ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শেরপুর কারাগারে ভাঙচুর, সব বন্দির পলায়ন

প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম
শেরপুর কারাগারে ভাঙচুর, সব বন্দির পলায়ন
ছবি : সংগৃহীত

শেরপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বাসভবনে আগুন, সদর থানায় ভাঙচুর ও আগুন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়িতে ভাঙচুর এবং শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আগুনের দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে দুষ্কৃতকারীরা জেলা কারাগারে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। এতে কারাগারে থাকা সব বন্দি পলায়ন করেছে। 

সোমবার (৫ আগস্ট) দিনভর জেলাজুড়ে এই তাণ্ডব চলেছে।

জানা গেছে, এক দফা আন্দোলনে নামা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে গতকাল রবিবার দুপুর থেকে ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের টহল গাড়ির চাপায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে আহতের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত তিনজনের লাশ নিয়ে সন্ধ্যার দিকে মিছিল করে নানা স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা উত্তেজিত হয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করেন। এর মধ্যে পুলিশ সুপারের বাসভবন, সিভিল সার্জনের বাসভবন, পুলিশ বক্স, আনসার ক্যাম্প, জেলা আওয়ামী লীগ অফিস, আলিশান রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করেন। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। রাত থেকে শহরে চরম থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।

সোমবার সকাল থেকে কলেজ মোড় এলাকায় ফের জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। এরপর নিহতদের গায়েবানা জানাজা শেষে শুরু হয় তাণ্ডব। এরপর একে একে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বাসভবনে আগুন, সদর থানায় ভাঙচুর ও আগুন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়িতে ভাঙচুর এবং শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে দুষ্কৃতকারীরা বিকেলে জেলা কারাগারে হামলা ও ভাঙচুর করেছেন। এতে কারাগারে থাকা সব বন্দি পলায়ন করেছে। মূলত সকাল থেকেই আন্দোলনকারীদের দখলে থাকে পুরো শেরপুর শহর।

শেরপুর জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম বলেন, হাজার হাজার মানুষ এসে গেট ভেঙে অগ্নিসংযোগ করে সব বন্দিকে নিয়ে গেছে। 

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ ৭ জনের পদত্যাগ

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ ৭ জনের পদত্যাগ
ছবি : খবরের কাগজ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, উপাদক্ষসহ সাতজন পদত্যাগ করেছেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তারা পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

যারা পদত্যাগ করেছেন তারা হলেন- কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল কাদের, উপাধ্যক্ষ ডা. তারেকুল ইসলাম, অর্থোপেডিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম, নিউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ওয়াহিদুর রহমান ছোটন, মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজিয়া হক, ছাত্রদের হোস্টেল সুপার ডা. আব্দুস সাত্তার ভূইয়া এবং ছাত্রীদের হোস্টেলের সহকারী হোস্টেল সুপার ডা. রুবিনা ইয়াসমিন।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খবরের কাগজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সচিব মো. রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘কোনো স্যারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়নি। সবাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্রে সই করেছেন।’

এতে কলেজের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়েছে কি-না জানতে চাইলে সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কলেজের কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস করছেন। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দ্রুত নতুন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ করলে সব কার্যক্রম আরও ভালভাবে চলবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন অধ্যক্ষ এসে হোস্টেল সুপারসহ খালি পদগুলোতে অন্যদেরকে দ্বায়িত্ব দেবেন।

কলেজে সূত্রে জানা যায়, ডা. আব্দুল কাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০২২ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। এরপর রিটায়ার্ড করলে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ২ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। গত ২২ আগস্ট ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি।

ডা. তারেকুল ইসলামও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। অধ্যক্ষের পদত্যাগের পর গত ২৪ আগস্ট তিনিও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।

এরপর ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একে একে পদত্যাগ করেন ডা. সাইফুল ইসলাম, ডা. ওয়াহিদুর রহমান ছোটন, ডা. নাজিয়া হক, ডা. আব্দুস সাত্তার ভূইয়া ও ডা. রুবিনা ইয়াসমিন।

পদত্যাগের বিষয়ে জানতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল কাদেরের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।

তবে উপাধ্যক্ষ ডা. তারেকুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গাসহ প্রতিষ্ঠানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমাকে কেউ পদত্যাগ করতে বলেনি। তবে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় পদত্যাগ করেছি।

কামরুজ্জামান মিন্টু/জোবাইদা/অমিয়/

পালিয়ে বেড়াচ্ছে উৎসব মণ্ডলের পরিবার

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
পালিয়ে বেড়াচ্ছে উৎসব মণ্ডলের পরিবার
উৎসব মণ্ডল

খুলনায় মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে গণপিটুনির শিকার কলেজছাত্র উৎসব মণ্ডলের পরিবার আবারও আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ঘটনার পর থেকে তাদের কোনো সন্ধান জানা যায়নি। 

উৎসব মণ্ডলের বাবা দ্বীনবন্ধু মণ্ডল খুলনার একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। ৪ সেপ্টেম্বর রাত থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। ঘটনার পর থেকে তিনি কর্মস্থলে যাননি। উৎসব মণ্ডলের মায়ের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। 

এদিকে উৎসব মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন নাসির হোসেন নামের এক ব্যক্তি। ৪ সেপ্টেম্বর রাতে সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় গণপিটুনিতে আহত উৎসব মণ্ডল বর্তমানে সেনাবাহিনীর হেফাজতে চিকিৎসাধীন। 

আইএসপিআরের সহকারী পরিচালকের পক্ষে রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গণপিটুনিতে আহত উৎসব মণ্ডল সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন এবং তিনি আশঙ্কামুক্ত।

তবে আবারও আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে ঘরছাড়া তার পরিবার। গত ৫ সেপ্টেম্বর নগরীর সার্কিট হাউস ফায়ার ব্রিগেড রোড এলাকায় উৎসবের বাড়িতে গিয়ে তাদের ঘরটি তালাবদ্ধ দেখা যায়। 

ওই বাড়ির অন্য বাসিন্দারা জানান, ঘটনার পর থেকে উৎসবের পরিবারের সদস্যদের কেউ দেখেনি। তার বাবা-মা ও অসুস্থ ছোট ভাই কোথায় আছেন তা কেউ জানে না। মোবাইল ফোনেও কারও সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।

জানা যায়, মোবাইলে ফেসবুকে মহানবীকে (স.) নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় ৪ সেপ্টেম্বর ৮-১০ জন যুবক উৎসব মণ্ডলকে ধরে সোনাডাঙ্গা আবাসিকে পুলিশের উপ-কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে নিয়ে যান। খবর পেয়ে রাতে শত শত মানুষ ওই যুবককে তাদের হাতে ছেড়ে দিতে ভবনের চারপাশ ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। 

এদিকে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে ওই যুবককে রক্ষার চেষ্টা করে। কিন্তু রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ কার্যালয়ের ভেতর ঢুকে তাকে পিটুনি দেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ওই ভবন থেকে তাকে বের করে নিয়ে যান।

খুলনা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) নিমাই চন্দ্র কুণ্ডু জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে অভিযুক্ত কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করে অভিযোগটি সাইবার নিরাপত্তা আইনে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তিনটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। 

পুলিশ জানায়, উৎসব মণ্ডল ৩ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্টে ক্ষুব্ধ হয়ে মন্তব্য করেছিলেন। পরে ভুল বুঝতে পেরে সেটি মুছে দেন। কিন্তু কয়েকজন সেই মন্তব্যটির স্ক্রিনশট রেখে দেন এবং তা ছড়িয়ে দিয়ে তাকে বিপদে ফেলেন।

শেরপুরে দুই মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, শিশুসহ আহত ১৭

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ পিএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম
শেরপুরে দুই মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, শিশুসহ আহত ১৭
দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস। ছবি: খবরের কাগজ

শেরপুরে দুই মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে পাঁচ শিশুসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কের নবীনগর টেকনিক্যাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুটি মাইক্রোবাসই ঢাকার দিক থেকে আসছিল। একটি ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে ১২ জন যাত্রী নিয়ে টাঙ্গাইল-জামালপুর-শেরপুর শহর হয়ে নকলার জানকিপুরের দিকে যাচ্ছিল। অপরটি ঢাকার বিমানবন্দর থেকে যাত্রী নামিয়ে মাইক্রোচালক নিজের বোন-ভাগ্নিসহ গাজীপুর-ময়মনসিংহ হয়ে শেরপুরে শ্রীবরদী উপজেলার বটতলা দিকে যাচ্ছিল। 

দ্রুতগতিতে চলা মাইক্রোবাস দুটি হঠাৎ শহরের নবীনগর এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে বিকট শব্দে দুমড়ে-মুচড়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে। এতে মাইক্রোবাস দুটির চালকসহ যাত্রীরা গুরুতর আহত হন। 

পরে স্থানীয় বাসিন্দা ও সংবাদ পেয়ে দমকল কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, দুর্ঘটনায় আহত ১৭ জনের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। প্রথমে তাদের সবাইকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখন পর্যন্ত মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সবাইকেই প্রথমে সদর হাসপাতালে নেওয়ার হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অনেককেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শাকিল মুরাদ/অমিয়/

বাগেরহাটে ইজিবাইক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৪

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ এএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম
বাগেরহাটে ইজিবাইক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৪
দুর্ঘটনাকবলিত ইজিবাইক। ছবি: খবরের কাগজ

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ইজিবাইকের সঙ্গে একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্কুলশিক্ষিকাসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই তিনজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন মারা গেছেন।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে উপজেলার মোংলা-ঢাকা মহাসড়কের টাউন-নওয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার মুনিগঞ্জ গ্রামের নোমান শেখের স্ত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নিপা বেগম (২৮), রামপাল উপজেলার নবাবপুর এলাকার রাজমিস্ত্রি মো. মাসুম (৩৩), একই এলাকার রাজমিস্ত্রি শওকত আলী (৪০) ও মো. হিরন (৪৫)। তারা সবাই ইজিবাইকের যাত্রী।

জানা যায়, বাগেরহাট থেকে একটি পিকআপ খুলনার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় কাটাখালি থেকে বাগেরহাটগামী ইজিবাইকটি হেমকো কোম্পানির সামনে আসলে একটি ট্রলিকে ওভারটেক করতে গিয়ে পিকআপের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ইজিবাইকের চার যাত্রীর মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত অপর এক যাত্রী খুলনায় নেওয়ার পথে মারা যান।

কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে ঘটনার পর ঘাতক পিকআপটি নিয়ে চালক পালিয়ে গেছে।

রিফাত মাহামুদ/অমিয়/

আগস্টে ৯ প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছে বিএসইসি

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ এএম
আগস্টে ৯ প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছে বিএসইসি

সিকিউরিটিজ-সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের কারণে গত আগস্টে ৯ প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ভবিষ্যতে এসব প্রতিষ্ঠানকে আইন যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।

বিএসইসির তথ্যানুসারে, গত আগস্টে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এনসিসিবি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেড, সিনহা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজ লিমিটেড, মো. ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড, প্রুডেনশিয়াল সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও প্রিলিংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডকে সতর্ক করেছে।

এর মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ও কোম্পানি সচিব; এনসিসিবির সিইও ও কমপ্লায়েন্স অথরিটি আহসানুল আরেফিন, ধানমন্ডি ব্রাঞ্চ ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম, কমপ্লায়েন্স অফিসার মাকসুদ করিম খান ও আবু শাহেদ মোহাম্মদ এনায়েত করিম; ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ও কোম্পানি সচিব; সিনহা সিকিউরিটিজের ট্রেক প্রতিনিধি মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম, কমপ্লায়েন্স অথরিটি রেজা-উর-রহমান সিনহা, এলিফ্যান্ট রোড ব্রাঞ্চের সাবেক ইনচার্জ কাকলি দেবনাথ; ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরে রাব্বি, কমপ্লায়েন্স অফিসার নাজমুস সাকিব, চট্টগ্রাম ব্রাঞ্চ ইনচার্জ মোহাম্মদ নোমান সিদ্দিক ও কমপ্লায়েন্স অফিসার মিথুন চৌধুরী; ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম, কমপ্লায়েন্স অফিসার কামরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম ব্রাঞ্চের ইনচার্জ এস এম জামিল উদ্দিন মাহামুদ; ব্র্যাক ইপিএলের সিইও ও কমপ্লায়েন্স অথরিটি আহসানুর রহমান, কমপ্লায়েন্স অফিসার কুমারেশ সাহা, চট্টগ্রাম ব্রাঞ্চ ইনচার্জ এ জি এম কাইসার ও কমপ্লায়েন্স অফিসার এস এম আরমান হাসান; প্রিলিংক সিকিউরিটিজের কমপ্লায়েন্স অথরিটি মো. জহিরুল ইসলাম, কমপ্লায়েন্স অফিসার আব্দুল্লাহ আল ইকবাল, ধানমন্ডি ব্রাঞ্চ ইনচার্জ মো. আব্দুল হান্নান ও কমপ্লায়েন্স অফিসার মো. নুরুল ইসলামকে সিকিউরিটিজ-সংক্রান্ত আইন মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে।

এর আগে শেয়ারদরে কারসাজির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে তিন ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা করে বিএসইসি। গত জুলাই ও জুনে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।