দেশব্যাপী কারফিউর পর গতকাল বুধবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে মেহেরপুরের জনজীবন। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলায় কারফিউ শিথিল করেছে জেলা প্রশাসন। এর ফলে স্বল্প পরিমাণে ছেড়ে গেছে দূরপাল্লার বাস। জেলার পরিস্থিতিও অনেকটাই স্বাভাবিক।
ভোর থেকেই দূরপাল্লার কয়েকটি পরিবহন জেলা থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। খুলেছে শহরের বেশ কিছু দোকানপাট। সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে। প্রয়োজনীয় কাজ শেষে আবার বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।
শহরে পূর্বাশা টিকিট কাউন্টারের মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন সবুজ বলেন, ‘কারফিউর কারণে বেশ কয়েক দিন দূরপাল্লার কোনো বাস কাউন্টার থেকে ছাড়তে পারেনি। ভোর থেকে জেলার সব কাউন্টার থেকে দু-একটি করে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গেছে। সন্ধ্যার পর থেকে সব বাসই ছেড়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারফিউর সময় শ্রমিকরা বেকার সময় পার করেছেন। অভাব-অনটনের মধ্যে তারা দিন যাপন করেছেন। বাস চলাচলের খবরে যাত্রীরাও খুশি, তারাও খুশি।’ জেলা থেকে প্রতিদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ফরিদপুর, খুলনার উদ্দেশে বাস ছেড়ে যায় বলে জানান তিনি।
এদিকে কারফিউ শিথিল হলেও সকাল থেকেই সেনাবাহিনী ও বিজিবির বেশ কয়েকটি দলকে জেলাজুড়ে টহল দিতে দেখা গেছে। পাশাপাশি এখনো শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সন্দেহভাজন কাউকে দেখামাত্রই তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা ডালিম সানোয়ার বলেন, ‘গত কয়েক দিন কারফিউর কারণে রাস্তায় নামতেই ভয় পাচ্ছিলাম। এখন স্বস্তিতে বাজারে আসতে পারছি। কেনাকাটা করে বাড়িতে ফিরছি।’ তবে বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম অনেক বেড়ে গেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
জেলা প্রশাসক শামিম হাসান বলেন, ‘মেহেরপুর শুরু থেকেই শান্ত ছিল। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এই জেলায় ঘটেনি। কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার কারফিউ আরও বেশি সময় ধরে শিথিল করা হবে। সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।’