ঢাকা ৫ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

সিসিকের মাস্টাররোলে কর্মরত ৪৪ কর্মচারী ছাঁটাই

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৭ পিএম
সিসিকের মাস্টাররোলে কর্মরত ৪৪ কর্মচারী ছাঁটাই
ছবি: সংগৃহীত

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়রকে অপসারণের পর এবার তার নিয়োগকৃত ৪৪ কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। মেয়রের সরাসরি নিয়োগে সিসিকের বিভিন্ন সেকশনে মাস্টাররোলে কর্মরত ছিলেন তারা।

বুধবার (২১ আগস্ট) তাদেরকে ছাটাই করা হয়। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমদ চৌধুরী খবরের কাগজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, গত বছরের ২১ জুন পঞ্চমবারের মতো সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। গত বছরের ৭ নভেম্বরে তিনি মেয়র পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর থেকেই সিসিকের বিভিন্ন সেকশনে মেয়র তার অনুগত লোকদের বসিয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এরপর থেকে তার নিয়োগ দেওয়া বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিষ্কৃয় ছিলেন। সরকার পতনের পরই গুঞ্জন উঠে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নিয়োগ দেওয়া  কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছাঁটাই করা হবে। এ গুঞ্জন সত্য হয় ৪৪ কর্মচারী ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে।

সিসিক সূত্রে জানা যায়, যে ৪৪ জন কর্মচারী ছাঁটাই করা হয়েছে তারা মাস্টাররোলের একমাস কাজ করে একমাসের বেতন পেয়েছেন। এ কর্মচারীরা আবেদন করে চাকুরিতে যোগ দিলেও ৫ আগস্টের পর মেয়র আত্মগোপনে থাকায় তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফাইল অনুমোদন হয়নি। তাই তাদেরকে ছাঁটাই করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমদ চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, যে ৪৪ জন কর্মচারীকে বাদ দেওয়া হয়েছে তারা সিসিকের বিভিন্ন সেকশনে মাস্টাররোলে কর্মরত ছিলেন। মাস্টাররোল কোনো চাকরি না। এটা অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয় প্রশাসনিক কাজের স্বার্থে। যখন  লাগে না তখন আমরা বাদ দিয়ে দেই। তারা একমাস কাজ করেছিলেন। একমাসের বেতন নিয়েছেন। আর এই বিষয়গুলো সরাসরি মেয়র দেখেন। যেহেতু মেয়র সাহেবের পদ নেই তাই তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফাইল অনুমোদন হয়নি। তাই তাদেরকে আমরা বলেছি আর কাজ কন্টিনিউ করার দরকার নেই।

শাকিলা ববি/এমএ/

জিয়ার জীবনগাথা প্রচারে সিলেটে শিক্ষার্থীবান্ধব আয়োজন

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম
জিয়ার জীবনগাথা প্রচারে সিলেটে শিক্ষার্থীবান্ধব আয়োজন
ছবি: খবরের কাগজ

রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবনগাথা ও মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা নিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে জানাতে ও জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ইতিহাস বিকৃতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদেরকে সচেতন করতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে সিলেট বিএনপি। অনুষ্ঠানে ৫৩০ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপকরণ সামগ্রী বিতরণ ও প্রায় দেড় হাজার মানুষের মধ্যে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শিক্ষার্থীবান্ধব এ আয়োজন সবার দৃষ্টি কাড়ে। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের উদ্যোক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী। শিক্ষার্থীবান্ধব এ আয়োজনে যোগ দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রো-ভিসি প্রফেসর সাজেদুল করিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ক্ষুদ্র ও ঋণবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, বিএমএ সিলেটের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীসহ প্রমুখ। 

শিক্ষার্থীবান্ধব ব্যতিক্রমী আয়োজনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ আহমদ খসরু। সূচনা বক্তব্য দেন আয়োজক বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সম্মূখসমরে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। তিনি শুধু স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগই নেননি, বরং সেই লক্ষ্য নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে কাজ করেছেন। তিনি সার্ক গঠন করার পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়ার কারণেই হয়তো তাকে শাহাদাত বরণ করতে হয়েছিল। তাই শহিদ জিয়ার জীবনাদর্শ আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।’

শিক্ষার্থীদের জিয়ার জীবনগাথার পাশাপাশি ইতিহাসের নানা বাঁক বদল ও দমনপীড়নের মধ্যেও বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলের টিকে থাকার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। সেই সঙ্গে জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে অতীতে ইতিহাস বিকৃতির বিষয়ে সচেতন থাকার আহবান জানানো হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জিয়াউর রহমান যে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা শেখ মুজিবুর রহমানও স্বীকার করেছেন। 

সমাপনী বক্তৃতায় অনুষ্ঠানের আয়োজক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বক্তৃতায় বলেন, ‘শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে। এসব তথ্য বিভ্রান্তি দূর করতে শিক্ষার্থীদের এই অনুষ্ঠান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ভয়াবহ গণহত্যা শুরু হওয়ার পর ২৬ মার্চ প্রত্যুষে মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন।’

শহিদ জিয়ার জন্মশতবর্ষ পর্যন্ত প্রচারণা চালোনোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করে মিফতাহ্ সিদ্দিকী আরও বলেন, শহিদ জিয়া যে উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনপি গঠন করেছিলেন, আমরা যদি সেই চেতনাকে ধারণ করে আগামী ১১ বছর অর্থাৎ শহিদ জিয়ার জন্মশতবর্ষ পর্যন্ত প্রচা্র কাজ করি, তাহলে ইতিহাস বিকৃতি ঘুচে যাওয়ার পাশাপাশি এই দেশ সত্যিকার অর্থে শহিদ জিয়ার স্বপ্নের স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হয়ে উঠবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপিরসহ সভাপতি সুদিপ রঞ্জন সেন ও বদরুদ্দোজা বদর, জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি নিগার সুলতানা ডেইজি, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক কুমকুম বেগম প্রমুখ। 

মাহফুজ

 

আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী: বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী: বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মঞ্জুর মোরশেদ আলম। ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মঞ্জুর মোরশেদ আলম বলেছেন ‘কোন ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না ৷ আমরা আগের মতো নই ৷ আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী’। তিনি বলেন, আমরা শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত থাকবো ৷ জনগণের সঙ্গে থাকবে সুসম্পর্ক ৷ মাদক, ইভটিজিং ও চাঁদাবাজি বন্ধে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা সবাই মিলে সমৃদ্ধ, ঐক্যবদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়বো ৷

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ পৌর অডিটরিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাকেরগঞ্জে সুশীল সমাজের আয়োজনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিবৈষম্যহীন মানুষের সঙ্গে সাম্প্রতিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দীন, এডিশনাল এসপি (বাকেরগঞ্জ সার্কেল) মো. আলাউল হাসান, বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ ৷

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন- বাকেরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ফিরোজ আলম ৷ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইন চার্জ সফিকুল ইসলাম ৷

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাকেরগঞ্জ উপজেলা পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির জোমাদ্দার, বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নাসির হাওলাদার প্রমুখ ৷

এমএ/

প্রায় ২০ লাখ টাকা ও ইয়াবাসহ বিএনপি নেতার স্ত্রী-ছেলে আটক

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম
প্রায় ২০ লাখ টাকা ও ইয়াবাসহ বিএনপি নেতার স্ত্রী-ছেলে আটক
যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক দুইজন। ছবি: খবরের কাগজ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে প্রায় ২০ লাখ টাকা ও এক হাজার পিস ইয়াবাসহ এক বিএনপি নেতার স্ত্রী-ছেলেকে আটক করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ৩টার দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগী চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে যৌথ বাহিনী।

আটক কাজল রেখা ওরফে কাজলি খাতুন (৪৬) ও তার ছেলে আব্রাহাম লিংকন (২০) উপজেলার মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির ৪ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়াকত আলীর স্ত্রী ও ছেলে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা।

সেনাবাহিনীর কুষ্টিয়া ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতে সেনাবাহিনী কুষ্টিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা দৌলতপুর উপজেলার বৈরাগীরচর এলাকার লিয়াকত আলীর বাড়িতে অভিযান চালায়, এ সময় এক হাজার পিস ইয়াবা এবং ১৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকাসহ কাজল রেখা ওরফে কাজলি খাতুন ও তার ছেলে আব্রাহাম লিংকনকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

ওসি নাজমুল হুদা বলেন, ‘সেনাবাহিনী ও পুলিশের অভিযানে সাবেক ইউপি সদস্য লিয়াকতের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ও এক হাজার পিস ইয়াবাসহ তার স্ত্রী-সন্তানকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আজকেই আসামিদের কারাগারে পাঠানো হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব শহিদ সরকার মঙ্গল বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যদি এমন হয়ে থাকে, তবে আমরা তাকে দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে দল থেকে বহিষ্কার করব।’

মিলন/সালমান/

ছাত্রীনিবাস থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম
ছাত্রীনিবাস থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ছাত্রীনিবাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীনিবাস থেকে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ছাত্রীনিবাসের ২০০১ নম্বর কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত রিয়ামনি আক্তার মিলা (১৮) বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের মো. মনিরুল ইসলামের মেয়ে।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ৮টার দিকে মিলা ছাত্রীনিবাসে আসেন। সকাল ১০টার দিকে তার রুমমেটরা রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকার সময় মিলা ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে সহপাঠীরা দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

অন্যদিকে, দুপুর ১২টার দিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মো. আবু নাহিয়ান অর্পন নামে এক যুবক নিজেকে মিলার স্বামী দাবি করেন। তিনি জানান, গতকাল (শনিবার) তাদের বিয়ে হয়েছে। উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে বিয়ের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। স্বামী দাবি করা নাহিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোদাচ্ছের বিল্লাহ্ বলেন, ‘মিলা আমার কলেজের একজন মেধাবী ছাত্রী। সে কেন এ ধরনের কাজ করেছি বুঝতে পারছি না। এ ঘটনায় পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আশা করি তদন্তে সব বের হয়ে আসবে।’

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু হয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

হাসিবুর/সালমান/

জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ায় সিবিএ নেতাকে শোকজ, ২ জনকে বদলি

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৯ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম
জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ায় সিবিএ নেতাকে শোকজ, ২ জনকে বদলি
আব্দুস সোবহান, নাজমুল ইসলাম এবং মঞ্জুর আহমদ (বাঁ থেকে)

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের কর্মচারী ও কর্মচারী লীগের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহানকে শোকজ ও দুই নেতাকে বদলি করা হয়েছে।  

গ্যাস ফিল্ডের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ফরিদুল হুদার সই করা অফিস আদেশে এ শোকজ ও বদলি করা হয়।

জানা যায়, গত ১৬ জানুয়ারি বেলা ১১টায় সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন দপ্তরের ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (হিসাব ও অর্থ) পান্না লাল ধরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক উসমানী আলী ও কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান। সোবহান তার বক্তব্য শেষে জয় বাংলা স্লোগান দেন। এর প্রেক্ষিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর অভিযোগ জানায় বিএনপিসমর্থিত কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা।

এরপর শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ফরিদুল হুদা স্বাক্ষরিত চিঠিতে সোবহানকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়। দুদিনের মধ্যে তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয় চিঠিতে। এরপর শনিবার (১৮ জানুয়ারি) আরেক আদেশে কর্মচারী লীগের প্রচার সম্পাদক জুনিয়র কম্পিউটার অপারেটর নাজমুল ইসলামকে রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডে ও জুনিয়র কম্পিউটার মঞ্জুর আহমদকে বিয়ানীবাজার ফিল্ডে বদলি করা হয়।

এ ব্যাপারে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (সমন্বয়) মো. আব্দুর রহমান চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘মহাব্যবস্থাপকের আদেশে দুজন কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। এটা ওই স্লোগানের জন্য করা হয়েছে কি-না আমার জানা নেই। আরেকজন সিবিএ নেতাকে শোকজ করা হয়। তবে শোকজের বিষয়টি প্রশাসনের এডমিনে দায়িত্বরতরা ভালো বলতে পারবেন।’

সালমান/