মাদারীপুরে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদ করিমকে ভোলার দৌলতখান উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোসাম্মৎ রোখসানা হায়দারের স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৪ জুলাই) বর্তমান কর্মস্থল থেকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।
মাসুদ করিমের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১ জন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এ ছাড়াও তার বদলির জন্য সরাসরি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান।
সাধারণ শিক্ষকদের অভিযোগে বলা হয়, শিক্ষা কর্মকর্তা অফিসে কাজের বিনিময়ে অন্যান্য শিক্ষকের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, অফিস ফাঁকি দিয়ে নেশায় আসক্ত হন, ঘুষের টাকায় অফিসে এসি লাগানো, অবৈধভাবে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে যাতায়াতসহ একাধিক অভিযোগ তোলা হয়। যা সরকারি নিয়ম পরিপন্থি কাজের সামিল।
বিষয়টি আমলে নিয়ে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। পরে ৬ মার্চ অভিযোগ দাখিলকারী ১১ জন শিক্ষকের সাক্ষ্য নেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘মাসুদ করিম কর্তৃক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক লাঞ্ছিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি একজন অসৎ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার দুর্নীতির তদন্ত হয়েছে। অসৎ উপায় অবলম্বন করে তিনি সব কিছু ম্যানেজ করে চাকরি করে গেছেন। তার বদলির খবরে সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণও করা হয়েছে।'
অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ করিম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে করা একটি অভিযোগও সত্য নয়। শিক্ষকরা আমার অফিসে সিন্ডিকেট ও তদবির বাণিজ্য করতে না পারায় এ ধরণের ভিত্তিহীন অভিযোগ দিচ্ছে। আর বদলির বিষয়টি চাকরির নিয়মিত প্রক্রিয়া।’
রফিকুল ইসলাম/জোবাইদা/অমিয়/