ঢাকা ২৩ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মেহেরপুর ও ভাঙ্গায় হিন্দুদের বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে আগুন ও ভাঙচুর

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম
মেহেরপুর ও ভাঙ্গায় হিন্দুদের বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে আগুন ও ভাঙচুর
মেহেরপুরে হিন্দু বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে হামলা ও আগুন দিয়েছেন ক্ষুব্ধ জনতা। ইনসেটে ফরিদপুরে পলান নামের এক প্রবীণের ওপর সংঘবদ্ধ হামলা চালান ক্ষুব্ধরা। ছবি: খবরের কাগজ

মেহেরপুর ও ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হিন্দুদের বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে আগুন ও ভাঙচুর করা হয়েছে। মেহেরপুরে হিন্দু ধর্ম প্রচার প্রতিষ্ঠান ইসকনে ভাঙচুরসহ ৭ হিন্দু বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে হামলা ও আগুন দিয়েছেন ক্ষুব্ধ লোকেরা।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অবধি এ ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। 

এর মধ্যে দুই দফায় শহরের হোটেল বাজারে অবস্থিত মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্যের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়াও বড় বাজারে চিত্ত সাহার গার্মেন্টপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালান ক্ষুব্ধদের একটি দল। 

চিত্ত সাহার পুত্র দেবু সাহা বলেন, সন্ধ্যার পরে হঠাৎ পাশের দোকানে কিছু ছেলে লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ চালায়। আমার দোকানেও হামলা করে তারা। এখন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছি। আতঙ্কে আছেন বলে জানান দেবু। 

পল্লব ভট্টাচার্যের ভাই অঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমার ভাই সপরিবারে বড়কন্যার কাছে জাপানে বেড়াতে গিয়েছেন।  এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না বলে জানে বেঁচে গেছে। গত সোমবার সন্ধ্যার পরে ৫০-৬০ জন এসে বাড়িতে হামলা চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও রাত ১১টার দিকে আবারও হামলা চালান ক্ষুব্ধরা। বাড়ির অধিকাংশ জিনিস পুড়ে গেছে। 

মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের আইনজীবী মিনা পাল বলেন, রাত একটার পরে হঠাৎ বাড়িতে ঢুকে পড়ে হামলাকারীদের একটি দল। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আসবাবপত্রে আগুন দেয় তারা। এ সময় টাকাসহ গয়না লুট করে তারা। এর আগেও তারা একবার এসে ইটপাটকেল ছুড়েছে বলে জানান সনাতন ধর্মাবলম্বী এই আইনজীবী। 

শহরের মালোপাড়ায় ৪-৫টি বাড়িতে হামলা করা হয়। এ সময় একটি বাড়িতে আগুন দিলেও স্থানীয় বাসিন্দারা তা নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা থেকেই কিছু যুবককে লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল ও লোহার রড নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন তারা। এ সময় বিভিন্ন দোকান বাড়ি এবং সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। শহরের বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘর এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাওয়া যায়। 

হামলার সময় বিভিন্ন মানুষকে মারধরও করেন তারা। আহত হয়েছেন অনেকে।  যুবলীগ নেতা মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমার বাড়ির সব পুড়িয়ে দিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসকে বারবার কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। বাড়ি থেকে একটু দূরে অবস্থান করার কারণে প্রাণে বেঁচে গেছি।’ 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশকে জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ অনেকের। এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রবীণের ওপর হামলা 
ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ভাঙ্গা উপজেলার পৌরসদরের নওপাড়া গ্রামে সংখ্যালঘু এক পরিবারের সদস্যের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ওই গ্রামের সংখ্যালঘু অমরেন্দ্র কুমার ঘোষ পলান (৭৫)-এর ওপর সংঘবদ্ধ হামলা চালান ক্ষুব্ধরা। আহত পলানকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অমরেন্দ্র কুমার বলেন, ‘সকালে আমার বাড়ির কাছে নির্মল ঠাকুরের দোকানে বসেছিলাম। নিকটপ্রতিবেশী বাবুল মিয়া, মিনহাজ মিয়া, হাসান মিয়াসহ ৬-৭ জন সংঘবদ্ধ হয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরে আমার ওপর হামলা চালান। আমার হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম করা হয়। এ সময় তারা অকথ্য গালিগালাজ করার পাশাপাশি বলে যে, দেবোত্তর সম্পত্তি নিতে চাস। এখন কি তোর পুলিশ আছে? কার কাছে যাবি? হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অমরেন্দ্র কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সংঘবদ্ধভাবে তারা আমাকে হামলার পর মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে যায়। তারা বলে, এখন আমাদের বিজয়। তোদের বাড়িছাড়া করব। হামলার সময় স্থানীয় রাজ্জাক ফকিরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঠেকানোর চেষ্টা করলেও  কোনো লাভ হয়নি।’

ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে আ.লীগ নেতা আটক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে আ.লীগ নেতা আটক
আটক আওয়ামী লীগ নেতা কামাল আহমদ

পালিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে ধরা পড়েছেন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর জৈন্তাপুরের গোয়াবাড়ি সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিজিবির জৈন্তাপুর বিওপির টহল দল তাকে আটক করে। সীমান্তের ওই এলাকাটি ১৯ বিজিবির অধীন। রাতে যোগাযোগ করলে ১৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল খোন্দকার মো. আসাদুন্নবী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজিবি সূত্র জানায়, সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে কামাল আহমদকে আটক করা হয়েছে। বিজিবির হাতে ধরা পড়ার পর তিনি পালিয়ে ভারত যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা দিয়ে জৈন্তাপুর থানার পুলিশে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

কামাল আহমদ জৈন্তপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পাশাপাশি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। তিনি ২০১৯ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সীমান্ত এলাকার চোরাচালান, পাথর কোয়ারিতে লুটপাটসহ বিভিন্ন অপরাধে তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ছিল। সরকার পতনের পর তিনি জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। তবে তিনি কোথায় ছিলেন, এ বিষয়ে কেউ কিছু জানত না।

গাজীপুরে শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা মামলায় কনস্টেবল গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
গাজীপুরে শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা মামলায় কনস্টেবল গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার কনস্টেবল মো. আকরাম হোসেন

গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কলেজছাত্রকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জের পারাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার সুবীর কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ আগস্ট কোনাবাড়ী থানার পাশে গুলি করে কলেজছাত্র মো. হৃদয়কে (২০) হত্যা করা হয়। নিহত হৃদয় টাঙ্গাইলের গোপালপুরের আলমনগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি হেমনগর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ালেখার পাশাপাশি কোনাবাড়ী এলাকায় বসবাস করে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গ্রেপ্তারকৃত ওই কনস্টেবলের নাম মো. আকরাম হোসেন (২২)। তিনি গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী সড়কের কোনাবাড়ী এলাকায় গত ৫ আগস্ট মো. হৃদয় (২০) বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে হৃদয় রাস্তার পাশে অবস্থান নেন। ওই সময় শিল্প পুলিশে কর্মরত কিছু পুলিশ সদস্য কোনাবাড়ী এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় তারা হৃদয়কে রাস্তার পাশ থেকে ধরে নিয়ে চড়থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল আকরাম অতি উৎসাহী হয়ে তাকে পেছন দিক থেকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই হৃদয়ের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে কিশোরগঞ্জের পারাইল এলাকা থেকে আকরামকে গ্রেপ্তার করে। 

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার সুবীর কুমার সাহা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যে তদন্ত করা হয়েছে, সেখানে কনস্টেবল আকরামের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার ভোররাতে তাকে কিশোরগঞ্জ থেকে আটক করে আজ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতে তোলা হয়। আদালত সোমবার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’ ওই ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে বলে তিনি জানান।

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ২ বিদেশি জাহাজের সংঘর্ষ

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ পিএম
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ২ বিদেশি জাহাজের সংঘর্ষ
চট্টগ্রাম বন্দর (ফাইল ছবি)

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে দুটি বিদেশি জাহাজের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সারবাহী জাহাজের আঘাতে ডালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টার দিকে বন্দরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই জাহাজের প্রপেলার আটকে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আটকে যাওয়া প্রপেলার মুক্ত করার পর জাহাজ দুটি নিরাপদ দূরত্বে নোঙর করেছে। 

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বেলা ২টায় লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি ফ্রেন্ডলি আইল্যান্ড’ আগে থেকেই আলফা অ্যাংকরজে অবস্থান নিয়ে মসুর ডাল খালাস করছিল। আর ড্যাপ সার বহনকারী পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি নাভিওস সেলেসটিলা’র অবস্থান ছিল কুতুবদিয়ার কাছাকাছি। দুপুরে হঠাৎ করে নাভিওস সেলেসটিলা ছুটে এসে ফ্রেন্ডলি আইল্যান্ডকে ধাক্কা দেয়। এ সময় দুটি জাহাজের প্রপেলার পরস্পরের সঙ্গে আটকে যায়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘জাহাজ দুটির প্রপেলার আটকে যাওয়ার পর উভয় জাহাজের ক্যাপ্টেনদের সহায়তায় জাহাজ দুটি মুক্ত হয়। বর্তমানে দুটি জাহাজই পৃথক স্থানে নোঙর করা আছে।’ 

জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া থেকে ২৭ হাজার ২১০ টন মসুর ডাল নিয়ে গত ১৪ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরে আসে এমভি ফ্রেন্ডলি আইল্যান্ড। সে সময় থেকে ডাল খালাস করছে জাহাজটি। আর শনিবার ৪৩ হাজার ৭৫৫ টন সার নিয়ে চট্টগ্রামে আসে সার বহনকরী পানামার পতাকাবাহী এমভি নাভিওস সেলেসটিলা জাহাজ।

‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম
‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’
নিহত স্কুলশিক্ষক নজরুল ইসলাম ও তার লেখা চিরকুট

‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’- এমন চিরকুট লিখে বরগুনার আমতলীতে নজরুল ইসলাম নামে এক স্কুলশিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আমতলীর হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নজরুল ইসলাম উপজেলার উত্তর টিয়াখালী ছোবাহান বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। 

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হরিদ্রাবাড়িয়ার খালেক খানের ছেলে নজরুল ইসলামের সঙ্গে দেড় বছর আগে একই গ্রামের দুলাল ভূঁইয়ার মেয়ে খাজিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলে আসছে। গতকাল শুক্রবারও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে শনিবার সকালে স্ত্রী খাজিদা তার বাবার বাড়ি চলে যান। দুপুরে স্থানীয়রা নজরুলকে বাড়ির পাশে গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ সময় নজরুলের পরনে কাপড়ে পেঁচানো একটি চিরকুট পাওয়া যায়।

নজরুলের ভাই ফোরদৌস বলেন, ‘আমার ভাইকে তার স্ত্রী বিয়ের পর থেকেই নানাভাবে অত্যাচার করে আসছেন। এ নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি গলায় ফাঁস দিয়েছেন।’

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’

সুনামগঞ্জে মাদ্রাসার টাকা নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১০

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৭ পিএম
সুনামগঞ্জে মাদ্রাসার টাকা নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১০
সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা রায়বাঙ্গালী গ্রামের সরকারি মাদ্রাসার ফান্ডের টাকা নিয়ে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতির লোকজনের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১২ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রায়বাঙ্গালী গ্রামের সরকারি দাখিল মাদ্রাসার সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন আব্দুল মালিক। সভাপতি পদ বিলুপ্ত হওয়ার পর মাদ্রাসার ফান্ডের টাকা নিয়ে গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মনু মিয়া, তছর মিয়া ও সুফি মিয়ার লোকজনের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে শনিবার বেলা ১১টায় মাদ্রাসায় বৈঠকে বসে উভয় পক্ষ। বৈঠকের একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হলে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে গোলাগুলি শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। এ সময় অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন। 

সংঘর্ষে গুরুতর আহত জুয়েল মিয়া (৩৬), সুমন মিয়া (৩২), আব্দুল আউয়াল (৪০), রঞ্জু মিয়া (৩৮), আলমগীর (২৫), মুজিবুর রহমান (৬০), ফারদীন মিয়া (২৫), সাবেল মিয়া (২৫), সাহাবুদ্দিন (৪০),  আনোয়ার হোসেন (৪২), রোজিনা বেগম (৪০), রাবেয়া বেগমকে (৪৫) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক রায়হান মিয়া জানান, আহতদের শরীরে ছররা গুলিবিদ্ধ রয়েছে। এখানে গুলি বের করার ব্যবস্থা নেই। গুরুতর আহত ১২ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, মারামারির খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আসে।