সিলেটের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকা নগরীর কেন্দ্রস্থল। চৌহাট্টা থেকে জিন্দাবাজার সড়কের একাংশে পড়েছে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘গণজাগরণমঞ্চ’ যেভাবে অবস্থান নিয়েছিল, চৌহাট্টা থেকে জিন্দাবাজার পর্যন্ত ঠিক একই রূপে শনিবার সকাল থেকে দেখা গেছে সিলেটের এই কেন্দ্রস্থলকে। ছাত্র-জনতার অবস্থান বৃষ্টি উপেক্ষা করেও চলছে। ছাত্র-জনতার অবস্থান ঘিরে পুরো নগরীজুড়ে কঠোর নজরদারির মধ্যে রয়েছে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান রয়েছে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা। ‘সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে’ তারা এ কর্মসূচি পালন করছে। দুপুর ১টা থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও চৌহাট্টায় জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অনেক অভিভাবকও। বিকাল সাড়ে ৩টায় তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে কয়েক হাজার ছাত্র-জনতা চৌহাট্টায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন ও নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
এদিকে, বিক্ষোভ পরিস্থিতিতে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। নগরীর মদিনা মার্কেট, তেলিহাওর এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের ব্যানারে মিছিল হয়েছে। তবে এসব মিছিল চৌহাট্টা এলাকায় যায়নি।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রস্থলের বিক্ষোভ উত্তাল পরিস্থিতিতে চৌহাট্টা ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজরদারির মধ্যে রেখেছে। এসএমপির মিডিয়া সেল থেকে বলা হয়, নগরীর আম্বরখানা থেকে বন্দরবাজার ও জিন্দাবাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। সব ধরনের অনাকাঙ্খিত বা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ঠেকাতে তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
একটানা প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে রাখায় বন্দরবাজার-আম্বরখানা সড়ক ও রিকাবীবাজার-নয়াসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে কিছুটা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এসব সড়কে চলাচলকারীরা। পুলিশ আন্দোলনকারীদের বার বার সড়ক থেকে সরে যেতে আহ্বান জানাচ্ছে। তবে পুলিশ কোনো অ্যাকশনে যায়নি।