ঢাকা ২৬ কার্তিক ১৪৩১, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

অঢেল টাকার মালিক সাবেক এমপি তুহিন

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২৬ এএম
আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩৫ এএম
অঢেল টাকার মালিক সাবেক এমপি তুহিন
আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন

রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে অঢেল টাকার মালিক হয়েছেন ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়নে দুই বারের এমপি আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন। অস্বাভাবিক হারে সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সংসদ সদস্যকে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন বার্ষিক আয় দেখান ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ১০ বছরে ৩১১ গুণ বেড়ে তার বার্ষিক আয় এখন ১ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৯ টাকা। এর পর থেকেই তার অঢেল টাকার বিষয়টি সব মহলে আলোচনায় আসে।

সচেতন নাগরিকরা মনে করেন, অল্প সময়ে অস্বাভাবিক পরিমাণে টাকার মালিক হওয়া সন্দেহজনক। সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেন। তিনি নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এরপর ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরপর দুই বার নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন।

২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন তিনি।

কিন্তু পরাজিত হন নৌকার প্রার্থী আব্দুস সালামের কাছে। প্রথমবার সংসদ সদস্য হওয়ার সময় তুহিনের হলফনামায় ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ১০ বছরে সেটি ২৪ গুণ বেড়ে হয়েছে ৫৫ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮২ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা টাকার পরিমাণ ১০ বছরের ব্যবধানে ৩১১ গুণ বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৯ টাকা। সংসদ সদস্য হওয়ার আগে ছিল মাত্র ৩৮ হাজার টাকা।

অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় সংসদ সদস্য থাকাকালে এই উপজেলায় সবচেয়ে বেশি রাস্তা পাকা করেছেন তুহিন। মানুষ যেকোনো প্রয়োজনে তাকে ডাকলে কাছে পেয়েছেন। তবে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা হরিলুট করা হয়েছে কি না তা কারও জানা নেই। এসব মন্তব্য করে অস্বাভাবিক হারে সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়ায় সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল টাকা আয়ের প্রমাণ মিললে আইনের আওতায় আনার দাবি সাধারণ মানুষের।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

সুশাসনের জন্য নাগরিক ময়মনসিংহ মহানগরের সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, এমপি কিংবা মন্ত্রী যেই হোক, দুর্নীতি করে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশে সুশাসন নিশ্চিত হলে সবাই ভালো থাকবে। শুধু হলফনামা নিয়ে দুদকের কাজ করলে চলবে না। কারণ দুর্নীতিবাজরা হলফনামার চেয়ে বহুগুণ বেশি অর্থ পাচার বা লুকিয়ে রাখে।

রাসেলস ভাইপার নিয়ে হাসপাতালে কৃষক

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
রাসেলস ভাইপার নিয়ে হাসপাতালে কৃষক
ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীর চারঘাটে জমিতে কাজ করতে গিয়ে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপারের দংশনের শিকার হন কৃষক শাহিনুর ইসলাম (৩০)। পরে তিনি সাপটি মেরে বস্তাবন্দি করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে হাজির হন।
 
রবিবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বাঁকড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

কৃষক শাহিনুর ইসলাম ওই গ্রামের কয়নাল হোসেনের ছেলে।

তিনি জানান, কাজ করার সময় সাপটি তার পায়ের নিচে পড়লে তাকে কামড় দেয়। পরে সাপটিকে মেরে তিনি হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, দংশনের প্রায় দেড় ঘণ্টা পর তিনি মৃত রাসেলস ভাইপারসহ হাসপাতালে আসেন। দংশনের কারণে তার পা ফুলে গেছে। তবে অন্য শারীরিক সমস্যা দেখা যায়নি। তাকে হাসপাতালের ১৩নং ওয়ার্ডে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

নায়েত করিম/মেহেদী/অমিয়/

চট্টগ্রামে সাড়ে ৫ কোটি টাকার খাসজমি উদ্ধার

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ পিএম
চট্টগ্রামে সাড়ে ৫ কোটি টাকার খাসজমি উদ্ধার
চট্টগ্রামে সাড়ে ৫ কোটি টাকার খাসজমি উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম মহানগরের এ কে খান এলাকায় অবৈধ দখলে থাকা সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকীর নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে সহযোগিতা করেন আকবরশাহ থানার পুলিশ সদস্য, কাট্টলী সার্কেল এবং পাহাড়তলী ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জানা গেছে, শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে দুষ্কৃতকারীরা উত্তর পাহাড়তলী মৌজার ৫ দশমিক ৫০ শতক সরকারি খাস জমি টিন দিয়ে ঘিরে দখলে নিয়ে কয়েকটি ফলের ও চায়ের দোকান বসিয়ে দেয়। 

আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, দখল করা সব স্থাপনা অপসারণ করে বিএস ১নং খতিয়ানভূক্ত সাড়ে পাঁচ শতক জমিতে সাইনবোর্ড স্থাপন করে সরকারের দখলে আনা হয়। উদ্ধার করা সম্পত্তির বাজারমূল্য আনুমানিক সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা।

জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

তারেক মাহমুদ/মেহেদী/অমিয়/

ডামুড্যায় রাস্তার পাশে বোমা সাদৃশ্য ১০ ব্যাগ

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পিএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৫ পিএম
ডামুড্যায় রাস্তার পাশে বোমা সাদৃশ্য ১০ ব্যাগ
ছবি: খবরের কাগজ

শরীয়তপুর ডামুড্যা উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নের ডামুড্যা-কালকিনি সড়কের পাশে ১০টি বোমা সাদৃশ্য ব্যাগ পাওয়া গেছে। 

সোমবার (১১ নভেম্বর) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে স্থানীয়রা ব্যাগগুলো দেখে থানায় খবর দেয়। 

পরে সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পৌঁছায়।

স্থানীয়দের ধারণা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য সড়কের পাশে এগুলো কেউ রেখে গেছে।

ডামুড্যা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়ার হোসেন জানান, বোমা নিস্ক্রিয়করণ টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। 

রাজিব হোসেন/মেহেদী/অমিয়/

চট্টগ্রামে টিসিবির পণ্য বিতরণে সমন্বয়হীনতা-ভোগান্তি

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ পিএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
চট্টগ্রামে টিসিবির পণ্য বিতরণে সমন্বয়হীনতা-ভোগান্তি
চট্টগ্রাম মহানগরে টিসিবির পণ্য কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন মানুষজন।

চট্টগ্রাম মহানগরে ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশের (টিসিবি) ন্যায্যমূল্যে ৪৭০ টাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘসময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়েও পণ্য না নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে।

আবার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের রাজনৈতিক নেতাদের পরিচিত কিংবা পছন্দের পাত্র না হওয়ায় লাইনে দাঁড়াতে সাহস পাচ্ছেন না কেউ কেউ। কারও কাছে আবার ফ্যামিলি কার্ড নেই। কার্ড ছাড়া পণ্য নেওয়া যাবে, সেই নিশ্চিয়তাও দেওয়া হচ্ছে না। আছে প্রচারণার অভাবও। ফলে সরকারি সুবিধায় ন্যায্যমূল্যে বাজার করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকে।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতা ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে এমনটা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
 
অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগের আমলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতারা টিসিবির পণ্য বিতরণ ও নিয়ন্ত্রণ করতেন। তারাই ঠিক করতেন কে পাবেন, কে পাবেন না। আর এখন এই কাজটি করছেন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতা এবং নেতাদের ঘনিষ্ঠরা। এতে অনেক সাধারণ মানুষ পণ্য কিনতে পারছেন না। কাউকে কাউকে লাইন থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে।

এদিকে ট্রেডিং করপোরেশন ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ধরা পড়েছে তাদের বক্তব্যেই। এই প্রতিবেদককে তারা সাংঘর্ষিক বক্তব্য দিয়েছেন।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, বর্তমানে কোনো ডিলার নেই। চসিকের যারা আঞ্চলিক কর্মকর্তা, ওয়ার্ড সচিব, সমাজসেবা অফিসার, পুলিশ কর্মকর্তা আছেন, তারাই দেখভাল করছেন।
 
নগরের ২০টি পয়েন্টে দৈনিক ৭ হাজার জনকে কার্ড ছাড়া ৪৭০ টাকার পণ্য দেওয়া হয়। এই পণ্যের মধ্যে আছে ৫ কেজি চাল, ২ লিটার তেল, ২ কেজি ডাল। আর দোকানে পণ্য দেওয়া হচ্ছে কার্ড দিয়ে। প্রতিদিন প্রতিটি পয়েন্টে সাড়ে তিন শ জনকে পণ্য দেওয়া হয়। সেই হিসেবে নগরে দৈনিক ৭ হাজার জন পণ্য পাচ্ছেন। ডিলার আছেন ১৩৯ জন। এ ছাড়া কিছু কিছু জায়গায় ট্রাকে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে নিতে হচ্ছে কার্ড দিয়ে। তবে নভেম্বরের পরে আর এই সমস্যা থাকবে না বলে জানানো হয়েছে। সবগুলো পণ্য এক নিয়মে দেওয়া হবে। অর্থাৎ কার্ডবিহীন ট্রাক থেকে যে কেউ চাইলে লাইনে দাঁড়িয়ে নির্ধারিত পণ্য কিনতে পারবেন। পণ্য বিতরণে রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব খাটানোর অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মো. শফিকুল ইসলাম তা উড়িয়ে দেন।তিনি বলেন, এসব সত্য নয়।

লালদীঘি পাড়ের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরীন ফেরদৌসি খবরের কাগজকে বলেন, আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) আমার অধীনে ৪টি ওয়ার্ডে টিসিবির পণ্য দেওয়া হচ্ছে। ১৫টি ওয়ার্ডে এসব পণ্য দেওয়া হবে। টিসিবি থেকে যখন পণ্য ছাড়িয়ে আনা হয় তখন আমরা ডিলারদের প্রত্যয়ন দেই। এভাবে প্রতিদিন কোনো না কোনো ওয়ার্ডে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। এক ওয়ার্ডে একাধিক ট্রাকও থাকে। আমরা বিতরণের কাজ নিয়মিতভাবে মনিটর করছি। বর্তমানে কার্ড ছাড়াই পণ্য দেওয়া হচ্ছে। ডিলাররাই পণ্য বিক্রি করছেন। পণ্য বিতরণে রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব থাকার কথা তিনি জানেন বলে স্বীকার করেছেন।
 
তবে উল্টো বক্তব্য দিয়েছেন চসিকের আগ্রাবাদ এলাকার আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চৌধুরী। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে যারা ডিলার আছেন তারাই পণ্য এনে বিক্রি করছেন। কোনো ফ্যামিলি কার্ড বাতিল করা হয়নি। আগের কার্ড দিয়েই আমার এলাকার ১২টি ওয়ার্ডে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। কার্ড বাতিল হওয়া বা ডিলার না থাকার বিষয়টি তিনি জানেন না।
 
এদিকে কয়েক দিন আগে টিসিবির ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল করা হয়েছে, টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবিরের এমন বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে গত শনিবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এর ব্যাখ্যা দেন। তিনি জানান, ৪৩ লাখ ফ্যামিলি কার্ড বাতিলের খবরটি সঠিক নয়। আমাদের কাছে যে এক কোটি পরিবারের কার্ড ছিল, সেগুলো যখন এনআইডির ডাটাবেজে ভেরিফাই করা হলো তখন দেখা গেল অনেকেই দুইবার কার্ড নিয়েছেন। যে কার্ডগুলোতে সমস্যা ছিল সেগুলোই বাদ পড়েছে। ইতোমধ্যে ৫৭ লাখ কার্ড স্মার্ট করা হয়েছে। বাকিগুলো স্মার্ট করার প্রক্রিয়া চলছে।
 
এদিকে কয়েকজন ডিলার স্বীকার করেছেন, চট্টগ্রাম নগরে টিসিবির পণ্য বিতরণে রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে অনেককেই বাদ দিতে বলা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ডিলার বলেন, আমার ওয়ার্ডে বিএনপির একজন বলে দিচ্ছেন কাকে পণ্য দেব, কাকে দেব না। এ বিষয়ে তাদের নির্দেশনা আছে।

এ কে এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হেলাল (ডিলার) বলেন, আমরা কার্ড ছাড়াই পণ্য দিচ্ছি। কাদেরকে দেওয়া হবে আগে থেকে তার একটি সিরিয়াল করা হয়। সেই সিরিয়াল অনুসারে পণ্য দিচ্ছি। একাধিকবার পণ্য নেওয়া ঠেকাতে অনেক ডিলার আইডি কার্ড দিয়ে পণ্য দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
 
গত শনিবার (৯ নভেম্বর) নগরের কাজির দেউড়ি এলাকায় শাহবুদ্দিন নামে একজন বলেন, তাকে লাইন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। যিনি বের করে দিয়েছেন তিনি একটি রাজনৈতিক দলের নেতা। শাহাবুদ্দিন অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও পণ্য পাননি। এ ছাড়া একজন নারীকে পণ্য না নিয়ে ফিরে যেতে দেখা যায়। জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, কার্ড ছাড়া দেওয়া হচ্ছে খবর পেয়ে তিনি লাইনে দাঁড়ান। কিন্তু তাকে পণ্য দেওয়া হয়নি। মনের দুঃখে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এত নিয়ম মেনে পণ্য নেওয়া সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন।

মো. মহিউদ্দিন নামে একজন পথচারী খবরের কাগজকে বলেন, আগের মতোই মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আগে একদল নিয়ন্ত্রণ করত এখন আরেক দল। পরিবর্তন আর হইল কই?
 
জানতে চাইলে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজিমুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, আমাদের কোনো নেতা-কর্মীর টিসিবির পণ্য বিক্রিতে প্রভাব খাটানোর কথা আমি শুনিনি। কারা করছে, কী করছে তাও আমার জানা নেই। তবে আমি শুনেছি আগে একেকজন ব্যক্তি দশটা কার্ড দিয়ে একাধিকবার পণ্য নিত। এখন সেটি যাতে না হয়, প্রকৃত সাধারণ মানুষ যাতে পণ্য পায়, সে জন্য আমাদের অনেক নেতা-কর্মী সহযোগিতা করছেন।

নাগেশ্বরীতে সাবেক কাউন্সিলরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪২ পিএম
নাগেশ্বরীতে সাবেক কাউন্সিলরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
প্রতিকী ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামে নাগেশ্বরী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল হাই-এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে তার নিজের ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  

তিনি পৌরসভার বানুর খামার পায়রাডাঙা গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে। 

আব্দুল হাইয়ের ভাই আবু তালেব জানান, মাগুরার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সুপারির ব্যবসার লেনদেন নিয়ে ঝামেলা হয়। পরে এ নিয়ে আদালতে তার নামে চেক জালিয়াতির মামলা হয়। এ ছাড়াও বেশ কিছু ঋণ ছিল তার। এসব মিলে কয়েক বছর যাবৎ তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। এর ফলে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। রবিবার সকালে স্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে আব্দুল হাইয়ের। পরে তার স্ত্রী বাড়ির বাইরে গেলে ঘরের আড়ায় ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি।

নাগেশ্বরী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন তিনি। মানসিক চাপ থেকে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

তিনি জানান, অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে।

মেহেদী/অমিয়/