ঢাকা ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

আশ্রয়কেন্দ্রে আর্তনাদ ‘পেট তো বন্যা মানে না’

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২১ এএম
‘পেট তো বন্যা মানে না’
মালামাল নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন রহিমা-বেলাল দম্পতি। ছবি: খবরের কাগজ

রহিমা বেগমের বয়স ৪০-এর কাছাকাছি। স্বামী নিজাম উদ্দিন আর দুই শিশুসন্তান নিয়ে তার ছোট সংসার। ফেরিওয়ালা স্বামী বেলালকে নিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী বাজারের পাশে একটি কাঁচা ঘরে তাদের বসবাস। অর্থের অভাব থাকলেও সুখের ঘাটতি ছিল না। বন্যার পানি তাদের ভাড়া বাসায় হানা দেয়। ডুবিয়ে দেয় থাকার ঘর। প্রতিবেশী অনেক ভাড়াটিয়া নিজ বাড়িতে বা নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে চলে গেলেও রহিমা-বেলাল দম্পতির যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। নিরুপায় হয়ে গত দুদিন ঘরে পানিবন্দি ছিলেন। কোথায় যাবেন, কার কাছে যাবেন তা ভেবে ঠিক করতে পাচ্ছিলেন না। পরে বেলাল জানতে পারেন তার মতো আরও অনেকেই মান্দারী এলাকার জিল্লুর রহিম কলেজে আশ্রয় নিয়েছেন। খবরটি শুনে তাদের মনে আশার আলো জাগে।

ঘরে থাকা নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল, স্ত্রী আর আদরের দুই সন্তান নিয়ে বেলাল চললেন জিল্লুর রহিম কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে। কলেজে যাওয়ার পথের মাঠটিও তলিয়ে গেছে। হাঁটু সমান পানি। তখন স্বামীকে মালামাল আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে সহায়তা করেন রহিমা বেগম। গতকাল শনিবার সকালে যখন তারা কলেজ গেটের সামনে এসে মালামাল রাখলেন তখন কথা হয় প্রতিবেদকের সঙ্গে। বেলাল বলেন, চারজন আশ্রয় না হয় পেলাম। কিন্তু চারজনের পেট চলবে কীভাবে? পেট তো আর বন্যার কথা মানে না।

বেলাল বলেন, আগে ফেরি করে মালামাল বিক্রি করলেও এখন সে সুযোগ নেই। বিকল্প কোনো কাজের সুযোগও নেই। মাঠ-ঘাট, দোকানপাট সবই পানির নিচে। আমার মতো অনেকেই এখন বেকার। রহিমা-বেলাল দম্পতির মতো আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা অনেকেরই প্রশ্ন, তিন বেলা খাওয়াবে কে?

বাঁধ ভেঙে প্লাবিত অর্ধশত গ্রামের মানুষ দিশেহারা

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৪ এএম
অর্ধশত গ্রামের মানুষ দিশেহারা
নিজ বসতবাড়ির ধ্বংসস্তূপের ওপরে দাঁড়িয়ে প্রতিবন্ধী হাফিজুল-শেফালী দম্পতির একমাত্র সন্তান সাব্বির সরদার। সাব্বির নিজেও একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার নগরঘাটা থেকে তোলা। খবরের কাগজ

হাফিজুল হোসেন ও শেফালী খাতুন দম্পতি সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানা এলাকার নগরঘাটায় বসবাস করেন। দুই শতক জমির ওপর নির্মিত মাটির একটি ঘরই ছিল তাদের শেষ সম্বল। সম্প্রতি টানা বৃষ্টিপাত ও বেতনা নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তাদের এলাকা প্লাবিত হয়। এতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর এই দম্পতিকে আশ্রয়স্থল হারাতে হয়।

স্বামী-সন্তান প্রতিবন্ধী হওয়ায় ভাতার টাকায় কোনো রকমে সংসার চলত শেফালীর। একই সঙ্গে ইট ভাটায় কাজ করে শ্রমে-ঘামে মাটির ঘরে তৈরি করেন প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। তবে এর কোনটাই রক্ষা করতে পারেননি শেফালী। এক কাপড়ে স্বামী, সন্তান নিয়ে তাকে ঘর থেকে বেড়িয়ে আসতে হয়।

সরেজমিনে হাফিজুল-শেফালীদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাদের ঘর ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে ধ্বংসস্তূপের ক্ষত। মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় পানি নেমে গেলেও এখনো প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রিত অবস্থায় দিন পার করছেন তারা। সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে মেলেনি কোনো সহায়তা। টাকা না থাকায় নতুন করে ঘর বানাতে পারছেন না। এতে ঘরবাড়ি হারিয়ে এই দম্পতি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

শেফালী খাতুন জানান, একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে বেতনার বাঁধ ভেঙে তাদের এলাকা প্লাবিত হয়। এতে প্রচণ্ড পানির তোড়ে ঘটনার দিন দুপুরে বসতবাড়ি ভেঙে যায়। সে দিন তারা ঘর থেকে যে কাপড় নিয়ে বের হয়েছিলেন, সেগুলোই এখন একমাত্র সম্বল। কোনো রকমে স্বামী-সন্তান নিয়ে প্রাণে বাঁচলেও রক্ষা করা সম্ভব হয়নি গৃহস্থালির আসবাবপত্র।

ক্ষোভ প্রকাশ করে শেফালী বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ সহায়তার হাত বাড়ায়নি। বাঁচলাম কী মরলাম কেউ খোঁজ রাখেনি। গত কয়েক দিন ধরে মানুষের দেওয়া খাবার খেয়ে কোনোমতে বেঁচে আছি। স্বামী-সন্তানের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আর নিজের পরিশ্রমের অর্থ দিয়েও যেখানে পেটের খাবার জোগানো দায়, সেখানে সহায়তা ছাড়া নতুন করে ঘর বানানো আমার পক্ষে সম্ভব না।

শুধু হাফিজুল-শেফালি দম্পতির বসতবাড়ি নয়। একদিকে বৃষ্টি অপরদিকে বেতনার বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করার ফলে নগরঘাটা এলাকাসহ ৫০টি গ্রামের অধিকাংশ মাটির ঘরের একই দশা। বেতনা নদীর নিকটবর্তী হওয়ায় নগরঘাটা এলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটা বেশি। এখানকার মাটির ঘর বলতে শুধু ধ্বংসস্তূপের চিহ্ন। ঘরবাড়ি, গাছপালা, শৌচাগার, হাঁস-মুরগির খোয়াড় সব ভেঙে পড়ে আছে। ঘর ভেঙে মিশে গেছে মাটির সঙ্গে।

এমনই একজন নগরঘাটা এলাকার ভ্যানচালক আব্দুর রহমান। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বসতবাড়ি হারানোর পর থেকে গোয়ালঘরে বসবাস করতে হচ্ছে তাকে। আব্দুর রহমান বলেন, ঘর বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পর কিছুদিন অন্যের জমিতে থাকতে হয়েছে। পরে প্রতিবেশীদের নানান সমস্যা হওয়ায় সেখানে আর থাকা হয়নি। নতুন করে ঘর নির্মাণ কিংবা সংস্কার করার অর্থ আমার ছিল না। এ জন্য উপায়ন্তর না পেয়ে ভ্যানের ব্যাটারি বিক্রি করে গোয়ালঘরে থাকার পরিবেশ তৈরি করি। এখন স্ত্রীকে নিয়ে সেখানে থাকতে পারলেও অনাহারে দিন কাটছে। তার ওপর ভ্যানের ব্যাটারি বিক্রি করায় আয়ের উৎসও বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

একই এলাকার নাসিরউদ্দিন বলেন, এলাকার সবার মতো তার মাটির ঘরটিও ভেঙে গেছে। বর্তমানে অন্যের আশ্রয়ে রয়েছেন। সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে কোনো সহায়তা না পাওয়াতে মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা করছেন তিনি।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাই তার বক্তব্য জানা যায়নি।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ভারী বর্ষণের কারণে ১৭ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিনেরপোতা এলাকার বেতনা নদীর বাঁধ ভেঙে ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। চার দিন পর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করেন। তবে ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সংস্কার করা বাঁধ আবারও ভেঙে যায়। পরে ২৯ সেপ্টেম্বর বাঁধটি মেরামত করা সম্ভব হলেও ততক্ষণে বেতনার পানিতে প্লাবিত হয় কমপক্ষে ৫০টি গ্রাম। এ সময় পানির তোড়ে পড়ে অধিকাংশ মাটির ঘর ভেঙে মাটিতে মিশে যায়।

রাজবাড়ীতে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৪ এএম
আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৬ এএম
রাজবাড়ীতে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর
সজ্জনকান্দা মধ্যপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। ছবি : খবরের কাগজ

রাজবাড়ী শহরের বাস মালিক সমিতির পাশে অবস্থিত সজ্জনকান্দা মধ্যপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে জানান মন্ডপ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। ওই সময় মন্দিরে কোনো লোক ছিল না।

পুলিশ ও মন্দির কমিটির সাথে কথা বলে জানা যায়, অস্থায়ী মন্ডপ তৈরি করে রাজবাড়ী-ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মন্দিরের পেছনে বাস মালিক সমিতির কার্যালয়। রাতে মন্দিরে পাহারার ব্যবস্থা ছিল। সকালে পাহারাদার চলে যায়। বেলা ১১টার দিকে ডেকোরেটরের লোকজন মন্দিরে সিসি ক্যামেরা লাগানো ও সাজসজ্জার কাজ করতে আসেন। এ সময় মন্দিরের সামনে থাকা কাপড় সরালে প্রতিমা ভাঙার বিষয়টি চোখে পড়ে।

মন্ডপে থাকা দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মীর চোখ, নাক, মুখ ভেঙে ফেলেছে। এছাড়া কার্তিক ও গনেশের ঘার থেকে ভাঙা দেখা গেছে।

ডেকোরেটরের শ্রমিক বিষয়টি মন্ডপ কমিটিকে জানালে তারা প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন। সন্ধার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয় নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। অনেকেই ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করে দোষীদের বিচার চান। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত হন।

অনেক বছর ধরে রাজবাড়ী বাস মালিক সমিতির আয়োজনে বাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে সামনে মন্ডপ করে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। এ বছর বাস মালিক সমিতির আয়োজনে ওই পূজা হচ্ছে না। এ কারনে স্থানীয়দের আয়োজনে সজ্জনকান্দা মধ্যপাড়া সর্বজনীন মন্ডপে এ পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

সজ্জনকান্দা সর্বজনীন দু্র্গা মন্ডপের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাধন চন্দ্র দাস বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কোনো কথা বলেনি।

তবে এই পুজা মন্ডপের উদ্যোক্তা কুঞ্জন সরকার জানান, কারা ঘটনা ঘটেয়েছে বিষয়টি আমরা জানি না। এজন্য কারও প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। আর এই কারনেই আমরা ঘটনা কাউকে জানাইনি। রাতের মধ্যেই প্রতিমা আমরা ঠিক করে ফেলব। এজন্য প্রতিমাশিল্পীদেরও নিয়ে এসেছি।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোছা. শামীমা পারভীন জানান, ধারণা করা হচ্ছে  প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘটেছে। বিষয়টি মন্দির কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়নি। আমাদের সোর্সের মাধ্যমে জেনে দ্রুত মন্দিরে এসেছি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আমরা শহরের প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে মন্দির কর্তৃপক্ষকে অনেকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু এই মন্দিরে আজকে ঘটনা ঘটার পর সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুমন বিশ্বাস/অমিয়/

চমেক হাসপাতালে সাবেক এমপি লতিফ

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৭ পিএম
চমেক হাসপাতালে সাবেক এমপি লতিফ
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম-১১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এমপি লতিফকে (৫৬) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে কারারক্ষীরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। 

এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন কারারক্ষী সন্ধ্যার দিকে সাবেক এমপি লতিফকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। লতিফ হুইল চেয়ারে বসে ছিলেন। তার মুখে মাস্ক এবং ডান দিকের কপালে ব্যান্ডেজ দেখা যায়। 

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার খবরের কাগজকে বলেন, কারারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, বাথরুমে মাথাঘুরে পড়ে ডান পাশের কপালে আঘাত পান সাবেক এই সংসদ সদস্য। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ১৯নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। 

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওজু করতে গিয়ে পা পিছলে বাথরুমে পড়ে আহত হয়েছেন তিনি। বয়স্ক মানুষ, উনার বাইপাস হয়েছে, তাই এমনটা হতে পারে। উনাকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

তারেক মাহমুদ/এমএ/

বন্যায় আশ্রিত শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, বৃদ্ধ কারাগারে

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪১ পিএম
বন্যায় আশ্রিত শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, বৃদ্ধ কারাগারে
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বন্যায় আশ্রয় নেওয়া পরিবারের দুই বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মো. হারুন (৫৫) নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মো. হারুন চাষিরহাট ইউনিয়নের রথি গ্রামের মৃত ইমরাত উল্যাহ মুন্সির ছেলে। বিকেলে আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদ আলম খবরের কাগজকে বলেন, ভুক্তভোগীর অটোরিকশা চালক (৪১) বাবার দায়ের করা মামলায় আসামি মো. হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি মো. হারুন বাদির প্রতিবেশি চাচা হয়। বন্যার কারণে বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় বাদি পরিবার নিয়ে আসামির বাড়িতে আশ্রয় নেন। গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে বাদির দুই বছরের কন্যাকে নির্জন কক্ষে নিয়ে আসামি হারুন ধর্ষণের চেষ্টা করেন। শিশুর চিৎকারে লোকজর জড়ো হলে আসামি পালিয়ে যায়।

আদালতের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. শাহ আলম খবরের কাগজকে বলেন, আসামি মো. হারুনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ইকবাল হোসেন মজনু/এমএ/

বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির লাশ ২৬ ঘণ্টা পর ফেরত

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩২ পিএম
বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির লাশ ২৬ ঘণ্টা পর ফেরত
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা ভর্তি সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে কামাল হোসেন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। পরে তার মরদেহ ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের যশপুর বিওপির কাছে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত কামাল হোসেন সদর দক্ষিণ উপজেলার কুড়িয়াপাড়া গ্রামের ইদু মিয়ার ছেলে।

এ ঘটনার দীর্ঘ ২৬ ঘন্টা পর পতাকা বৈঠক শেষে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৯টার দিকে তার মরদেহ ফেরত দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ইফতেখার হোসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাহাড়পুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন কামাল হোসেনসহ ৩ জন। কাঁটাতারের বেড়া টপকানোর পর এ তিনজনকে বিএসএফের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। এর কিছুক্ষণ পরই একটি গুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। এ সময় সেখান থেকে দুইজন দৌড়ে পালিয়ে গেলেও কামাল হোসেন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকেন। এরপর আরও একটি গুলির শব্দ শোনা যায়।  গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন কামাল। পরে বিএসএফ সদস্যরা একটি অ্যাম্বুলেন্সযোগে তার মরদেহ নিয়ে যায়।

নিহত কামালের মেয়ে কামরুন্নাহার জানায়, লাদেন কামাল ও শাহ আলম নামে দুই লোক ৭ তারিখ বিকালে আমার বাবাকে নিয়ে সীমান্তে যায়। এরপর আর উনি আসেনি। রাতে লোকজন খবর দেয় আমার বাবাকে বিএসএফ গুলি করে মেরে ভারতে নিয়ে গেছে। আমার বাবাকে কেন মারল তারা আমি জানি না। লাদেন কামাল আর শাহ আল পালিয়ে গেছে।

নিহত কামালের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলের বিরুদ্ধে কোন অপরাধের অভিযোগ থাকলে তারে জেলে দিয়ে বিচার করতেন। এভাবে মেরে ফেললেন কেন?

১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ইফতেখার হোসেন জানান, কামাল হোসেন নামের ওই যুবক সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে পরলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

জহির শান্ত/এমএ/