![ফেনীতে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি](uploads/2024/07/04/Feni-1720078178.jpg)
ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নামতে শুরু করলেও বেড়িবাঁধের ভাঙা স্থান দিয়ে প্রবেশ করা পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
এ ছাড়া গত দুদিনে মুহুরী-সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ আট জায়গায় ভেঙেছে। সিলোনিয়া নদীতে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় দুই উপজেলার অন্তত ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি। বসতবাড়ি থেকে পানি নামলেও তলিয়ে আছে ফসলি জমিসহ রাস্তাঘাট।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম খবরের কাগজকে বলেন, বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে নতুন করে আর বাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া পানি কমলে ভাঙন মেরামতের কাজ শুরু হবে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া জানান, ১৮টি গ্রামের ১ হাজার ৪০০ পরিবারের মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। ঘর থেকে পানি নামলেও কৃষিজমি ও রাস্তাতে পানি রয়েছে। পানি নিচের দিকে গড়াচ্ছে, ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এসব পানিবন্দি মানুষের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ টন চাল ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমনের বীজতলা, সবজি ও পুকুরের মাছ। পানিতে আমনের বীজতলা নিমজ্জিত হয়েছে সাড়ে ১৬ হেক্টর। সবজিখেত নিমজ্জিত হয়েছে সাড়ে ৭ হেক্টর।
মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, দুই উপজেলায় ৭০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
সোমবার (১ জুলাই) রাতে ফেনীর মুহুরী ও কহুয়া নদীর আট জায়গায় ভেঙে পরশুরাম ও ফুলগাজীর ২৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়।
তোফায়েল/ইসরাত চৈতী/অমিয়/