![তিস্তা-দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার ওপরে, বন্যার শঙ্কা](uploads/2024/06/19/Kurigram_Bonna-1718795004.jpg)
বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি। এ ছাড়া কুড়িগ্রামের অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে শঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্ককরণ কেন্দ্র। নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কিছু এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
পাউবোর তথ্য বলছে, মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৬টায় দুধকুমারের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। একই সময়ে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে বেড়েছে ৩৮ সেন্টিমিটার পানি। এ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমার নিচে থাকলেও ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার ও ধরলার সেতু পয়েন্টে ওই সময়ের মধ্যে ৪৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
বিভিন্ন এলাকায় চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় বিস্তীর্ণ এলাকা। বেশকিছু সবজিখেত ও বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
নদীপাড়ের বাসিন্দারা বলছেন, যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে অল্প সময়ের ভেতর ঘরে পানি ঢুকতে পারে। এতে ভোগান্তিতে পড়বে মানুষ। তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙন বেড়েছে বেশকিছু এলাকায়।
তিস্তার স্রোতে রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে দুধকুমারে ভাঙছে চরভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরীর রায়গঞ্জ, বামনডাঙ্গা, বল্লভেরখাসসহ একাধিক ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকা। রৌমারী উপজেলার হবিগঞ্জ বাজার, সোনাপুর, ফলুয়ারচর ঘাট, রাজীবপুরের কোদালকাটিতেও তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে সোনাপুরে ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে। এদিকে ভাঙনপ্রবণ সাতটি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ভাঙনরোধে একটিতে জরুরি কাজ চলছে।’ ভাঙনপ্রবণ অন্য এলাকাগুলোতে কাজ করা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। ত্রাণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যাকবলিতদের উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গোলাম মওলা/সালমান/