চট্টগ্রামের লোহাগড়া থানার বড়হাতিয়া এলাকার প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্বামীর বড় দুই ভাই ও তাদের পরিবাবার মিলে বেধব মারধর করে হাত ভেঙে দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় অপর ভাইয়ের পরিবারকে। দুই সন্তান নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার চট্টগ্রাম শহরের আত্নীয়ের বাসায় রয়েছেন। ভয়ে তিনি নিজ বাড়িতে যাচ্ছেন না, চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে তিনি। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৩ জুলাই এ ঘটনার পর লোহাগাড়া থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ফেরদৌসী বেগম (৩৩)। মামলায় মোহাম্মদ হারুন (৫৬), মোহাম্মদ আকতার (৫১) শাহিনা আক্তার রুবি (৪২), রুবি আক্তার (৪৯) আসামি করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই এলাকার প্রবাসী মোহাম্মদ আজমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম (৩৩) বসত ঘরে ছাদে পানি জমাকে কেন্দ্র করে ভাসুরের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ের তাকে পিটিয়ে জখম করেন। বেধব মারধরের কারণে ফেরদৌসী বেগমের বাম হাতের কব্জির হাড় ভেঙে যায়। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেওয়ার পর আসামিদের ভয়ে আর বাড়ি যাচ্ছেন না।
ফেরদৌসী বেগমের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে আফিফা জান্নাত (১৩) ও মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া নাজিফা বিনতে আজমকে (৬) নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরের আত্নীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছেন। প্রবাসি আজম বিদেশে থাকায় তার দুই ভাই আসামি হারুন ও আকতার পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল করার জন্য আজমের পরিবারকে বাড়িভিটে ছাড়া করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বড়হাতিয়া এলাকার আজিজ ডাক্তার পাড়ার সর্দার মোহাম্মদ বাদশা বলেন, আজমের বউ ফেরদৌসীকে আসামিরা আমার সামনেই বেধব মারধর করেন। আমি তাদের ক্ষান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। তারা আমার গায়েও হাত তুলে। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
ফেরদৌসী বেগম খবরের কাগজকে বলেন, আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিল আসামিরা। আমার চিৎকার শুনে পাড়ার সর্দারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। তারা আমাকে ও আমার সন্তানদের বাড়িভিটে ছাড়া করতে চাইছে। আমি এর বিচার চাই। তাদের ভয়ে আমি বাড়িতে যেতে পারিছি না। দুই সন্তানকে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি বাড়ি গেলে আমার সন্তান ও আমার উপর আবার আঘাত করবে আসামিরা। বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকি দিচ্ছে আসামিরা।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাশেদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, বাড়ির ছাদে পানি প্রবাহকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ের বাদির উপর আক্রমণ করে আসামিরা। ফেরদৌসী বেগমের দায়ের করা মামলায় একজন আমাসিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরার জন্য প্রচেষ্টা আছে।
আবদুস সাত্তার/এমএ/