ঢাকা ৫ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান ওয়ালটনের

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান ওয়ালটনের
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

দেশীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের টেকসই বিকাশ নিশ্চিত করতে এবং প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বাড়ানোর গুরুত্বারোপের আহ্বান জানিয়েছে ইলেকট্রনিকস ব্র‌্যান্ড ওয়ালটন।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে ওয়ালটন আয়োজিত একক বৃহৎ শিল্পমেলা ‘ অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সলিউশন বা এটিএস এক্সপো-২০২৪’ এর দ্বিতীয় দিনে “স্থানীয় উৎপাদনকে শক্তিশালীকরণ: ইলেকট্রনিক্স শিল্পে বাংলাদেশের উত্থান” শীর্ষক এই প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং বিজনেস কো-অর্ডিনেটর টু ম্যানেজিং ডিরেক্টর তানভীর আঞ্জুমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কামরুল হাসান, বেস্ট ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ তাহমিদ জামান রাশিক, দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের কমার্শিয়াল ডিরেক্টর কামরুল হাসান এবং কেইডি সল্যুশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মফিজুর রহমান।

প্যানেল আলোচনায় ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তানভীর আঞ্জুম বলেন, ‘যেকোনো ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রির টেকসই উন্নতি নির্ভর করে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) কর্মকাণ্ডের ওপর। দেশীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের উন্নতি সাধনেও আরঅ্যান্ডআই এর কোনো বিকল্প নেই। এ খাতে স্থানীয় উৎপাদকদের প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে।’

তিনি জানান, ওয়ালটন শুরু থেকেই রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। তাই ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে গড়ে তোলা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ আরঅ্যান্ডআই সেন্টার ও টিম। ওয়ালটনের প্রতিটি পণ্যের জন্য পৃথক আরঅ্যান্ডআই টিম কাজ করছে। বর্তমানে ওয়ালটনের আরঅ্যান্ডআই টিমে দেশি-বিদেশি অত্যন্ত দক্ষ ও মেধাবী আড়াই হাজারেরও বেশি প্রকৌশলী কাজ করছেন। তারা নিরলস গবেষণার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও ফিচার সমৃদ্ধ পরিবেশবান্ধব নতুন নতুন মডেলের পণ্য উৎপাদন করছেন। তাদের গবেষণার ফলশ্রুতিতে ৫০ হাজারেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্যুশন ও কমপোনেন্টস উৎপাদন করছে ওয়ালটন।

সভায় যুগোপযোগী দেশীয় শিল্পবান্ধব পলিসি নির্ধারণের উপর গুরুত্বারোপ করে এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কামরুল হাসান বলেন, ‘দেশীয় শিল্পের জন্য প্রয়োজন ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ। এতে দ্রুত এগিয়ে যাবে দেশীয় শিল্প। এক্ষেত্রে ওয়ালটন বিশাল উন্নতি সাধন করেছে।’

তিনি আরো বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়ার মধ্যে সমন্বয় সাধনে বিশাল গ্যাপ রয়েছে, যা দূর করতে হবে। দেশীয় ইন্ডাস্ট্রিগুলোর উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া। পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে ইন্ডাস্ট্রি পরিচালিত ইন্টার্নশিপ ও গবেষণাসহ নানা কাজে সংযুক্ত করতে হবে। এতে ইন্ডাস্ট্রির বাস্তব অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে পারবেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, তেমনি ইন্ডাস্ট্রি পাবে দক্ষ জনশক্তি। এভাবে ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া মিলে গবেষণায় মনোযোগ দিতে হবে।

বেস্ট ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ তাহমিদ জামান রাশিক বলেন, ‘বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স খাতে গত ৫০ বছরে বড় একটা বিপ্লব হয়েছে। এই রেভ্যুলেশনে ড্রাইভিং ফোর্স হিসেবে ছিলো ওয়ালটন। বিশাল ঝুঁকি নিয়ে ওয়ালটন ওই সময়ে ইলেকট্রনিক্স খাতে বিনিয়োগ করেছে। বর্তমানে ইলেকট্রনিকস খাতের প্রায় শতভাগ পণ্য দেশেই উৎপাদন করছে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান।

সভায় দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের কমার্শিয়াল ডিরেক্টর কামরুল হাসান বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরে প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এতে দেশে থাকা ম্যানুফ্যাকচারারগণই লাভবান হবেন। দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) খাতেও উন্নতি করতে সক্ষম হবে। আমাদের অভ্যন্তরীণ উন্নতির জন্য আরঅ্যান্ডডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এখানেই আমাদের বিনিয়োগ খুবই কম। এসব দিকে উন্নতি করতে পারলে ইলেকট্রনিক্স খাতে আমাদের দেশও দ্বিতীয় চায়না হতে পারবে শিগগিরই।’

কেইডি সল্যুশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মফিজুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনে দেশীয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক এগিয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে ওয়ালটন। পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করে দেশেই নিজস্ব প্রোডাকশন প্ল্যান্টে নানাধর্মী বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য যেমন:এয়ারকন্ডিশনার, ফ্রিজ, লিফট, টিভি, ফ্যান তৈরি করছে ওয়ালটন। ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ওয়ালটনের এসব পণ্য।

উল্লেখ্য, ওয়ালটনের উৎপাদিত ৫০ হাজারের অধিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্যুশন ও কম্পোনেন্টস দেশি-বিদেশি শিল্পোদ্যাক্তা ও ক্রেতাদের নিকট তুলে ধরার মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করে বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে এটিএস এক্সপোর। মেলায় দেশীয় বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে ওয়ালটন।

বিজ্ঞপ্তি/নাবিল/এমএ/

ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ‘পার্টনার্স টুগেদার’ সম্মেলন

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১২ পিএম
ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ‘পার্টনার্স টুগেদার’ সম্মেলন
ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের আয়োজনে ‘পার্টনার্স টুগেদার’ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট এবং সেরা ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘পার্টনার্স টুগেদার’ সম্মেলন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে বেলুন উড়িয়ে ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের সম্মেলন উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।

এতে দেশজুড়ে ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত সহস্রাধিক ব্যবসায়িক অংশীদারসহ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের বিক্রয় প্রতিনিধি, কর্মকর্তা এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা অংশ নেন।

ওয়ালটন ব্র্যান্ডের প্রতি সিংহভাগ ক্রেতার আস্থা বজায় রাখা, পণ্য বিক্রয়ে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা ও সুবিধা প্রদান, বাজার গবেষণা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে সময়োপযোগী বিপণন কৌশল প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয়ে সম্মেলনে আগত ডিস্ট্রিবিউটরদের গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা ও পরামর্শ দেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক। 

তারা চলতি বছর নতুন নতুন মডেলের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎসাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব, সর্বাধুনিক ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং ফিচারের প্রযুক্তিপণ্য বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেন।

সম্মেলনে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার সকালে  দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সহস্রাধিক ডিস্ট্রিবিউটর, বিক্রয় প্রতিনিধি এবং কর্মকর্তারা ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে পৌঁছান। 

তাদের পদচারণায় উৎসবমুখর হয়ে উঠে পুরো হাই-টেক পার্ক। অতিথিরা অত্যন্ত উৎসাহ ও আনন্দ নিয়ে ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টস পরিদর্শন করেন। 

তারা ওয়ালটনের বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আন্তর্জাতিকমানের ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট দেখে অত্যন্ত মুগ্ধ হন।

ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) মো. জিয়াউল আলম, এএমডি মো. ইউসুফ আলী, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের এএমডি প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মফিজুর রহমান প্রমুখ। 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এবং ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান।

অনুষ্ঠানে অতিথিদের আনন্দ ও বিনোদনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে তুলেন মীরাক্কেল খ্যাত জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি।

২০২৪ সালে বিক্রয় বৃদ্ধিতে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করায় সম্মেলনে ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ১৭৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। 

বিজ্ঞপ্তি/নাবিল/

ডিবিসিসিআইর নতুন সভাপতি মামুন, সেক্রেটারি রিসালাত

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম
ডিবিসিসিআইর নতুন সভাপতি মামুন, সেক্রেটারি রিসালাত
ডিবিসিসিআইয়ের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন মামুন(বায়ে), সেক্রেটারি ড. মুহম্মদ রিসালাত সিদ্দীক। ছবি: সংগৃহীত

ডাচ্-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিবিসিসিআই) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন ভাইয়া গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাখাওয়াত হোসেন মামুন এবং সেক্রেটারি নির্বাচিত হলেন দ্য ম্যান অব স্টীল অ্যানালাইজেন বাংলাদেশ লি. এর চেয়ারম্যান ড. মুহম্মদ রিসালাত সিদ্দীক।

এ ছাড়া মো. কাজী আফতাবুর রহমান সিনিয়র সহ-সভাপতি, মো. শহীদ আলম প্রথম সহ-সভাপতি, মেহরুন ইসলাম দ্বিতীয় সহ-সভাপতি, মো. হারুনুর রশিদ যুগ্ম সম্পাদক, সুমাইয়া নুর চৌধুরী অর্থবিষয়ক পরিচালক নির্বাচিত  হন। 

এ ছাড়া পরিচালক নির্বাচিত হন মো. সায়েম ফারুকী (দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সম্পাদক ও প্রকাশক এবং সায়েম ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী), মো. মাজহারুল হক চৌধুরী (চেয়ারম্যান হাভাস মিডিয়া গ্রুপ), নওফেল বিন রেজা, ইঞ্জিনিয়ার রাজিব হায়দার, মো. কাউসার হোসাইন, আব্দুল হাকিম (সুমন), শাহ মোহাম্মদ রাফাত আফসার এবং মো. খন্দকার ইমরানুর ইসলাম।

শাখাওয়াত হোসেন মামুন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিল্প গ্রুপ ‘ভাইয়া গ্রুপ অব ইন্ড্রাস্ট্রিজ এর ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বরত আছেন। তিনি ভাইয়া অ্যাপারেলস লি., ন্যাচারাল রাইস ব্রান ওয়েল লি., সিগমা সিস্টেমস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং প্যাসিফিক কনজুমার প্রোডাক্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে আছেন।

এ ছাড়াও তিনি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স, বেসিস, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন, চায়না বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স, বিজিএমইএ (বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারি অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন), বাপাসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের সদস্য এবং বিভিন্ন সময়ে বিভন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

শাখাওয়াত হোসেন মামুন বাংলাদেশের তরুণদের সর্ববৃহৎ সংগঠন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল এর ২০১৬ ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি জুনিয়র চেম্বারের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিজ্ঞপ্তি/নাবিল/

শিশু অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত হতে যাচ্ছে কিডস টাইম মেলা

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৪ পিএম
শিশু অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত হতে যাচ্ছে কিডস টাইম মেলা
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

শিশুদের ক্রিয়েটিভিটি উদযাপন করতে প্রতি বছরের মত এবারও আয়োজিত হতে যাচ্ছে কিডস টাইম মেলা।

আগামী ২৪-২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমি চত্বরে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা।

মেলায় শিশুদের অংশগ্রহণে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তিসহ থাকবে আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ আয়োজনে প্রায় ২৫ হাজার পরিবার অংশ নেবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

কিডস টাইমের প্রতিষ্ঠাতা তাহমিনা রহমান বলেন, এই ইভেন্টের লক্ষ্য হল ৩-১২ বছর বয়সী শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সুস্থতা নিয়ে কাজ করা, বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং উদ্যোগগুলিকে একসঙ্গে করা। তিনদিনব্যাপী এ কিডস টাইম মেলায় শিশুদের জন্য রয়েছে পাপেট শো, ম্যাজিক শো, ড্রইং, ক্রাফটিংসহ আরও অনেক ক্রিয়েটিভ অ্যাক্টিভিটি। পাশাপাশি পুষ্টি ও নিরাপদ খাবার নিয়ে বিশেষ খেলা এবং আকর্ষণীয় পুরস্কারও থাকছে।

এবার পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে কিডস টাইম মেলা। অভিভাবকরা চাইলে সরাসরি অনলাইন থেকে মেলার রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। পাশাপাশি শিশু অ্যাকাডেমিতে মেলার যেকোনো দিন যেতে পারবেন।

https://fair.kidstimebd.com এই লিংকে গিয়ে কিডস টাইম মেলা ২০২৫ এর রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

আগ্রহী স্কুল তাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসতে পারেন কিডস টাইম মেলায় । স্কুলের জন্য থাকছে সম্পুর্ণ ফ্রি এন্ট্রি। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড কিডস টাইম ফেয়ার ২০২৫ এর মিডিয়া পার্টনার।

বিজ্ঞপ্তি/মেহেদী/

জেসিআই ঢাকা নর্থের নতুন কমিটি

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০২ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম
জেসিআই ঢাকা নর্থের নতুন কমিটি
জেসিআই ঢাকা নর্থের ২০২৫ সালের নতুন কমিটি। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

জেসিআই ঢাকা নর্থের ২০২৫ সালের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গত ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জেসিআই ঢাকা নর্থের সাধারণ সভায় চলতি বছরের জন্য নতুন কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়।

এতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন সুমাইয়া হক।

এ ছাড়াও নতুন কমিটিতে ইভিপি মো. শফিউদ্দিন আলা রাজু, ভিপি নূর-ই-আশরাফী, ভিপি এসএম মহিউদ্দীন সেলিম, সেক্রেটারি জেনারেল জাকিয়া ফেরদৌস নন্দিতা, ট্রেজারার মো. নূর নবী মেহেদী, জিএলসি আসিফ মোহাম্মদ শাবাব, ট্রেনিং কমিশনার নাইমুল কাদের, স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট টু প্রেসিডেন্ট রাশাদ রিয়াজ ও জেসিআই ইন বিজনেস চেয়ারপারসন হয়েছেন শেখ আহমেদ সৌমিক।

লোকাল ডিরেক্টর হয়েছেন- ইরফানুর রহমান, ফারদিন আল গফুর, মো. আলীউর রহমান সোহান, মেহরাব মনসুর এবং ত্রিবেণী বিশ্বাস অ্যালিস।

এ ছাড়াও লোকাল কমিটি চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ফারজানা ইসলাম মৌরি, মো. রেজওয়ানুল হক জাহিন এবং নাঈম হোসেন মজুমদার।

অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টকে শপথ পাঠ করান বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মো. শাহরিয়ার হাসান জিসান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন- জেসিআই বাংলাদেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট কাজী ফাহাদ, জেসিআই ঢাকা নর্থের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, সদস্য ও অন্যান্য চ্যাপ্টারের বোর্ড মেম্বাররা।

জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) মূলত বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত ১৮ থেকে ৪০বছর বয়সী যুবকদের দ্বারা পরিচালিত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যার মূল লক্ষ্য রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সাংগঠনিক উপায়ে দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলা।

জেসিআই বাংলাদেশের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হল জেসিআই ঢাকা নর্থ। গত ২৫ বছর ধরে সংগঠনটি অত্যন্ত দৃঢ় পরিকল্পনার সঙ্গে সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।

নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বলেন, চলতি বছর ধারাবাহিকতার সঙ্গে আরও বিস্তৃত ও নতুন উদ্যমে সমাজ সেবামূলক কাজ সুযোগ করার পরিকল্পনা নিয়ে নতুন কমিটি যাত্রা শুরু করবে।

বিজ্ঞপ্তি/নাবিল/

নিরাপদ-মানসম্মত প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতে কাজ করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম
নিরাপদ-মানসম্মত প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতে কাজ করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

সবার জন্য নিরাপদ ও মানসম্মত প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতকরণে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সাভারে বিসিএস লাইভস্টক একাডেমিতে নবনিয়োগপ্রাপ্ত ৪৩তম বিসিএস (পশুসম্পদ) ও বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডার কর্মকর্তাদের অবহিতকরণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে সমৃদ্ধ। এখানে অনেক রিসোর্স আছে কিন্তু সমস্যা হলো মৎস্য ও প্রাণিখাতে অনেক প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। তাই বিলুপ্তি হওয়া ঠেকাতে নবীণ কর্মকর্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, খাদ্যের ক্ষেত্রে শুধু পুষ্টি হলেই চলবে না। তা নিরাপদ কিনা গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফিডের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ফিড নিরাপদ হলে মাছ-মাংস নিরাপদ হবে।

নবীন কর্মকর্তাদের সরকারি আইনের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কে জানতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয় কীটনাশক ও হার্বিসাইড ব্যবহারের ফলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে অনেক ক্ষতি করে যাচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএস লাইভস্টক একাডেমির পরিচালক  ডা. একেএম হুমায়ুন কবীর।

অনুষ্ঠানে ৪৩তম বিসিএস (পশুসম্পদ) ও বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডার কর্মকর্তাদের অবহিতকরণ কোর্সে বিসিএস পশুসম্পদ ক্যাডারের ৯৫ জন এবং বিসিএস মৎস্য ক্যাডারের ৩৮ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

বিজ্ঞপ্তি/নাবিল/