গাইবান্ধার সদর উপজেলায় সেচ পাম্পের ঘরে বিদ্যুৎস্পৃস্ট হন স্বামী কাসেদ আলী। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী আলেমা বেগমও বিদ্যুৎস্পৃস্ট হন। পরে স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই মারা যান।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের ৫ ওয়ার্ডের বালাআটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কাসেদ আলী (৪৫) বালাআটা গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত্যু মজিবর রহমানের ছেলে।
স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার সকাল থেকে কাসেদ আলী তার স্ত্রী আলেমা বেগমকে নিয়ে বাড়ির পাশে ধানের জমি পরিচর্যার কাজ করছিলেন। দুপুরের দিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে কাসেদ আলী জমির পাশে থাকা টিনের তৈরি সেচ পাম্পের ঘরে যান বিশ্রমের জন্য। কিন্তু সেচ পাম্পের ঘরের বৈদ্যুতিক তারের ছেড়া অংশ টিনের সঙ্গে লেগে ছিলো। এসময় হঠাৎ করে তিনি বিদ্যুৎস্পৃস্ট হন। এ দৃশ্য দেখে তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী আলেমা বেগমও বিদ্যুৎস্পৃস্ট হন। পরে খবর পেয়ে স্বজন ও আশপাশের লোকজন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মৃত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, সেচ পাম্পের ঘরে কাসেদ আলী বিশ্রামের সময় বিদ্যুৎ ছিলো না। কিস্তু কিছু সময় পর হঠাৎ বিদ্যুৎ আসলে টিনের সঙ্গে লেগে থাকা কাসেদ আলী বিদ্যুৎস্পৃস্ট হন। পরে তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রীও বিদ্যুৎস্পৃস্ট হয়ে উভয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকাবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. সেরাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হবে।
রফিক খন্দকার/এমএ/