
বাংলাদেশের মৎস্য খাতের উন্নয়ন ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তরের সার্বিক সহায়তায় ও বিজম্যান মিডিয়া লিমিটেডের আয়োজনে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফিশারিজ এন্টারপ্রেনার সামিট ২০২৫।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারী এই দিনব্যাপী সম্মেলন প্রথম বারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে অনুষ্ঠান চলবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।
এ উপলক্ষ্যে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মৎস্য অধিদপ্তররে মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘মৎস্য খাত বাংলাদেশের অর্থনীতিরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মূদ্রা আয়ে এই খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তাই দেশের মৎস্য খাতকে আরও আধুনিক, টেকসই ও লাভজনক করার লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি মৎস্য খাত, নতুন প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন, বাণিজ্যিক সক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়, ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন, গবেষক, বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী, পরামর্শদাতা, উদ্যোক্তাসহ মৎস্য খাতের বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষের পদচারণায় মুখর থাকবে এই সামিট।’
সামিটে বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় মৎস্য শিল্পের ভবিষ্যৎ, প্যানেল আলোচনা, উদ্যোক্তা, সরকারি কর্মকর্তা ও বিনিয়োগকারীদের অভিজ্ঞতা বিনিময়, বিজনেস নেটওয়ার্কিং সেশন, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বিনিয়োগ ও পার্টনারশিপের সুযোগ, প্রদর্শনী স্টল, নতুন প্রযুক্তি ও ফিশ প্রসেসিং সম্পর্কে ধারনা প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।
সম্মেলনে নতুন ও সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাগণ শিল্প বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা পেয়ে উৎসাহিত হবেন।
এ ছাড়া স্টার্টআপগুলোর জন্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ, সরকারি-বেসরকারি সহায়তা ও প্রণোদনা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা, উদ্যোক্তাগণ আধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক মডেল সম্পর্কে ধারণা, সফল উদ্যোক্তাদের সাফল্যের গল্প শোনার সুযোগ থাকবে।
সামিটের উদ্দেশ মৎস্য খাতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার ও উন্নয়ন নিশ্চিতকরন, উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান, উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রয়োজনীয় কলাকৌশল ও জ্ঞান প্রদান করে কার্যকর সংযোগ তৈরি, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মৎস্য খাতের অবদান বৃদ্ধি করা, জানান সংশ্লিষ্টজনেরা।
‘ফিশারিজ এন্টারপ্রেনার সামিট ২০২৫ শুধু একটি ইভেন্ট নয়-এটি বাংলাদেশের মৎস্য খাতের ভবিষ্যতকে নতুন করে সাজানোর একটি উদ্যোগ ও তরুণ উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে মৎস্য শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের জন্য এক অভাবনীয় সুযোগ। উদ্ভাবন, টেকসই উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে এই সামিটটি মৎস্য খাতের উন্নয়নে মাইলফলক হয়ে থাকবে।’ , আশা মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফের।
সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন অন্তর্ব্ররতী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। কি-নোট আলোচক হিসাবে থাকবেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহের মৎস্য অনুষদের প্রাক্তন ডীন ড. এ. কে. এম নওশাদ আলম।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সাইন্স বিভাগের ডিন ড. কাজী আহসান হাবিব, বিজম্যান মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসানসহ অনেকেই।