ঢাকা ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে বিক্ষোভ, গোয়েন্দা পুলিশকে মারধর

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম
ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে বিক্ষোভ, গোয়েন্দা পুলিশকে মারধর
ছবি: খবরের কাগজ

'সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ গণমিছিলে হামলা ও খুনের প্রতিবাদ এবং ৯ দফা' দাবিতে শনিবার সকাল থেকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলন চলাকালে শনিবার (৩ আগস্ট) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রধান ফটকের সামনে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা সদস্য (সিটিএসবি) সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে মাথা ফাঁটিয়ে দিয়েছে তারা। এছাড়া, নগরীর রেলগেট এলাকায় অর্নব নামে এক যুবককে মারধরসহ আওয়ামী লীগের একটি পার্টি অফিস ও কয়েকটি পুলিশ বক্সও ভাঙচুর করা হয়েছে। আহতরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এসব ঘটনায় রাজশাহীজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

জানা যায়, শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি তালাইমারী ও কাজলা ঘুরে রাবির প্রধান ফটকের সামনে এসে সমাবেশ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এই কর্মসূচিতে রাবি, রুয়েট ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এছাড়া, রাবি ও রুয়েটের শিক্ষকরাও একাত্মতা পোষণ করে যোগ দেন।

এসময় রাবির প্রধান ফটকের সামনে সাদা পোশাকে থাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা সদস্য (সিটিএসবি) সাইফুল ইসলাম আন্দোলনের অবস্থা দেখছিলেন। হঠাৎ করে আন্দোলনকারীদের কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরে মারধর করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তার মাথা ফেঁটে গেলে কয়েকজন সাংবাদিক তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর আগে, আন্দোলনকারীরা সাইফুল ইসলামের মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর করেন। এ সময় পুলিশের অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছিলেন না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাবির প্রধান ফটকে সমাবেশ শেষে আবারও বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) ভবনের দিকে আসতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। এসময় তারা রাবি ও রুয়েটের মাঝামাঝি অক্টয় মোড় এলাকায় আওয়ামী লীগের একটি পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়। এছাড়া, নগরীর রেলগেট এলাকায় পুলিশ বক্সও ভাঙচুর করে। পাশাপাশি সেখানে অর্ণব নামে এক যুবককে মারধর করেন আন্দোলনকারীরা।  
 
আন্দোলনরত রাবি শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ বলেন, ন্যায্য অধিকারের আন্দোলনে জীবন দেওয়া আমাদের ভাইগুলোর রক্তের দাগ বাংলার জমিনে এখনো শুকায়নি। কী দোষ ছিল তাদের। তারা সংবিধান অনুযায়ী তাদের অধিকারের কথা বলেছিল। আজ আমাদের আন্দোলনের দাবি একটা, স্বৈরাচার সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আবু সাঈদের মতো জীবন দিতে আজকে মাঠে নেমেছি। হয় জীবন দিবো না হয় স্বৈরাচার সরকারের পদত্যাগ করে মাঠ ছাড়বো।

রুয়েট শিক্ষার্থী তানভির হাসান বলেন, সারাদেশের সঙ্গে সমন্বয় করে আজ আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছি। এখানে আমাদের একটাই দাবি স্বৈরাচার সরকারের পদত্যাগ। সরকারের পদত্যাগ ছাড়া শিক্ষার্থী সমাজ আর ঘরে ফিরবে না। এ আন্দোলন আর কোটা আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নাই। পুলিশ প্রশাসন আমাদের ভাইদের ওপর গুলিয়ে চালিয়েছে, তাদেরকে বলবো এখন সাবধান হোন। আপনাদেরও ছেলে-মেয়ে আছে, তাদের দিকে তাকান।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেওয়া রাবির কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. ফজলুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আমরা তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছি। আর কত ঘরে বসে আমার ছেলেদের রক্ত দেখবো। শিক্ষার্থীদের গায়ে গুলি করতে স্বৈরাচার সরকারের কি একটুও বুক কাঁপেনি? আজ থেকে এ আন্দোলনে গুলি চালালে সেই গুলি আগে শিক্ষকদের গায়ে লাগবে, তারপর আমাদের ছাত্রদের। শিক্ষার্থীদের আর কোনো ভয় পাওয়ার কারণ নেই, তাদের পিতৃতুল্য শিক্ষকরা আজ থেকে তাদের সামনে থাকবেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে আমরা একাত্মতা পোষণ করছি এবং তাদেরকে সুরক্ষা দিতে সবসময় তাদের সঙ্গেই আমরা আছি।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের কর্মসূচিকে ঘিরে শনিবার সকাল থেকেই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও। সতর্ক অবস্থানে আছেন পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাব।

রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোবারক পারভেজ জানান, আন্দোলনরতরা সকাল থেকে বিক্ষোভ করলেও পরিস্থিতি এখনও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। তালাইমারিতে অবরোধ করলেও বিভিন্ন যানবাহন পাশের বিকল্প সড়ক ব্যবহার করছে। রাবি ও রুয়েটসহ আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কেউ জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির চেষ্টা করলে পুলিশ তা প্রতিরোধ করবে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম নামের সিটিএসবির একজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি পুলিশ বক্সে হামলা চালানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণেই আছে।

এনায়েত করিম/এমএ/

আরব আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১২ বাংলাদেশি ফিরলেন চট্টগ্রামে

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ এএম
আরব আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১২ বাংলাদেশি ফিরলেন চট্টগ্রামে
আরব আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১২ বাংলাদেশি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। ছবি : খবরের কাগজ

আরব আমিরাতে ক্ষমাপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশির মধ্যে ১৪ জন দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে ১২ জন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন। বাকিরা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম খলিল খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে শাস্তি পাওয়া ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছে দেশটির সরকার। ক্ষমা পাওয়াদের ১২ জন শনিবার রাতে এয়ার আরাবিয়ার দুটি ভিন্ন ফ্লাইটে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন।’ 

জানা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে এসেছেন একজন। তাকে বহনকারী এয়ার আরাবিয়ার ফ্লাইটটি রাত ৮টা ১০ মিনিটে শাহ আমানতে অবতরণ করে। অপরদিকে রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে এয়ার আরাবিয়ার আরেকটি ফ্লাইটে আবুধাবি থেকে চট্টগ্রামে আসেন ১১ জন।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন দেশটির আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৫৭ জন বাংলাদেশিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বিশেষ ক্ষমা করেন। 

তারেক মাহমুদ/সালমান/

কুমিল্লার ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উন্মোচন, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২২ পিএম
কুমিল্লার ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উন্মোচন, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
অভিযুক্ত আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি : খবরের কাগজ

কুমিল্লার হোমনায় ঘরের ভেতর থেকে মা-ছেলেসহ তিনজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। আলোচিত এই ট্রিপল মার্ডারের একমাত্র অভিযুক্ত আক্তার হোসেনকে (২৭) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আক্তার হোসেন শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহ পরাণের ঘরের ভেতর থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় তিনজনকে হত্যা করে লাশ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়।

নিহতরা হলেন, বড় ঘাগুটিয়া এলাকার মো. শাহ পরাণের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।

হত্যাকাণ্ডের পর বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আক্তারকে আদালতে তোলা হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে হোমনা থানা ওসি জয়নাল আবেদীন জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছেন আক্তার হোসেন।

তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ঘাতক আক্তার।’

গ্রেপ্তার আক্তারের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসি জানান, নিহত মাহমুদার সঙ্গে আক্তার হোসেনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের সুবাদে প্রেমিকের কাছ থেকে মাহমুদা ৪০ হাজার টাকা ধার নেন। সেই টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে আক্তারের সঙ্গে মাহমুদার কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেন মাহমুদা, আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা। খাওয়া শেষে তিশা ও সাহাত ঘুমিয়ে গেলে গভীর রাতে ঝগড়া বাধে মাহমুদা ও আক্তারের মধ্যে। ঝগড়ার একপর্যায়ে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। পরে আক্তারকে খুনি হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে, এই ভয়ে সাক্ষী না রাখার কথা ভেবে তিশা ও সাহাতকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে সে। পরে লাশ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যায় আক্তার।

ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে আ.লীগ নেতা আটক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে আ.লীগ নেতা আটক
আটক আওয়ামী লীগ নেতা কামাল আহমদ

পালিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে ধরা পড়েছেন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর জৈন্তাপুরের গোয়াবাড়ি সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিজিবির জৈন্তাপুর বিওপির টহল দল তাকে আটক করে। সীমান্তের ওই এলাকাটি ১৯ বিজিবির অধীন। রাতে যোগাযোগ করলে ১৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল খোন্দকার মো. আসাদুন্নবী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজিবি সূত্র জানায়, সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে কামাল আহমদকে আটক করা হয়েছে। বিজিবির হাতে ধরা পড়ার পর তিনি পালিয়ে ভারত যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা দিয়ে জৈন্তাপুর থানার পুলিশে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

কামাল আহমদ জৈন্তপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পাশাপাশি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। তিনি ২০১৯ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সীমান্ত এলাকার চোরাচালান, পাথর কোয়ারিতে লুটপাটসহ বিভিন্ন অপরাধে তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ছিল। সরকার পতনের পর তিনি জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। তবে তিনি কোথায় ছিলেন, এ বিষয়ে কেউ কিছু জানত না।

গাজীপুরে শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা মামলায় কনস্টেবল গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
গাজীপুরে শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা মামলায় কনস্টেবল গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার কনস্টেবল মো. আকরাম হোসেন

গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কলেজছাত্রকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জের পারাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার সুবীর কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ আগস্ট কোনাবাড়ী থানার পাশে গুলি করে কলেজছাত্র মো. হৃদয়কে (২০) হত্যা করা হয়। নিহত হৃদয় টাঙ্গাইলের গোপালপুরের আলমনগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি হেমনগর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ালেখার পাশাপাশি কোনাবাড়ী এলাকায় বসবাস করে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গ্রেপ্তারকৃত ওই কনস্টেবলের নাম মো. আকরাম হোসেন (২২)। তিনি গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী সড়কের কোনাবাড়ী এলাকায় গত ৫ আগস্ট মো. হৃদয় (২০) বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে হৃদয় রাস্তার পাশে অবস্থান নেন। ওই সময় শিল্প পুলিশে কর্মরত কিছু পুলিশ সদস্য কোনাবাড়ী এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় তারা হৃদয়কে রাস্তার পাশ থেকে ধরে নিয়ে চড়থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল আকরাম অতি উৎসাহী হয়ে তাকে পেছন দিক থেকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই হৃদয়ের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে কিশোরগঞ্জের পারাইল এলাকা থেকে আকরামকে গ্রেপ্তার করে। 

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার সুবীর কুমার সাহা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যে তদন্ত করা হয়েছে, সেখানে কনস্টেবল আকরামের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার ভোররাতে তাকে কিশোরগঞ্জ থেকে আটক করে আজ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতে তোলা হয়। আদালত সোমবার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’ ওই ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে বলে তিনি জানান।

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ২ বিদেশি জাহাজের সংঘর্ষ

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ পিএম
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ২ বিদেশি জাহাজের সংঘর্ষ
চট্টগ্রাম বন্দর (ফাইল ছবি)

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে দুটি বিদেশি জাহাজের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সারবাহী জাহাজের আঘাতে ডালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টার দিকে বন্দরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই জাহাজের প্রপেলার আটকে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আটকে যাওয়া প্রপেলার মুক্ত করার পর জাহাজ দুটি নিরাপদ দূরত্বে নোঙর করেছে। 

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বেলা ২টায় লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি ফ্রেন্ডলি আইল্যান্ড’ আগে থেকেই আলফা অ্যাংকরজে অবস্থান নিয়ে মসুর ডাল খালাস করছিল। আর ড্যাপ সার বহনকারী পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি নাভিওস সেলেসটিলা’র অবস্থান ছিল কুতুবদিয়ার কাছাকাছি। দুপুরে হঠাৎ করে নাভিওস সেলেসটিলা ছুটে এসে ফ্রেন্ডলি আইল্যান্ডকে ধাক্কা দেয়। এ সময় দুটি জাহাজের প্রপেলার পরস্পরের সঙ্গে আটকে যায়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘জাহাজ দুটির প্রপেলার আটকে যাওয়ার পর উভয় জাহাজের ক্যাপ্টেনদের সহায়তায় জাহাজ দুটি মুক্ত হয়। বর্তমানে দুটি জাহাজই পৃথক স্থানে নোঙর করা আছে।’ 

জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া থেকে ২৭ হাজার ২১০ টন মসুর ডাল নিয়ে গত ১৪ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরে আসে এমভি ফ্রেন্ডলি আইল্যান্ড। সে সময় থেকে ডাল খালাস করছে জাহাজটি। আর শনিবার ৪৩ হাজার ৭৫৫ টন সার নিয়ে চট্টগ্রামে আসে সার বহনকরী পানামার পতাকাবাহী এমভি নাভিওস সেলেসটিলা জাহাজ।