চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় আবারও বাকপ্রতিবন্ধী ও মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণীকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার বাজালিয়া হলুদিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
একই বাজারে সাত মাস আগেও এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে (৩৫) ধর্ষণ করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এ ঘটনায় চারদিন আগে অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
অপরদিকে সাত মাসের ব্যবধানে দুইজন মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এমন ঘটনায় দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান অনেকে।
এই তরুণীকে ধর্ষণে দুই যুবককে অভিযুক্ত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাসের কাছে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মুন্না বড়ুয়া।
তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ইউএনওর কাছে দেওয়া অভিযোগের একটি অনুলিপি আমরা থানায় জমা দিয়েছি। এখনও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
অভিযুক্তরা হলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলার সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাইচতলী এলাকার বাসিন্দা মো. জসীম উদ্দিন (৩৫) ও সাতকানিয়ার বাজালিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বড়দুয়ারা এলাকার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন (৩০)। এদের মধ্যে জসিম উদ্দিন অটোরিকশা চালক। আর শাহাবুদ্দিন হলুদিয়া বাজারে তার বাবার সঙ্গে দোকানের কাজে সহযোগিতা করেন।
ইউএনও মিল্টন বিশ্বাস তার কাছে অভিযোগ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এই অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমরান বলেন, আমি এ থানায় নতুন যোগদান করেছি। অভিযোগকারীর সঙ্গে মুঠোফোনে আমার যোগাযোগ হয়েছে। তবে এখনও যেতে পারিনি।
তদন্তে দেরি হলে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সদুত্তর দেননি।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই, এই প্রথম আপনার কাছ থেকে শুনলাম। প্রতিটি অভিযোগের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে খতিয়ে দেখতে থানার অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া আছে। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।
এস এম ইফতেখারুল/জোবাইদা/