
শিক্ষার পরিপূর্ণতা লাভ করতে হলে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে এবং কম্পিউটার এপ্লিকেশন ভাল জানতে হবে। কারণ ইংরেজি হল আন্তর্জাতিক ভাষা আর কম্পিউটারের মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে যোগ্যতা বাড়ানো সম্ভব।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর পিএসসি কনভেনশন হলে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অষ্টম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ২৭৯১ জন গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, তোমরা এখন নতুন জগতে ঢুকতে যাবে, চাকরি করবে দেশে বিদেশে অথবা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে কিন্তু তা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে করার চেষ্টা করবে। কেননা সততা ও নিষ্ঠা থাকলে সফল হওয়া সম্ভব।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর নিয়াজ আহমেদ খান পিএইচডি। তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় হতে যে শিক্ষা অর্জন করি তা আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে। এটি যেমন আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তন করে, জীবনকে অর্থপূর্ণ ও দায়িত্বশীল করে তোলে তেমনি গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দ্বারা সমাজের নানাবিধ সমস্যার সমমাধানের পথ দেখায়। তাই উচ্চশিক্ষা যে কোন জাতির জন্য অপরিহার্য।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন দেশে ১৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশকৃত শিক্ষার্থীরা সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছে। তবে আত্নসামাজিক ও পরিবেশ অবনতিতে তেমন কোন টেকশই ভূমিকা রাখতে পারছে না।
সমাবর্তনে আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, উপাচার্য প্রফেসর ড. গণেশ চন্দ্র সাহা, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. মুহাম্মদ শহীদুল কাদির পাটোয়ারী, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য অ্যাডভোকেট শাহেদ কামাল পাটোয়ারী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. জাহিদুল ইসলাম।
সমাবর্তনে ৪ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড, ১০ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড এবং ১৩ জনকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি/এমএ/