![সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপরে](uploads/2024/07/04/sirajganj-1720081826.jpg)
সিরাজগঞ্জে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল এবং ভারী বৃষ্টিপাতে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি। সেই সঙ্গে বাড়ছে করতোয়া ও হুরাসাগরসহ অভ্যন্তরীণ নদনদীর পানিও।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৫১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার।
যমুনার পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
পানি দ্রুত বাড়তে থাকায় চরাঞ্চলের গ্রামগুলোর ফসলি জমি প্লাবিত হতে শুরু করেছে। ফলে তারা বন্যাকবলিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন।
এ ছাড়া পানির তীব্র স্রোতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ও কৈজুরী ইউনিয়নে নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
ইতোমধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে শতাধিক বাড়িঘর, ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা। এতে নির্ঘুম রাত কাটছে নদীতীরের মানুষের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আখতারুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, ‘জেলার পাঁচ উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। আমরা বন্যাকবলিতদের জন্য ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকা, ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫০০ বান্ডিল ঢেউটিন মজুদ রেখেছি। বন্যা শুরু হলে সেগুলো বিতরণ করা হবে।’
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর খবরের কাগজকে বলেন, ‘যমুনা নদীতে পানি বাড়ায় অভ্যন্তরীণ নদনদী ও খালবিলের পানিও বাড়ছে। ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ৪০৮ হেক্টর জমির রোপা আমন, পাট, তিল, মরিচ, বাদাম, বোনা আমন, শাকসবজি, বীজতলায় পানিতে উঠতে শুরু করেছে। পানি বাড়ার গতি অব্যাহত থাকলে কৃষকরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আরও কয়েকদিন যমুনা নদীর পানি বাড়বে। এতে ছোট থেকে মাঝারি বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। ভাঙন রোঁধে ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও-টিউব ফেলা হচ্ছে।’
শিশির/পপি/অমিয়/