বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পতন হয় হাসিনা সরকারের। এর পরপরই চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র তোফাইল বিন হোছাইনসহ অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিরা এখন লাপাত্তা। আত্মগোপনে চলে গেছেন অনেকে। তাদের অফিস ফাঁকা পড়ে আছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ। তবে তাদের মধ্যে স্বতন্ত্রভাবে বিজয়ী পুইছড়ির তারেকুর রহমান, সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কেএম সালাহউদ্দিন কামাল, পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিন, শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদুল ইসলাম ফারুকী এবং বাহারছড়ার রেজাউল করিম ইউনুস নিয়মিত অফিস করছেন। এ ছাড়া গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী কারাগার থেকে মুক্ত হলেও তার এলাকার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রয়ে গেছেন। লেয়াকত আলী গত বছর প্রথমবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই ওসমান গণি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বাঁশখালীতে বর্তমানে আত্মগোপনে থাকা জনপ্রতিনিধিরা হলেন, পৌরসভার মেয়র তোফাইল বিন হোছাইন, ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ, চাম্বলের মুজিবুল হক চৌধুরী, শীলকূপের কায়েস সরওয়ার সুমন, বৈলছড়ির কফিল উদ্দিন, সরলের রশিদ আহমদ চৌধুরী, খানখানাবাদের জসীম উদ্দিন হায়দার, কালীপুরের শাহাদাত আলম এবং কাথরিয়ার ইবনে আমিন।
ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ সম্পর্কে মোজাম্বিকে পালানোর গুঞ্জন থাকলেও তিনি বাড়িতেই আছেন। যদিও ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত তিনি। অন্যদিকে গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা লেয়াকত আলী জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় ফিরেছেন। তিনি এর আগে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন এবং একাধিক মামলায় জেলে ছিলেন। বতর্মানে তিনি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পেতে আইনি লড়াই করছেন।
চাম্বল ইউনিয়নের মুন্সীখীল এলাকার বাসিন্দা আরাফাত সানি বলেন, ‘চাকরির আবেদনের জন্য চেয়ারম্যান সনদ নিতে গত তিন দিন ধরে পরিষদে ঘোরাঘুরি করছি। কিন্তু চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে সনদ নিতে পারছি না। চেয়ারম্যান সনদ না পেলে আমার চাকরির আবেদন করা হবে না।’
একই এলাকার আবদুল মজিদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্থায়ী বাসিন্দা সনদ ছাড়া ছাত্রাবাসে সিট বরাদ্দ পেতে আবেদন করতে পারছি না। এ কাজে কয়েক দিন ধরে পরিষদে ঘুরছি। প্রতিদিন যাতায়াতে অর্থ ও শ্রম ব্যয় হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।’
বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ বলেন, ‘আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জনসাধারণকে থানায় সেবা নিতে আসার জন্য বলেছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’