ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন হত্যা মামলায় সাবেক এমপি ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমানের আদালতে তাকে হাজির করে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এ সময় বাদীপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ৯ দিন মঞ্জুর করা হয়। এর আগে তাজুল ইসলামকে রাজধানীর গুলশানে তার নিজ বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করতে ১৯ নভেম্বর বিকেলে বাঞ্ছারামপুর থানা এলাকায় লিফলেট বিতরণ করছিলেন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ হামলা করলে সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে মারা যান। এ ঘটনায় নয়নের বাবা রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে কনস্টেবল বিশ্বজিৎকে প্রধান আসামি করে তৎকালীন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে আদালতে একটি মামলা করেছিলেন। কিন্তু ওই মামলা খারিজ করে দেন আদালত।
একই বছরের ২০ নভেম্বর এই ঘটনায় পুলিশ এসআই আফজাল হোসেন বাদী হয়ে হত্যা, পুলিশের কর্তব্যে বাধা, হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও সরকারি সম্পদের ক্ষতির অভিযোগে একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় ১৭ জন বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছিল। সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক এমপি এ বি তাজুল ইসলামকে। গতকাল বিকেলে ক্যাপ্টেন তাজকে আদালতে তোলা হলে বিএনপির বিপুলসংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত হন। আদালতে তার ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। তবে এ সময় তাজের পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত থাকলেও রিমান্ডের বিরোধিতা কেউ করেননি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান মামুন ও তারিকুল ইসলাম রোমা জানান, ছাত্রদলের নয়নকে আওয়ামী ক্যাডাররা পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় হত্যা করেছিল। তখন আদালতে একটি মামলা করলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। এই তাজুল ইসলামের নির্দেশে মামলাটি খারিজ হয়। এখন মুক্ত পরিবেশ হওয়ায় পুলিশের মামলায় ক্যাপ্টেন তাজকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।