিক প্রোগ্রামে যুক্ত হচ্ছে।’

গ্রামীণফোনের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার সৈয়দা তাহিয়া হোসেন দেশের উন্নয়নে গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তরুণ প্রজন্মের উদ্ভাবনী চিন্তা ও শক্তি ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করবে।’

বিজ্ঞপ্তি/নাবিল/সালমান/

ডিবিএল ও ব্রাইট সিরামিকসের বিজনেস কনফারেন্স ২০২৪

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৩ পিএম
ডিবিএল ও ব্রাইট সিরামিকসের বিজনেস কনফারেন্স ২০২৪
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

'শ্রেষ্ঠত্বের নতুন দিগন্ত' স্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয়েছে ডিবিএল ও ব্রাইট সিরামিকসের বার্ষিক বিজনেস কনফারেন্স-২০২৪। 

২৯ ও ৩০ নভেম্বর কক্সবাজারের বে ওয়াচ হোটেলে ডিবিএল পরিবারের সকল ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর নিয়ে এ অনুষ্ঠান হয়।

আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ডিবিএল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এম এ রহিম, চিফ বিজনেস কর্মকর্তা বায়েজিদ বাশার, হেড অব সেলস মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান রাজ, ফিন্যান্স কন্ট্রোলার কাজী সিদ্দিকুল আজম এবং হেড অফ মার্কেটিং দিদারুল আলম খান। 

এতে বক্তব্য রাখেন ডিবিএল গ্রুপের বোর্ড অব ডিরেক্টর এবং ডিবিএল ও ব্রাইট সিরামিকসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।  

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিজনেস পার্টনারদের সেরা পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে চলতি বছরের সাফল্য উদযাপনের পাশাপাশি ডিবিএল সিরামিকসের নতুন পণ্য - মোজাইক টাইলসের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বিজ্ঞপ্তি/মেহেদী

খুলনায় কাজী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের ডিপো উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ পিএম
খুলনায় কাজী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের ডিপো উদ্বোধন
খুলনায় কাজী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের ডিপো উদ্বোধন করছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হায়দার চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

খুলনার বয়রায় রায়ের মহল এলাকায় কাজী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নতুন ডিপোর উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হায়দার চৌধুরী এটি উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাজী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের হেড অব সেলস সৈয়দ মহিদুল হোসেন, হেড অব মার্কেটিং রাজীব সাহা, সিনিয়র সেলস ম্যানেজার সানিউর রহমান এবং খুলনা ডিপো ইনচার্জ মো. ওবায়দুল হকসহ আরও অনেকে।

২০ হাজার লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন খুলনার এই ডিপো থেকে কাজী ফার্মস চিকেনের ফ্রোজেন ফুড এবং জাএনজি ও বেলিসিমো ব্র্যান্ডের আইসক্রিম ১৩টি জেলায় সরবরাহ করা হবে।

এ বিষয়ে তানভীর হায়দার চৌধুরী বলেন ‘আগামীতে এই এলাকার রিটেইল দোকানগুলোতে পর্যাপ্ত ফ্রিজ সরবরাহের মাধ্যমে কাজী ফার্মস চিকেনের ফ্রোজেন ফুড এবং জাএনজি ও বেলিসিমো ব্র্যান্ডের আইসক্রিমের সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তি/সুমন/

কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দিলো সাউথইস্ট ব্যাংক

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২০ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ পিএম
কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দিলো সাউথইস্ট ব্যাংক
কৃষকদের আর্থিক সহায়তা অনুষ্ঠানে সাউথইস্ট ব্যাংক ও রুরাল ডেভেলপমেন্ট সংস্থার কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি। 

কৃষি খাতের উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি যন্ত্রপাতি কেনা এবং কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্যে এই সহায়তা দেওয়া হয়।
 
ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসাইন এ বিষয়ে বলেন, ‘রুরাল ডেভেলপমেন্ট সংস্থার (আরডিএস) মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকদের এই সহায়তা দেওয়া হয়। বিশেষ তহবিলের এই সহায়তা কৃষকদের উন্নয়নে ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।’

ব্যাংকটি মূলত রুরাল ডেভেলপমেন্ট সংস্থা (আরডিএস) সঙ্গে সমন্বয় করে কৃষকদের এই সহায়তা দিয়েছে।

রুরাল ডেভেলপমেন্ট সংস্থার (আরডিএস) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ নূর উদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ব্যাংকটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মাছুম উদ্দিন খান ও আবিদুর রহমান চৌধুরী এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
বিজ্ঞপ্তি/সুমন/অমিয়/

বিএলআরআইতে বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ এএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ পিএম
বিএলআরআইতে বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত
বিএলআরআইয়ে ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৪’ সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সমাপ্ত গবেষণাসমূহের ফলাফল ও অগ্রগতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৪’ সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (২ নভেম্বর) বিএলআরআইয়ে এই সমাপনী অনুষ্ঠান হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালার সমাপনী ঘোষণা করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) মো. ছায়েদুজ্জামান ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বয়জার রহমান।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএলআরআই'র মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কর্মশালায় অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সুপারিশগুলো উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রাণি উৎপাদন গবেষণা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বিপ্লব কুমার রায়। 

সুপারিশমালা উপস্থাপনের পরে অনুষ্ঠিত হয় উন্মুক্ত আলোচনা ও প্রশোত্তর পর্ব। পর্বটি পরিচালনা করেন বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. নাজমুন নাহার করিম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রাণিসম্পদ একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ উৎপাদেনে কাজ করছে দেশের সব পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও খামারিরা। প্রাণিজ আমিষের চাহিদা বেড়েছে। আর এই বাড়তি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিএলআরআই। প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিএলআরআই-এর প্রযুক্তি ও প্যাকেজ উদ্ভাবন প্রশসংনীয়।

এ সময় তিনি আরও বলেন, টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও জনপ্রিয় প্রযুক্তিসমূহ মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিএলআরআই ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে কাজ করতে হবে। উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় জাতসমূহের উৎপাদনশীলতাও বাড়াতে হবে। 

সভাপতির বক্তব্যে বিএলআরআই'র মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় আমাদের জলবায়ুসহিষ্ণু প্রাণির জাত উদ্ভাবনে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের দেশীয় জাতসমূহ বিরূপ আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে অধিক পারদর্শী, বিরূপ আবহাওয়ায় তাদের উৎপাদনশীলতা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। তাই নতুন জাত উদ্ভাবনের সময় আমাদের দেশীয় জাতসমূহের ওপরে গুরুত্বারোপ করতে হবে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নতুন নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। এসব রোগসংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএলআরআই'র সাবেক মহাপরিচালক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রাণি ও পোল্ট্রি উৎপাদন ও খামার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞ এবং সংগঠনের প্রতিনিধি, বিএলআরআই-এর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞপ্তি/তাওফিক/অমিয়/

শেষ হলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাষার রূপান্তর বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ এএম
শেষ হলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাষার রূপান্তর বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাষার রূপান্তর বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা। ছবি : বিজ্ঞপ্তি

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব ল্যাঙ্গুয়েজেসের (বিআইএল) আয়োজনে ‘ভাষার রূপান্তর: ডিকলোনিয়াল প্রেক্ষাপটে ভাষা শিক্ষার প্রভাব’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সম্প্রতি শেষ হয়েছে। এই কনফারেন্সে ভাষা শিক্ষায় উপনিবেশিক ধাঁচের প্রভাব এবং তা থেকে উত্তরণের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও রূপান্তরমুখী পদ্ধতিগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৩০০ জনেরও বেশি শিক্ষক-গবেষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এই কনফারেন্সে ছিল ছয়টি মূল প্রবন্ধ, দুইটি প্লেনারি সেশন, একটি কলোকুইয়াম এবং ১৫১টি প্রেজেন্টেশন। ভাষাগত বৈচিত্র্য, বহুভাষা শিক্ষা, ডিকলোনিয়াল পাঠ্যক্রমের উন্নয়ন, ভাষা নীতি, ভাষাগত বর্ণবাদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার জন্য উদ্ভাবনী কৌশলসহ আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। 

আন্তর্জাতিক এই সম্মেলেনে বিশেষজ্ঞ আলোচকদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর সুরেশ কানাগারাজা, নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটির অব অকল্যান্ডের প্রফেসর স্টিফেন মে, অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটির সিনিয়র প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো প্রফেসর সেন্ডার ডোভচিন, ফিনল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ইউভাসকুলার প্রফেসর ইমেরিটাস সিপরা লিপানেন, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিজনেস স্কুলের প্রফেসর ইমেরিটাস রবার্ট ফিলিপসন এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির প্রফেসর ইমেরিটাস অ্যালিস্টার পেনিকুক।
 
আমন্ত্রিত বক্তাদের মধ্যে ছিলেন এডুকেশন ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের ড. প্রমোদ কে সাহা, ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডের ড. ওবায়েদ হামিদ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এ এম এম হামিদুর রহমান এবং ইউনিভার্সিটি সাইনস মালয়েশিয়ার ড. মঞ্জিত কৌর মেহার সিং।

বক্তারা ট্রান্সলিঙ্গুয়ালিজম কীভাবে অর্থ গঠনে ভূমিকা রাখে তা নিয়ে আলোচনা করেন। সেই সঙ্গে শিক্ষা এবং মূল্যায়নে ভাষার সামাজিক দিকগুলোর গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছেন। এ ছাড়া তারা গ্লোবাল সাউথে ভাষানীতির নিয়ে কথা বলেন, যেখানে বিশেষভাবে স্থানীয় বা আদিবাসী ভাষাগুলোর ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আলোচকরা বহুভাষিক পরিচয়ের মিশ্র স্বভাব কীভাবে গঠিত হয়, তা নিয়েও আলোচনা করেছেন।

গত ৩০ নভেম্বরে শেষ হওয়া তিন দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে ভাষাগত সাম্রাজ্যবাদ, ডিজিটাল যোগাযোগে বহুভাষিকতা, ভাষাগত বর্ণবাদের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব এবং সমাজ পরিবর্তনে ভাষার ভূমিকা আলোচনা করা হয়।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর আসিফা সুলতানা এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের ড. রফি সালেহ ডিকলোনিয়াল ভাষা শিক্ষা এবং ভাষা, পরিচিতি ও সামাজিক পরিবর্তনের সংযোগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে বিআইএলের উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা লেডি সৈয়দা সারওয়াত আবেদ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যা্য্যতাভিত্তিক বিশ্ব গড়ে তুলতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই সম্মেলন ভাষা শিক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

বাংলাদেশ ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিইএলটিএ) উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক প্রফেসর ড. আরিফা রহমান এই কনফারেন্স আয়োজন করায় ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব ল্যাঙ্গুয়েজের প্রশংসা করেন।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ বলেন, ‘রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে শিক্ষা কারিকুলাম এবং ইতিহাসে পরিবর্তন আনা হয়। এটা বন্ধ করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি শুধু ভাষা শেখার চেয়ে সেটিকে দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করার সক্ষমতা অর্জন করাও সমানভাবে জরুরি।’

কনফারেন্সের সমাপনী বক্তব্যে ভাষা শিক্ষার প্রচলিত পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন বিআইএলের ডিরেক্টর ও কনফারেন্সের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. শায়লা সুলতানা। সেই সঙ্গে তিনি অনুষ্ঠানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশও উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোমেসি সেকশনের পাবলিক এনগেজমেন্টের ডিরেক্টর স্কট ই. হার্টম্যান।

কনফারেন্সে শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরিবেশনা ছাড়াও জনপ্রিয় ব্যান্ড দল জলের গান সংগীত পরিবেশনা করে। 

বিজ্ঞপ্তি/সুমন/