![মৌলভীবাজারে কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি](uploads/2024/07/04/Moulobhibazar-water-1720071206.jpg)
গত ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজারে ভারী বর্ষণ ও উজানে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় জেলার কমেছে নদ-নদীর পানি। সেই সঙ্গে নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। এতে জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৩ জুলাই) উজানে ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে জেলার মনু, ধলই ও জুড়ী নদীর পানিসহ কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে পানি কমতে শুরু হয়েছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৯টায় মনুনদের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার, জুড়ী নদীতে ১৮৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ধলাই নদী রেলওয়ে ব্রিজে পানি ২৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মৌলভীবাজারে বৃষ্টি হয়নি। তাই জেলার মনু, ধলই ও জুড়ী নদীর পানিসহ কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে পানি প্রবাহ কমেছে। নতুন করে কোন এলাকা প্লাবিত হয়নি। এতে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।
সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের শিমুলতলা এলাকার রিকশাচালক আব্দুল মজিদ বলেন, মনু নদীর পানি কমেছে। এভাবে কমতে থাকলে আমাদের আর কোন ভয় নেই।
সদর উপজেলার হামরকোনা গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি কমে যাওয়ায় কুশিয়ারা নদীর পানি অনেকটা কমে গেছে। বন্যার আশঙ্কা কেটে গেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার চৈত্রঘাট এলাকার ব্যবসায়ী জমির আলী বলেন, বুধবার ভোর পর্যন্ত পানি বাড়লেও সারাদিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ধলই নদীর পানি কমেছে। এতে আমাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল জানান, যদি ভারী বর্ষণ না হয় তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি হবে। পাশাপাশি জেলার নদ-নদীর পানিপ্রবাহের দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
পুলক পুরকায়স্থ/সাদিয়া নাহার/অমিয়/