ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যশোরে শাহীন চাকলাদারের আবাসিক হোটেলে আগুন, নিহত ৮

প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
যশোরে শাহীন চাকলাদারের আবাসিক হোটেলে আগুন, নিহত ৮
ছবি : খবরের কাগজ

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন পাঁচ তারকা হোটেল ‘জাবির ইন্টারন্যাশনাল’সহ অর্ধশতাধিক স্থাপনা, আ.লীগ নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। হোটেলে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ৮ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। এ ছাড়া অন্যান্য ঘটনায় আরও অন্তত ১৫০ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে জাবির হোটেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে অনেকেই হোটেলে আটকা পড়েন। হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারকারী দল ১৪ তলা বিশিষ্ট হোটেলের ছাদ থেকে কয়েকজনকে উদ্ধার করে। ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি দল রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। 
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে যশোর শহরে বিজয় মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। ওই মিছিল থেকে বিক্ষুদ্ধরা জাবির হোটেলে ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় হোটেলের ১২, ১৩ ও ১৪ তলায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে যান। এ সময় হোটেলে আটকা পড়া কয়েকজন ১৪ তলার বারান্দায় গিয়ে উদ্ধারের জন্যে হাত নেড়ে আকুতি জানান। উদ্ধারকারী একটি হেলিকপ্টার হোটেলের ছাদে ল্যান্ড করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এ সময় আটকাপড়া এক ব্যক্তি ছাদে গিয়ে দাঁড়ালে হেলিকপ্টার তাকে উদ্ধার করে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘জাবির হোটেলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে পাঁচজনের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে আনে ফায়ার সার্ভিসের টিম। এ ছাড়া তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। হোটেলে অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ২০ জনের মতো। আহতদের মধ্যে অনেকেই আশঙ্কাজনক।’

হোটেলে কতজন আটকা পড়েছেন এবং কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানার জন্যে হোটেলের মালিক এমপি শাহীন চাকলাদারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

এদিকে শাহীন চাকলাদারের হোটেল ছাড়াও তার শহরের কাজী পাড়া কাঠালতলাস্থ বাসভবন, কাজীপাড়াতে যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাসা, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, শেখ রাসেলের ভাস্কর্যসহ বিভিন্ন  স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

তুহিন/সালমান/

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ ৭ জনের পদত্যাগ

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ ৭ জনের পদত্যাগ
ছবি : খবরের কাগজ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, উপাদক্ষসহ সাতজন পদত্যাগ করেছেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তারা পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

যারা পদত্যাগ করেছেন তারা হলেন- কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল কাদের, উপাধ্যক্ষ ডা. তারেকুল ইসলাম, অর্থোপেডিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম, নিউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ওয়াহিদুর রহমান ছোটন, মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজিয়া হক, ছাত্রদের হোস্টেল সুপার ডা. আব্দুস সাত্তার ভূইয়া এবং ছাত্রীদের হোস্টেলের সহকারী হোস্টেল সুপার ডা. রুবিনা ইয়াসমিন।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খবরের কাগজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সচিব মো. রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘কোনো স্যারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়নি। সবাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্রে সই করেছেন।’

এতে কলেজের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়েছে কি-না জানতে চাইলে সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কলেজের কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস করছেন। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দ্রুত নতুন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ করলে সব কার্যক্রম আরও ভালভাবে চলবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন অধ্যক্ষ এসে হোস্টেল সুপারসহ খালি পদগুলোতে অন্যদেরকে দ্বায়িত্ব দেবেন।

কলেজে সূত্রে জানা যায়, ডা. আব্দুল কাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০২২ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। এরপর রিটায়ার্ড করলে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ২ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। গত ২২ আগস্ট ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি।

ডা. তারেকুল ইসলামও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। অধ্যক্ষের পদত্যাগের পর গত ২৪ আগস্ট তিনিও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।

এরপর ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একে একে পদত্যাগ করেন ডা. সাইফুল ইসলাম, ডা. ওয়াহিদুর রহমান ছোটন, ডা. নাজিয়া হক, ডা. আব্দুস সাত্তার ভূইয়া ও ডা. রুবিনা ইয়াসমিন।

পদত্যাগের বিষয়ে জানতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল কাদেরের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।

তবে উপাধ্যক্ষ ডা. তারেকুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গাসহ প্রতিষ্ঠানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমাকে কেউ পদত্যাগ করতে বলেনি। তবে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় পদত্যাগ করেছি।

কামরুজ্জামান মিন্টু/জোবাইদা/অমিয়/

ভারত থেকে ২ লাখ ৩১ হাজার পিস ডিম আমদানি

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৫ পিএম
ভারত থেকে ২ লাখ ৩১ হাজার পিস ডিম আমদানি
ছবি : খবরের কাগজ

ভারত থেকে বেনাপোল দিয়ে দুই লাখ ৩১ হাজার পিস (৪০০ কার্টুন) মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে। এই প্রথম বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ডিম আমদানি করা হলো।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কাস্টমস সূত্রে জানায়, আমদানি করা এসব ডিমের ইনভয়েস মূল্য ১১ হাজার ২৭২ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের আমদানি মূল্য দশমিক ৫৬ ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় পাঁচ টাকা। এ ছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটিসহ প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়ায় সাত টাকা।
 
ঢাকার হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই ডিম আমদানি করেছে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের শ্রী লক্ষী এন্টারপ্রাইজ।
 
আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি ছাড় করণের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করেছেন বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।

বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল ডিমের পরীক্ষণ সম্পর্কে বলেন, সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের ডকুমেন্টস পেয়েছি। পরীক্ষণ শেষে ডিমের চালানটি দ্রুত খালাস দেওয়া হবে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী বলেন, ভারত থেকে ডিমের চালানটি রবিবার সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দরে আসে। সোমবার এটি খালাসের জন্য সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস কাস্টমস হাউসে সাবমিট করেছে।
  
নজরুল ইসলাম/জোবাইদা/অমিয়/

পালিয়ে বেড়াচ্ছে উৎসব মণ্ডলের পরিবার

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
পালিয়ে বেড়াচ্ছে উৎসব মণ্ডলের পরিবার
উৎসব মণ্ডল

খুলনায় মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে গণপিটুনির শিকার কলেজছাত্র উৎসব মণ্ডলের পরিবার আবারও আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ঘটনার পর থেকে তাদের কোনো সন্ধান জানা যায়নি। 

উৎসব মণ্ডলের বাবা দ্বীনবন্ধু মণ্ডল খুলনার একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। ৪ সেপ্টেম্বর রাত থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। ঘটনার পর থেকে তিনি কর্মস্থলে যাননি। উৎসব মণ্ডলের মায়ের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। 

এদিকে উৎসব মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন নাসির হোসেন নামের এক ব্যক্তি। ৪ সেপ্টেম্বর রাতে সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় গণপিটুনিতে আহত উৎসব মণ্ডল বর্তমানে সেনাবাহিনীর হেফাজতে চিকিৎসাধীন। 

আইএসপিআরের সহকারী পরিচালকের পক্ষে রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গণপিটুনিতে আহত উৎসব মণ্ডল সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন এবং তিনি আশঙ্কামুক্ত।

তবে আবারও আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে ঘরছাড়া তার পরিবার। গত ৫ সেপ্টেম্বর নগরীর সার্কিট হাউস ফায়ার ব্রিগেড রোড এলাকায় উৎসবের বাড়িতে গিয়ে তাদের ঘরটি তালাবদ্ধ দেখা যায়। 

ওই বাড়ির অন্য বাসিন্দারা জানান, ঘটনার পর থেকে উৎসবের পরিবারের সদস্যদের কেউ দেখেনি। তার বাবা-মা ও অসুস্থ ছোট ভাই কোথায় আছেন তা কেউ জানে না। মোবাইল ফোনেও কারও সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।

জানা যায়, মোবাইলে ফেসবুকে মহানবীকে (স.) নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় ৪ সেপ্টেম্বর ৮-১০ জন যুবক উৎসব মণ্ডলকে ধরে সোনাডাঙ্গা আবাসিকে পুলিশের উপ-কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে নিয়ে যান। খবর পেয়ে রাতে শত শত মানুষ ওই যুবককে তাদের হাতে ছেড়ে দিতে ভবনের চারপাশ ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। 

এদিকে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে ওই যুবককে রক্ষার চেষ্টা করে। কিন্তু রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ কার্যালয়ের ভেতর ঢুকে তাকে পিটুনি দেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ওই ভবন থেকে তাকে বের করে নিয়ে যান।

খুলনা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) নিমাই চন্দ্র কুণ্ডু জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে অভিযুক্ত কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করে অভিযোগটি সাইবার নিরাপত্তা আইনে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তিনটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। 

পুলিশ জানায়, উৎসব মণ্ডল ৩ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্টে ক্ষুব্ধ হয়ে মন্তব্য করেছিলেন। পরে ভুল বুঝতে পেরে সেটি মুছে দেন। কিন্তু কয়েকজন সেই মন্তব্যটির স্ক্রিনশট রেখে দেন এবং তা ছড়িয়ে দিয়ে তাকে বিপদে ফেলেন।

শেরপুরে দুই মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, শিশুসহ আহত ১৭

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ পিএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম
শেরপুরে দুই মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, শিশুসহ আহত ১৭
দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস। ছবি: খবরের কাগজ

শেরপুরে দুই মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে পাঁচ শিশুসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কের নবীনগর টেকনিক্যাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুটি মাইক্রোবাসই ঢাকার দিক থেকে আসছিল। একটি ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে ১২ জন যাত্রী নিয়ে টাঙ্গাইল-জামালপুর-শেরপুর শহর হয়ে নকলার জানকিপুরের দিকে যাচ্ছিল। অপরটি ঢাকার বিমানবন্দর থেকে যাত্রী নামিয়ে মাইক্রোচালক নিজের বোন-ভাগ্নিসহ গাজীপুর-ময়মনসিংহ হয়ে শেরপুরে শ্রীবরদী উপজেলার বটতলা দিকে যাচ্ছিল। 

দ্রুতগতিতে চলা মাইক্রোবাস দুটি হঠাৎ শহরের নবীনগর এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে বিকট শব্দে দুমড়ে-মুচড়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে। এতে মাইক্রোবাস দুটির চালকসহ যাত্রীরা গুরুতর আহত হন। 

পরে স্থানীয় বাসিন্দা ও সংবাদ পেয়ে দমকল কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, দুর্ঘটনায় আহত ১৭ জনের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। প্রথমে তাদের সবাইকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখন পর্যন্ত মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সবাইকেই প্রথমে সদর হাসপাতালে নেওয়ার হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অনেককেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শাকিল মুরাদ/অমিয়/

বাগেরহাটে ইজিবাইক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৪

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ এএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম
বাগেরহাটে ইজিবাইক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৪
দুর্ঘটনাকবলিত ইজিবাইক। ছবি: খবরের কাগজ

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ইজিবাইকের সঙ্গে একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্কুলশিক্ষিকাসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই তিনজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন মারা গেছেন।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে উপজেলার মোংলা-ঢাকা মহাসড়কের টাউন-নওয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার মুনিগঞ্জ গ্রামের নোমান শেখের স্ত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নিপা বেগম (২৮), রামপাল উপজেলার নবাবপুর এলাকার রাজমিস্ত্রি মো. মাসুম (৩৩), একই এলাকার রাজমিস্ত্রি শওকত আলী (৪০) ও মো. হিরন (৪৫)। তারা সবাই ইজিবাইকের যাত্রী।

জানা যায়, বাগেরহাট থেকে একটি পিকআপ খুলনার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় কাটাখালি থেকে বাগেরহাটগামী ইজিবাইকটি হেমকো কোম্পানির সামনে আসলে একটি ট্রলিকে ওভারটেক করতে গিয়ে পিকআপের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ইজিবাইকের চার যাত্রীর মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত অপর এক যাত্রী খুলনায় নেওয়ার পথে মারা যান।

কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে ঘটনার পর ঘাতক পিকআপটি নিয়ে চালক পালিয়ে গেছে।

রিফাত মাহামুদ/অমিয়/