চট্টগ্রাম থেকে পুরোদমে চালু হয়েছে ট্রেন চলাচল। শিডিউল অনুযায়ী চট্টগ্রাম ছেড়ে যাচ্ছে মালবাহী ট্রেন। পাশাপাশি চলছে মেইল, এক্সপ্রেস, লোকাল, কমিউটার ট্রেন। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) থেকে চালু হয়েছে আন্তঃনগর ট্রেন।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে মালবাহী ট্রেন চালু করি। এরপর চালু হয় লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল। আজকে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে সাগরিকা এক্সপ্রেস, সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, বিকাল ৩টায় ঢাকার উদ্দেশে মহানগর গোধুলী, বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ও ময়মনসিংহগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস, বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, বিকাল ৫টায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে নাজিরহাট লোকাল ট্রেন ছেড়ে গেছে।
এদিকে সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস, রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিলেটগামী উদয়ন এক্সপ্রেস, রাত ১১টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী পর্যটন এক্সপ্রেস, রাত সাড়ে ১১টায় তূর্ণা নিশীতা ও ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকাগামী মেইল ট্রেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যাবে। এছাড়াও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বেলা ১২টার দিকে হাটহাজারী ও দোহাজারীর উদ্দেশে দুটি মালবাহী ট্রেন ছেড়ে গেছে।
এর আগে সোমবার (১২ আগস্ট) থেকে শুরু হয় মালবাহী ট্রেন চলাচল এবং মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) থেকে মেইল, এক্সপ্রেস, লোকাল, কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম, ঢাকা, গাজীপুর, ফেনী ও ময়মনসিংহ, রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হলে তাতে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরের দিন ট্রেন চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির দিন সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরদিন ১৯ জুলাই সরকারের কারফিউ জারি করার পর থেকে সারাদেশে পুরোপুরি বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এর মধ্যে গত ১ থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত সীমিত পরিসরে কমিউটার ট্রেন চলাচল করেছিল। পরে ৪ আগস্ট রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।