গত ২৪ ঘন্টায় টাঙ্গাইলে ঝিনাই এবং ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি সামান্য কমলেও অন্য সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এ কারণে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কোথাও অপরিবর্তিত, কোথাও আবার অবনতি হয়েছে।
সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টায় টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেওয়া তথ্যমতে, ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার কয়েকটি উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদের বাড়ি-ঘর, হাট-বাজার, ফসলি জমিসহ অন্যান্য স্থাপনা এখনও বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। দুর্গম চরাঞ্চলে পানিবন্ধী হয়ে আছে হাজার হাজার মানুষ।
এ ছাড়াও ফটিকজানি নদীর পানি নলচাপা ব্রীজ পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার, বংশাই নদীর পানি কাউলজানী পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার, মির্জাপুর পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার এবং মধুপুর পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভূঞাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সহযোগিতা করেছি। আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
জুয়েল রানা/সাদিয়া নাহার/অমিয়/