ঢাকা ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন, ৫৯ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪০ এএম
ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন, ৫৯ গ্রাম প্লাবিত
বন্যার পানিতে সড়ক ডুবে যাওয়ায় ফেনীর পরশুমার আঞ্চলিক সড়কে যান চলচল গতকাল বন্ধ ছিলো। এতে বিভিন্ন পথের যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। ফুলগাজী উপজেলার পুরোনো মুন্সিরহাট এলাকা থেকে তোলা। খবরের কাগজ

টানা দুদিনের ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১০টি স্থানে ভেঙে অন্তত ৫৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা জানান, টানা বর্ষণের কারণে পরশুরাম উপজেলায় মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পরশুরামের শালধর এলাকায় মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। একই দিন বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নে কহুয়া নদীর বাঁধের দুই জায়গায় ভাঙন দেখা দেয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভাঙে মির্জানগর ইউনিয়নে সিলোনীয় ও মুহুরী নদীর ২টি জায়গায়। চিথলীয়া ইউনিয়নের মুহুরী নদীর বাঁধের ৪টি স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এতে উপজেলার ৩১টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তাদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূঁঞা জানান, ফুলগাজী উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কোনো অংশে ভাঙন সৃষ্টি না হলেও পরশুরামের ভাঙনের পানি ফুলগাজী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঢুকে ২৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া ফেনী পরশুরাম আঞ্চলিক মহাসড়কে পানি থাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মির্জানগর এলাকার বাসিন্দা মো. নোমান বলেন, ‘এত প্রবল স্রোতে পানি প্রবেশ করতে এর আগে কখনো দেখিনি। দ্রুত সময়ে বাড়িতে পানি উঠে গেছে। খুব কষ্টে রাত-দিন পার করছি আমরা।’ 

ইব্রাহিম নামে আরেকজন বলেন, ‘কিছু এলাকা উঁচু হওয়ায় সাধারণত বন্যার পানি প্রবেশ করে না। কিন্তু এবার ভারী বর্ষণে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। খুব খারাপ অবস্থা যাচ্ছে আমাদের।’

ফুলগাজী উপজেলার ফজলুল হক মনছুর বলেন, ‘১৯৯৮, ২০০৪ ও ২০১৮ সালের বন্যা নিজ চোখে দেখেছি। কখনো বাড়িতে পানি ওঠেনি। এবারই প্রথম আমার বাড়িতে পানি উঠল। পুরো এলাকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। নদীর পানি না কমলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’

কৃষক আবুল হাসেম বলেন, ‘গত মাসে বন্যায় বোরো ধানের বীজতলা পানিতে তলিয়ে যায়। নতুন করে আবার বীজতলা তৈরি করে কয়েক দিন আগেই রোপণ করেছি। আবারও নদীর বাঁধ ভেঙে এখন জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ক্ষতির কারণে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, ‘টানা দুই দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে মুহুরী, কহুয়া সিলোনিয়া নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদীর ১০টি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন এলাকা থেকে পানি নামলে বাঁধগুলো সংস্কার করা হবে।’

আরব আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১২ বাংলাদেশি ফিরলেন চট্টগ্রামে

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ এএম
আরব আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১২ বাংলাদেশি ফিরলেন চট্টগ্রামে
আরব আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১২ বাংলাদেশি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। ছবি : খবরের কাগজ

আরব আমিরাতে ক্ষমাপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশির মধ্যে ১৪ জন দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে ১২ জন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন। বাকিরা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম খলিল খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে শাস্তি পাওয়া ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছে দেশটির সরকার। ক্ষমা পাওয়াদের ১২ জন শনিবার রাতে এয়ার আরাবিয়ার দুটি ভিন্ন ফ্লাইটে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন।’ 

জানা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে এসেছেন একজন। তাকে বহনকারী এয়ার আরাবিয়ার ফ্লাইটটি রাত ৮টা ১০ মিনিটে শাহ আমানতে অবতরণ করে। অপরদিকে রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে এয়ার আরাবিয়ার আরেকটি ফ্লাইটে আবুধাবি থেকে চট্টগ্রামে আসেন ১১ জন।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন দেশটির আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৫৭ জন বাংলাদেশিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বিশেষ ক্ষমা করেন। 

তারেক মাহমুদ/সালমান/

কুমিল্লার ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উন্মোচন, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২২ পিএম
কুমিল্লার ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উন্মোচন, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
অভিযুক্ত আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি : খবরের কাগজ

কুমিল্লার হোমনায় ঘরের ভেতর থেকে মা-ছেলেসহ তিনজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। আলোচিত এই ট্রিপল মার্ডারের একমাত্র অভিযুক্ত আক্তার হোসেনকে (২৭) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আক্তার হোসেন শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহ পরাণের ঘরের ভেতর থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় তিনজনকে হত্যা করে লাশ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়।

নিহতরা হলেন, বড় ঘাগুটিয়া এলাকার মো. শাহ পরাণের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।

হত্যাকাণ্ডের পর বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আক্তারকে আদালতে তোলা হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে হোমনা থানা ওসি জয়নাল আবেদীন জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছেন আক্তার হোসেন।

তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ঘাতক আক্তার।’

গ্রেপ্তার আক্তারের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসি জানান, নিহত মাহমুদার সঙ্গে আক্তার হোসেনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের সুবাদে প্রেমিকের কাছ থেকে মাহমুদা ৪০ হাজার টাকা ধার নেন। সেই টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে আক্তারের সঙ্গে মাহমুদার কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেন মাহমুদা, আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা। খাওয়া শেষে তিশা ও সাহাত ঘুমিয়ে গেলে গভীর রাতে ঝগড়া বাধে মাহমুদা ও আক্তারের মধ্যে। ঝগড়ার একপর্যায়ে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। পরে আক্তারকে খুনি হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে, এই ভয়ে সাক্ষী না রাখার কথা ভেবে তিশা ও সাহাতকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে সে। পরে লাশ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যায় আক্তার।

ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে আ.লীগ নেতা আটক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে আ.লীগ নেতা আটক
আটক আওয়ামী লীগ নেতা কামাল আহমদ

পালিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে ধরা পড়েছেন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর জৈন্তাপুরের গোয়াবাড়ি সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিজিবির জৈন্তাপুর বিওপির টহল দল তাকে আটক করে। সীমান্তের ওই এলাকাটি ১৯ বিজিবির অধীন। রাতে যোগাযোগ করলে ১৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল খোন্দকার মো. আসাদুন্নবী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজিবি সূত্র জানায়, সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে কামাল আহমদকে আটক করা হয়েছে। বিজিবির হাতে ধরা পড়ার পর তিনি পালিয়ে ভারত যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা দিয়ে জৈন্তাপুর থানার পুলিশে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

কামাল আহমদ জৈন্তপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পাশাপাশি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। তিনি ২০১৯ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সীমান্ত এলাকার চোরাচালান, পাথর কোয়ারিতে লুটপাটসহ বিভিন্ন অপরাধে তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ছিল। সরকার পতনের পর তিনি জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। তবে তিনি কোথায় ছিলেন, এ বিষয়ে কেউ কিছু জানত না।

গাজীপুরে শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা মামলায় কনস্টেবল গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
গাজীপুরে শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা মামলায় কনস্টেবল গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার কনস্টেবল মো. আকরাম হোসেন

গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কলেজছাত্রকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জের পারাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার সুবীর কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ আগস্ট কোনাবাড়ী থানার পাশে গুলি করে কলেজছাত্র মো. হৃদয়কে (২০) হত্যা করা হয়। নিহত হৃদয় টাঙ্গাইলের গোপালপুরের আলমনগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি হেমনগর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ালেখার পাশাপাশি কোনাবাড়ী এলাকায় বসবাস করে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গ্রেপ্তারকৃত ওই কনস্টেবলের নাম মো. আকরাম হোসেন (২২)। তিনি গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী সড়কের কোনাবাড়ী এলাকায় গত ৫ আগস্ট মো. হৃদয় (২০) বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে হৃদয় রাস্তার পাশে অবস্থান নেন। ওই সময় শিল্প পুলিশে কর্মরত কিছু পুলিশ সদস্য কোনাবাড়ী এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় তারা হৃদয়কে রাস্তার পাশ থেকে ধরে নিয়ে চড়থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল আকরাম অতি উৎসাহী হয়ে তাকে পেছন দিক থেকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই হৃদয়ের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে কিশোরগঞ্জের পারাইল এলাকা থেকে আকরামকে গ্রেপ্তার করে। 

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার সুবীর কুমার সাহা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যে তদন্ত করা হয়েছে, সেখানে কনস্টেবল আকরামের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার ভোররাতে তাকে কিশোরগঞ্জ থেকে আটক করে আজ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতে তোলা হয়। আদালত সোমবার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’ ওই ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে বলে তিনি জানান।

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ২ বিদেশি জাহাজের সংঘর্ষ

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ পিএম
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ২ বিদেশি জাহাজের সংঘর্ষ
চট্টগ্রাম বন্দর (ফাইল ছবি)

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে দুটি বিদেশি জাহাজের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সারবাহী জাহাজের আঘাতে ডালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টার দিকে বন্দরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই জাহাজের প্রপেলার আটকে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আটকে যাওয়া প্রপেলার মুক্ত করার পর জাহাজ দুটি নিরাপদ দূরত্বে নোঙর করেছে। 

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বেলা ২টায় লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি ফ্রেন্ডলি আইল্যান্ড’ আগে থেকেই আলফা অ্যাংকরজে অবস্থান নিয়ে মসুর ডাল খালাস করছিল। আর ড্যাপ সার বহনকারী পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি নাভিওস সেলেসটিলা’র অবস্থান ছিল কুতুবদিয়ার কাছাকাছি। দুপুরে হঠাৎ করে নাভিওস সেলেসটিলা ছুটে এসে ফ্রেন্ডলি আইল্যান্ডকে ধাক্কা দেয়। এ সময় দুটি জাহাজের প্রপেলার পরস্পরের সঙ্গে আটকে যায়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘জাহাজ দুটির প্রপেলার আটকে যাওয়ার পর উভয় জাহাজের ক্যাপ্টেনদের সহায়তায় জাহাজ দুটি মুক্ত হয়। বর্তমানে দুটি জাহাজই পৃথক স্থানে নোঙর করা আছে।’ 

জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া থেকে ২৭ হাজার ২১০ টন মসুর ডাল নিয়ে গত ১৪ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরে আসে এমভি ফ্রেন্ডলি আইল্যান্ড। সে সময় থেকে ডাল খালাস করছে জাহাজটি। আর শনিবার ৪৩ হাজার ৭৫৫ টন সার নিয়ে চট্টগ্রামে আসে সার বহনকরী পানামার পতাকাবাহী এমভি নাভিওস সেলেসটিলা জাহাজ।