আগামী ১৫ আগস্ট চট্টগ্রামের মাটিতে আওয়ামী লীগ নামলে তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামেও রোড মার্চের এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ১৫ আগস্টে সজাগ থাকার ব্যাপারে আওয়াজ তোলেন।
এর আগে বেলা ৩টায় মহানগরের ষোলশহর স্টেশনে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ৩টার মধ্যে হাজারও শিক্ষার্থী সেখানে জড়ো হয়ে হাসিনার ফাঁসি চাই স্লোগানে পুরো শহর মুখরিত করে তোলেন।
বেলা ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা ষোলশহর স্টেশন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে মুরাদপুরের দিকে যাত্রা শুরু করেন। এ সময় তারা গণহত্যার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবি জানান।
পরে মিছিলটি মহানগরের বহদ্দারহাট মোড়ে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, রাসেল আহম্মেদ, জুবায়েরুল হক, ফজলুল হক মামুন, মহসিন কলেজের সমন্বয়ক আসিফ আদনানসহ অন্যরা। কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে নিহত শহিদদের শহিদ স্পটগুলো (যেখানে গুলিতে নিহত হন) পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘কিছুতেই আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। তাদের প্রতিহত করতে হবে। কেননা তারা এ দেশের ছাত্র-জনতাকে মেরেছে, হত্যা করেছে, গুম করেছে। আমরা হাসিনাকে পাশের দেশে পাঠিয়ে দিয়েছি। তার দোসরদেরও চলে যেতে হবে। এখানে তাদের কোনো ঠাঁই নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময় আরও কঠিন। আমাদের ঘরে ফিরলে চলবে না। এই দেশকে যেমন সংস্কার করতে হবে, তেমনি শত্রুদের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে শক্ত হাতে। এই স্বাধীনতা আমাদের রক্ষা করতেই হবে।’
জুবায়েরুল হক বলেন, ‘আগামী ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ আমাদের বিপ্লব নস্যাৎ করতে প্রতিবিপ্লব করতে চায়। আমরা বলতে চাই, এটি কখনো সম্ভব হবে না। আমরা এটি হতে দেব না। আমরা এখন ছাত্রলীগ, যুবলীগকে ভয় পায় না। আমরা পুলিশকে ভয় পায় না। আমরা ১৫ আগস্ট পাহারা দেব। তারা কী করে বিপ্লব করে আমরা দেখব। আমরা ছাত্র-জনতা তাদের ঠেকাব। যেখানেই সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করবে সেখানেই প্রতিহত করা হবে। পরাজিত শক্তিকে কিছুতেই মাঠে থাকতে দেওয়া হবে না। তাদের নেত্রী যেমন পালিয়েছে, তেমনি তাদেরও পালাতে হবে চিরতরে। আমরা হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করব ইন্শাআল্লাহ। প্রতিটি গুলির বিচার করব।’