বান্দরবানে কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পাহার ধস ও বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখনো পানিবন্দি নিম্নাঞ্চলের কয়েকশ পরিবার।
শুক্রবার (২ আগস্ট) রাত থেকে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় নামতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি।
তবে এখনো রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ কালভার্ট পানিতে তলিয়ে থাকায় নৌকায় পারাপার করতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের।
তবে জেলা সদরের সঙ্গে সবকটি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, শুক্রবার ২৪ ঘন্টায় জেলায় ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এদিকে, টানা বৃষ্টিপাতে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের আশঙ্কা। আতঙ্কে রয়েছেন শহরের টাংকি পাহাড়, বালাঘাটা, কালাঘাটা, ইসলামপুর, হাফেজঘোনা, বনরুপা পাড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লক্ষাধিক মানুষ।
বান্দরাবনের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীন খবরের কাগজকে বলেন, ‘পাহাড়ে ঝুকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় ২১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’
বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু, মাতামুহুরী, ও নাফ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বান্দরবান সদর, রুমা, থানচি, লামা-আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে কয়েকশ পরিবার।
রাহাত রিজভী/ইসরাত চৈতী/অমিয়/