শেরপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বাসভবনে আগুন, সদর থানায় ভাঙচুর ও আগুন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়িতে ভাঙচুর এবং শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আগুনের দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে দুষ্কৃতকারীরা জেলা কারাগারে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। এতে কারাগারে থাকা সব বন্দি পলায়ন করেছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) দিনভর জেলাজুড়ে এই তাণ্ডব চলেছে।
জানা গেছে, এক দফা আন্দোলনে নামা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে গতকাল রবিবার দুপুর থেকে ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের টহল গাড়ির চাপায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে আহতের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত তিনজনের লাশ নিয়ে সন্ধ্যার দিকে মিছিল করে নানা স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা উত্তেজিত হয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করেন। এর মধ্যে পুলিশ সুপারের বাসভবন, সিভিল সার্জনের বাসভবন, পুলিশ বক্স, আনসার ক্যাম্প, জেলা আওয়ামী লীগ অফিস, আলিশান রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করেন। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। রাত থেকে শহরে চরম থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।
সোমবার সকাল থেকে কলেজ মোড় এলাকায় ফের জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। এরপর নিহতদের গায়েবানা জানাজা শেষে শুরু হয় তাণ্ডব। এরপর একে একে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বাসভবনে আগুন, সদর থানায় ভাঙচুর ও আগুন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়িতে ভাঙচুর এবং শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে দুষ্কৃতকারীরা বিকেলে জেলা কারাগারে হামলা ও ভাঙচুর করেছেন। এতে কারাগারে থাকা সব বন্দি পলায়ন করেছে। মূলত সকাল থেকেই আন্দোলনকারীদের দখলে থাকে পুরো শেরপুর শহর।
শেরপুর জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম বলেন, হাজার হাজার মানুষ এসে গেট ভেঙে অগ্নিসংযোগ করে সব বন্দিকে নিয়ে গেছে।